X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০
বিজয় সরকার জীবনীনাট্য

দয়াল তোমার আসল নামটা কী || পর্ব- শেষ

সাইমন জাকারিয়া
০২ জুন ২০১৬, ১১:২৪আপডেট : ০২ জুন ২০১৬, ১২:৩৬

কবিয়াল বিজয় সরকার পূর্ব প্রকাশের পর

প্রথম পক্ষ
মন বিল্লালের আজান শুনে আজান শুনে দিল কাবাতে নামাজ পড়
রেখে মর্মের মাঝে ধর্মের বাতি কর্মে উজ্জ্বল জীবন গড়॥

মন বিল্লালের সুমধুর আজান
আরশ কুর্শি থেকে শোনে আল্লা সোবাহান
তখন জিন ফেরেস্তা বিলকুল এনছান থাকে এবাদত পরায়ণ বড়॥

এই গানটির ভেতর দিয়েই বিজয়ের সাধক পরিচয় স্পষ্ট করা যাবে। তিনি এখানে মানবচিত্তের দুই চালিকাশক্তি মন ও দিলকে আজান ও কাবাতে রূপান্তর করে বললেন– মনের ডাকে সেই দিলেতেই নামাজ পড়তে হবে, তাহলে ইট-পাথরের মসজিদ, ব্যক্তি-মানুষের কণ্ঠ দিয়ে নামাজের আহ্বানের কি আর প্রয়োজন থাকে। বিজয় একজন সাধনায় সিদ্ধ মানুষ বলেই স্পষ্ট করে ঘোষণা দিতে দ্বিধা করেননি যে, কর্মবিহীন ধর্মের কোনো প্রয়োজন নেই, বরং কর্মে উজ্জ্বল জীবনই মানুষের একমাত্র অবলম্বন হওয়া চায়, তাহলে প্রশ্ন হতে পারে– ধর্ম থাকবে কোথায়? বিজয় পরিস্কার করে বলেছেন– ধর্ম থাকে মর্মের ভেতর, তার জন্য বাইরের আচার-আচরণের কোনো প্রয়োজন নেই। একথার ব্যাখ্যায় সাধক বিজয় আরো বললেন–

কায়েম রেখে দিল কাবা মসজিদ
একিন মনে ঈমান সনে আগে হও মুরিদ
তবে আত্মতত্ত্বে হবে শহীদ আগে কামেল মুর্শিদ ধর॥

মৃগনাভি কস্তুরী যেমন
আপন গন্ধের দ্বন্দ্বে পোড়ে ঘোরে বনে বন
তোমার নিকট সম্পদ এমন কেন দূরে দূরে ঘুরে মর॥

কলেমা তৈয়ার করি কবুল
লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহম্মদ রসুল
তবে মহবতে হয়ে মসগুল দমে দমে জেকের কর॥

পাগল বিজয় বলে শুনহে মোমিন
দিনের দিনে দিন ফুরাল নবীন তনু ক্ষীণ
থাকতে সুদিন হও তার অধীন, তোমার বাঁধাবাড়ি পড় পড়॥

এখন প্রশ্ন করতে পারেন– সাধক বিজয় এই চেতনা কোথা থেকে অর্জন করলেন? আর কোন সাধনায় তিনি এমন একটা সাধন সংগীত প্রকাশ করতে পারলেন?
এবার আমি একে একে এ কথার উত্তর দিচ্ছি।
সাধক বিজয়কৃষ্ণ অধিকারী তার জীবনে অন্তত ৬ বার, ৬ ধরনের সাধকের কাছে সাধনপথের দীক্ষা নিয়েছেন।
তিনি প্রথম জীবনে দীক্ষা নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাঁদঘাট চাদড়া গ্রামের সাধক লোকনাথ ফকিরের কাছে। ফকিরী মতের সেই দীক্ষায় তিনি জপতপ করতেন। আমরা আগেই বলেছি, এই সাধনার কারণে তিনি কবিগান শিক্ষার প্রাথমিক পর্বে কাপালিকের চক্রান্ত হতে উদ্ধার পেয়েছিলেন।
দ্বিতীয়বার তিনি দীক্ষা নেন তাঁর কবিগান শিক্ষার প্রথম গুরু গোপালগঞ্জের দুর্গাপুরের কবিয়াল মনোহর সরকারের কাছে। মনোহর সরকার ছিলেন ওড়াকান্দির ‘মতুয়াধর্মে’ বিশ্বাসী। মনোহর সরকারের সাথে অবস্থানকালে তিনি মতুয়াধর্মে বিশ্বাস স্থাপন করেন এবং ভাব-সাধনায় মগ্ন হন।
তৃতীয় পর্যায়ে সাধক বিজয়কৃষ্ণ অধিকারী সর্বধর্ম মতের সাথে পরিচিত হন এবং তাতে আস্থা স্থাপন করেন। এই ঘটনাটি ঘটে তাঁর কবিগানের দ্বিতীয় গুরু রাজেন্দ্রনাথ সরকারের আশ্রয়ে। রাজেন্দ্র সরকারের স্নেহছায়া বিজয় সর্বধর্ম মতের ‘আকার ও নিরাকারবাদে’ বিশ্বাস স্থাপন করে সাধনা করতে থাকেন। কিন্তু বছর যেতে না যেতেই বিজয় তাঁর সাধনার সাথে নতুন পদ্ধতি যুক্ত করেন।
সাধক জীবনের চতুর্থ পর্যায়ে বিজয় ভিন্নতর সাধন পদ্ধতির সন্ধান পান সত্যধর্মের প্রতিষ্ঠাতা মহাত্মা গুরুনাথ সেনগুপ্তের শিষ্য ভুবনমোহন গাঙ্গুলীর কাছে। ভুবনমোহন অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে বিজয়কে সত্যধর্মে দীক্ষা দেন।
পঞ্চম পর্যায়ে বিজয়কৃষ্ণ অধিকারী একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি নতুন সাধন পদ্ধতির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন, যেমন– বরিশালের ‘খেজুরতলা মত’, কলিকাতার ‘ব্রাহ্মসমাজ’, ‘আর্যসমাজ’ এবং পাবনার হেমায়েতপুরের অনুকুল ঠাকুরের মত। এ সকল সাধন পদ্ধতির সহচার্যে থেকে বিজয় সাধনপথের নানা অলিগলির সাথে পরিচিত হন এবং নিজেকে আত্মশুদ্ধিতে অবতীর্ণ করতে তৎপর থাকেন।
সাধক জীবনের ষষ্ঠ পর্যায়ে বিজয়কৃষ্ণ অধিকারী নড়াইলের কালিয়া থানার পেড়লি গ্রামের বিশিষ্ট সুফিসাধক ফয়েজ আহমদ ফয়েজির আদর্শে মুগ্ধ হয়ে পড়েন এবং সুফিমতের প্রতি গভীর আস্থা অর্জন করেন। সুফিসাধক ফয়েজ আহমদের প্রতি সুগভীর আস্থায় আচ্ছন্ন হয়ে বিজয় ইসলামি মতে নানা ধরনের অনুধ্যান ও গোপন জিকিরে অভ্যস্থ হন।
সাধনার নানা স্তর অতিক্রম করে এবং বিচিত্র অভিযাত্রার পথ পাড়ি দিয়ে বিজয়কৃষ্ণ অধিকারী একজন পূর্ণাঙ্গ সাধক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। তাই তো তিনি বলতে সক্ষম হয়েছেন–

– সবাই বলে ধর্ম কর, ধর্ম কর, কিন্তু আমি বলি অন্যকথা, ওরে ছোবড়া নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নাই, নারিকেলের শাসটাই আসল। বেদ-বেদান্ত-কুরআন-পুরাণ পড়ে কি হবে? মানুষকে ভালোবাসার অনুভূতিই হলো প্রকৃত ধার্মিকের লক্ষণ।
– আপনার এই কথা শুনে আমাদের মনে একটা প্রশ্ন এসেছে।
– বলুন, কী প্রশ্ন তোমার?
– প্রশ্নটা হলো, ঈশ্বর আছেন, কি নেই?
– এর আগে আমার একটা প্রশ্ন আছে তোমার কাছে, বলো তো বাবা– তুমি আছো, কি নেই? তুমি কি আছো?
– হ্যাঁ, আমি তো আছি। আমি না থাকলে আপনার সাথে কথা বলছে কে?
– তাহলে ঈশ্বর আছেন।

সাধনার বলে সাধক বিজয়কৃষ্ণ অধিকারী জাতিধর্মের ভেদ ভাঙতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই সাধন সংগীত জীবনে তাঁর অন্যতম শুভার্থী বন্ধু ছিলেন নড়াইলের বিখ্যাত চারণকবি ও জারিগানের সাধকশিল্পী মোসলেম উদ্দিন বয়াতী। এই মোসলেম বয়াতী ছিলেন জাতিধর্মের ঊর্ধের স্তরের মানুষ, তাই তাঁর বাড়ির বাইরের দরজায় টানানো ছিল একটি অপূর্ব বিজ্ঞাপন– “মানুষের জাতিভেদ অমূলক কল্পনা। মানুষ আসিবে হেথা, অমানুষের মানা।”
এই উদার মনের মুসলিম বয়াতি মোসলেম উদ্দিনের বাড়ির বার্ষিক উৎসবে নিয়মিত কবিগান, জারিগান ও রামায়ণ গানের আসর বসে। সাধক বিজয়কৃষ্ণ অধিকারী এ ধরনের উৎসবে যোগ দিয়ে মোসলেম উদ্দিনের সাথে কবি ও জারি গানের মিশ্র পরিবেশনা করেন। শুধু তাই নয়, প্রথম রাতে বিজয়কৃষ্ণ অধিকারী রামায়ণ গানের লব-কুশ পালা পরিবেশন করেন।
গানের আসর শেষ হলে শেষ রাতে জিকির আরম্ভ হয়। বিজয়কৃষ্ণ অধিকারী সেই আসরে ধ্যানস্তিমিত চোখে বসে জিকিরের আনন্দ অনুভব করছিলেন, তাঁর মনে হচ্ছিল– জিকিরের সাথে যেনবা আকাশ বাতাস, বনভূমি মুখরিত হচ্ছে। ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে জিকির শেষ হলো। সে সময় একজন মাওলানা এসে মোসলেম উদ্দিন বয়াতিকে বললেন–

– মোসলেম, তুমি মুসলমান হয়ে গান বাজনা কর, তাতে আমাদের আপত্তি থাকলেও এতদিন কিছু বলিনি। কিন্তু আজ তোমাকে ক্ষমা করা হবে না।
– কেন? মৌলভী সাহেব?
– গতরাতে তোমার এখানে রামায়ণ গান করা হয়েছে, মুসলমানের বাড়িতে রামায়ণ গান! এটা মোটেও ঠিক হয়নি!
– মৌলভী সাহেব, এটা আমার বাড়ি, এখানে এসে এমন কথা বলাও আপনার পক্ষে কি ঠিক?
– আপনাকে এই অপরাধে একঘরে হতে হবে।
– দেখুন মৌলভী সাহেব, মানুষ আমি একজন, একঘরে ছাড়া তো দুইঘরে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি তো সব সময়ই একঘরে।

মোসলেম উদ্দিনের এই কথা শুনে মৌলভী সাহেব অপ্রস্তুত হয়ে চলে যান। আর মোসলেম উদ্দিন বয়াতি মুখ ফিরিয়ে সাধক বিজয়কৃষ্ণ অধিকারীকে বললেন–

– দেখলে তো বিজয়, তোমার কবিগানের শক্তির চেয়ে রামায়ণ গানের শক্তিও কম নয়, তুমি তো আমার গ্রামটা রামায়ণ গেয়ে জাগিয়ে দিয়েছো, তাই ওই সজাগ মৌলভী তোমার বদলে আমাকে শাসন করতে এসেছিল। তোমার সাধনা আজ সিদ্ধিলাভ ঘটেছে বিজয়।
– নাতি জামাই, আমার সাধনা আর কোথায় দেখলে, আমি দেখি তোমার দিকে তাকিয়ে তুমি মুসলমান হয়ে মানবজন্মের মান রেখেছো, নিজের ভেতরের পশুভাব মেরে তুমি যে তোমার বাড়ি সব মানুষের মহামিলন ঘটিয়েছো। কবিগানের আসরে তুমি জারিগান মিশিয়েছো।
– তোমার মনের উদারতাতেই এ সম্ভব হয়েছে বিজয়। কিন্তু বিজয় আমি লোকমুখে শুনছি, তুমি এই বাংলাদেশ রেখে ওপারে চলে যাবে। এটা কি ঠিক?
– কি করবো নাত জামাই! দেশ তো একদিন ত্যাগ করতেই হবে, কোন ফাঁকে আমার সংসারের সবাই ওপারে স্থান করে নিয়েছে। আমারও বেলা পড়ে এলো, আজ তোমায় একটা গান শোনানোর সাধ হয়, শোনো–

অপার তুমি এপার আমি মাঝখানে এক সীমারেখা
সে তো বেশি পথ নয় হাত আষ্টেক-নয়, পার হতে তাই বিষম ঠেকা॥

সীমান্তের সব অফিসারে, তারা কাজ করে না অবিচারে
আইন মাফিক অনুসারে মানতে হয় আদেশ পত্রিকা
সেথায় চলবে না কোনো চালাকি, খাটবে নাকো ফাঁকি ফেকা॥

হারায়ে সৎ পথের দিশা, না করিয়ে পাসপোর্ট ভিসা
গোপন পথে যাওয়া আসা, অতি ভয়ানক ভূমিকা
পথে জনসাধারণ অসাধারণ, দেখায় মরণ বিভীষিকা॥

পশু পক্ষী কীট পতঙ্গ তাদের নাহি বঙ্গ ভঙ্গ
পূর্ব কিংবা পশ্চিমবঙ্গ, সব যেন তাদের এলাকা
তারা এপার ওপার ঘুরে বেড়ায় লাগে না সরকারী লেখা॥

তোমার লাগিয়া দরদী, বহে নয়নে নীর নিরবধি
এড়ায়ে যেতাম নদ নদী, বিধি যদি দিত পাখা
পাগল বিজয় বলে উড়ে গিয়ে দেখে আসতাম চোখের দেখা॥

– সাধক বিজয়ের বিরহ গাঁথা এভাবেই বঙ্গভঙ্গের বেদনার সাথে একাকার হয়ে মিশে থাকে। বিজয় চলেন যান ওপারে। আর বাংলাদেশের মানুষ বিজয়ের মর্মগাঁথাকে হৃদয়ে ধারন করে আজও গেয়ে ফেরেন বিজয়ের গান, বিজয়ের ভাবসাধনার অন্তর্লীন আবেগ– মানুষের ধর্ম শুধু মানবতা॥

জোটক
এসো ওহে বিপক্ষের কবি।
আকাশেতে ওঠে রবি।

তুমি এসে দাঁড়াও পাশে।
সবাই আছে তোমার আশে।

ডাক দিয়েছো তাই তো আসি।
তোমার পাশে দাঁড়াই শশী।

একই কণ্ঠ তোমার আমার।
দাদাগুরু বিজয় সরকার।

আসল নামটি বিজয়কৃষ্ণ।
পিতা ছিলেন নবকৃষ্ণ।

বংশে ছিলেন বৈরাগী।
বিজয় লিখলেন অধিকারী।

পেশা যখন সরকারী।
বংশকথা অদরকারী।

আজকে তাকে কবি বলো।
প্রয়োজনে সাধক বলো।

বিচার করে চিনতে পারি।
মানুষ তিনি সকল ছাড়ি।

তার পরিচয় আর কি দেবো।
কণ্ঠ ছেড়ে আর কি কবো।

তিনি হলেন সাধক বিজয়।
ভাববাচ্যে কবিও বলা যায়।

সাধক-কবি একাই তিনি।
ভাবের ঘরে তারেই মানি।

দিয়েছেন দিয়েছেন তিনি।
মানুষরূপে আসল পরিচয়॥

..........................................................................................

আরো পড়তে ক্লিক করুন :

দয়াল তোমার আসল নামটা কী || পর্ব-১

দয়াল তোমার আসল নামটা কী || পর্ব-২

দয়াল তোমার আসল নামটা কী || পর্ব-৩

দয়াল তোমার আসল নামটা কী || পর্ব-৪

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!