X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
কবি ওয়ালী কিরণের প্রতি শ্রদ্ধা

আসলে মৃত্যু তাকে যেতে দেয়নি

অনুপম হাসান
১৮ আগস্ট ২০১৬, ১৫:৩৯আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০১৬, ১৬:৪৪

কবি সরকার মাসুদ ও ওয়ালী কিরণ কবি ওয়ালী কিরণ এতটাই আড্ডাপ্রিয় কিংবা আড্ডাবাজ মানুষ ছিলেন যে, কোনো কোনোদিন ব্যাংকের কাজ শেষ করে এসে বসতেন; তারপর টানা দশটা-এগারোটা পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরতেন। সেজন্য হয়তো বাসায়ও তাঁকে গঞ্জনা-লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়েছে; কিন্তু তারপরও তিনি আড্ডায় একদিন না এসে থাকতে পারতেন না। নিছক ভালো মানুষ এবং শিশু-সরল হাসি দিয়ে কবি ওয়ালী কিরণ আড্ডায় আসা নতুনদের স্বাগত জানাতেন

মৃত্যু সততই বেদনাবহ। তা স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক যেরকমই হোক না কেন! মৃত্যু আমাদের বেদনা দেয়। উস্কে দেয় চলে যাওয়া মানুষকে ঘিরে স্মৃতিরাশি। অম্ল-মধুর স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি আমরা। ওয়ালী কিরণ ১৬ আগস্ট আমাদের ছেড়ে ৫৮ বছরের জীবনযাত্রা সাঙ্গ করে অসীম শূন্যলোকে পাড়ি দিয়েছেন। তিনি এখন সব দুঃখ-বেদনা, আনন্দ কিংবা শোকের ঊর্ধ্বে চিরশান্তির দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আর কখনো পথে-ঘাটে চলতে-ফিরতে কিংবা আলুপট্টি অথবা নিউ মার্কেটের আড্ডায় দেখা হবে না তাঁর সাথে। তিনি আর কখনো বলবেন না : ‘অনুপম আপনার ভিতর কিছু আছে- সেজন্য কেউ কেউ সহ্য করতে পারে না।’ তাঁর সাথে সর্বশেষ একথাগুলোই আমার হয়েছিল সেলফোনে। আমি তখন (এপ্রিলের দিকে এসব কথা হয়) ঢাকায়।
ওয়ালী কিরণের সাথে সেলফোনে যখন এসব কথা আমার হয়, তখন তিনি রাজশাহীতে তাঁর প্রিয়বন্ধু সিরাজুদ্দৌলাহ বাহার-এর সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এখানে বলা দরকার, বছরের শুরুর দিকে ফেব্রুয়ারিতে তাঁর বদলি হয়েছে কুমিল্লা সোনালী ব্যাংকের ট্রেনিং শাখায়। চাকরির শেষ দিকে এসে এই বদলির ব্যাপারটি তিনি একেবারেই মেনে নিতে পারছিলেন না। এজন্য তাঁর মনে রাজশাহী শহরের কারো কারো উপরে হয়তো ক্ষোভও জন্মেছিল। তাঁর সাথে শেষবার কথোপকথনে স্পষ্টতই সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশও ঘটেছিল। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, এ শহরে (রাজশাহী) প্রতিভাবান কিংবা নিবেদিত সাহিত্যকর্মীর স্থান হয় না; অথবা অজানা কোনো কারণে তাদের শহর ছাড়তে হয়।

ক্ষোভ কিরণ ভাইয়ের জন্মেছিল সত্য; কিন্তু প্রাণের শহর রাজশাহীকে জীবনে-মরণে ভুলতে পারলেন না। জাতীয় শোকদিবসের ছুটিতে রাজশাহীতে এসেছিলেন কুমিল্লা থেকে। ১৫ আগস্টের টিকিটও কেনা ছিল ট্রেনের, কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য। অজানা কারণে সেদিন রাতে ঢাকাগামী ট্রেনের টিকিট ফেরৎ দিয়েছিলেন। কেন তিনি সেদিন যেতে চাননি কুমিল্লায়- তা এক রহস্য হয়ে থাকল আমাদের মনে। তিনি কী বুঝতে পেরেছিলে- তাঁকে চিরতরে আজ রাতেই ঘুমাতে হবে! হয়তো তাই- চিরনিদ্রায়, চিরশান্তিতে ঘুমাবেন বলেই সেদিন রাজশাহী ছেড়ে যাওয়া হয়নি তাঁর। আসলে মৃত্যু তাকে যেতে দেয়নি। বলেছে, কিরণ তুমি কোথায় যাবে? আজকের রাতেই তো চিরদিনের জন্য তোমাকে ঘুমাতে হবে এ শহরে! রাজশাহীর উপর অভিমানভরা ক্ষোভ থাকলেও জীবনে-মরণে কিরণ রাজশাহীরই হয়ে থাকলেন। রাজশাহী যেন পনেরো আগস্টের সন্ধ্যায় কবিকে ডেকে বলল : ‘কিরণ তুমি রাজশাহীর মানুষ। আমার বুকে একদিন জন্মেছ, বেড়ে উঠেছ। যৌবনের দাপুটে সময় কাটিয়েছ। তবে তোমাকে বার্ধক্যের যন্ত্রণায় কাতর হতে না দিয়েই আমার বুকে চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। তুমি চিরশান্তিতে এবার আমার বুকের সাড়ে তিন হাত জায়গায় ঘুমাও! তুমি আর কোনোদিন আমাকে নিয়ে কোনো ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারবে না কারো কাছে।’

বলার অপেক্ষা রাখে না, কবি ওয়ালী কিরণের এ ক্ষুব্ধতা সাময়িক ছিল; কিংবা মন থেকে তিনি কোনোদিনই রাজশাহী থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন, বিযুক্ত করতে পারেননি। অভিমানে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ শহরের আলো-বাতাস খেয়ে তাঁর কবিতার দেহ নির্মিত হয়েছে। যৌবনের সোনালি দিন কাটিয়েছেন এ শহরের মায়াভরা শ্যামল প্রকৃতির মাঝে। জীবনের এ পর্বে এসে তিনি কবিতাচর্চার জন্য রাজশাহীর কবিদের সংগঠন কবিকুঞ্জ থেকে ২০১৩ সালে পুরস্কৃত ও সম্মানিত হয়েছিলেন। কথাবাহুল্য, কবিজীবনে এটাই তাঁর প্রথম সাংগঠনিক স্বীকৃতিও বটে। এরপরের বছর ২০১৪ সালে বগুড়ার লেখকচক্র ওয়ালী কিরণকে কবি হিসেবে সম্মাননা দেয়। সুতরাং একথা বলা অত্যুক্তি নয় যে, কবি ওয়ালী কিরণ মনেপ্রাণে রাজশাহীর ছিলেন। পূর্বোক্ত তাঁর মৌখিক ক্ষোভের মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে এ শহরের প্রতি তাঁর অধিকতর ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। কেননা জীবনের এ পর্যায় তিনি প্রিয় শহর রাজশাহী ছেড়ে অন্যত্র (কুমিল্লা) কর্মজীবন কাটানোর ব্যাপারটি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না।

ব্যক্তিগত জীবনে ওয়ালী কিরণ ভীষণ দিলখোলা, আড্ডাবাজ, ভাবুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। প্রগতিশীল চিন্তার ধারক-বাহক কিরণের সামনে লেখক হিসেবে কোনো বয়সের পার্থক্য ছিল না, কিংবা তিনি করতেন না। যেকোনো বয়সের লেখকের সাথেই তিনি প্রাণখুলে মিশতেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডায় মেতে থাকতেন। ধর্মীয় কূপমণ্ডুকতা এবং মৌলবাদী গোঁড়া চিন্তাচেতনার বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট ছিল। তাঁর প্রগতিশীল মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ যেমন ব্যক্তিজীবনে আছে, তেমনি আছে কবিতায়ও। বিশেষত মৌলবাদের বিরুদ্ধে কবিতায় তিনি সোচ্চার ছিলেন।

দুই
আমি রাজশাহীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করি ২০০৫ সালে; কিন্তু নিজের নিভৃতচারী স্বভাবের কারণে শুরুর দিকে বাইরের লোকজনের সাথে খুব একটা মেশামেশি হয়নি। তারপরও কয়েকবার নিউমার্কেট এলাকায় আজহার ভাইয়ের [তিনিও আজ আমাদের মাঝে নেই] চায়ের দোকানে তরুণ কবি শামীম হোসেন অথবা শিমুল মাহমুদের সাথে গিয়েছি। আমি দু’এক লাইন লেখালেখি করি জেনে কিরণ ভাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মিশেছেন, আপন করে নিয়েছেন। স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজের প্রকাশিত সব কাব্যগ্রন্থ আমাকে পড়তে দিয়েছেন। বলতে দোষ নেই, তখনো কবি ওয়ালী কিরণ সম্বন্ধে আমার তেমন জানাবোঝার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। কবিতাপ্রীতি আমার ছাত্রজীবন থেকেই ছিল। তাঁর কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। তিনি কবিতায় যুক্তিনির্ভর ছিলেন ভীষণভাবে। বিশেষভাবে তিনি সমকালীন জীবনের কথা বলতে চেয়েছেন কবিতায়।

এ সময় যতটুকু মনে করতে পারি মাগুড়ার কবি বীরেন মুখার্জী তাঁকে নিয়ে ২০০৮ সালের দিকে দৃষ্টি পত্রিকার একটি সংখ্যায় আমাকে লিখতে অনুরোধ করলে- আমি নিজের কবিতাপ্রীতি থেকেই ওয়ালী কিরণের কবিতা নিয়ে একটি লেখা দিয়েছিলাম। তাঁর আগে ২০০৭ সালের দিকে ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত ‘পয়ার’ নামের একটি পত্রিকায় রাজশাহীর তিনজন কবির কাব্যপ্রবণতা নিয়ে লিখেছিলাম। সেখানেও প্রধান আলোচ্য কবি হিসেবে ওয়ালী কিরণকে নিয়ে লিখেছি।

সে-সময় আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। গবেষণা শেষ করে ঢাকার উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ নিয়ে ২০১০ সালে দিকে রাজশাহী ছাড়তে হলো আমাকে। বছর দেড়েকের মাথায় ঢাকার যান্ত্রিক জীবনে অসহ্য হয়ে উঠলাম। পুনরায় নিরিবিলি শহর রাজশাহীতে ২০১১ সালের শেষ দিকে ফিরে এসে শহরসংলগ্ন শাহ্ মখদুম কলেজের বাংলা বিভাগে অনার্স শ্রেণীর শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলাম। শুরু হলো আমার রাজশাহীতে দ্বিতীয় পর্বের জীবন।

আমার দ্বিতীয় পর্বের জীবনে রাজশাহী শহরে হঠাৎ করেই শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতে একটি সংযোগ ও ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠল। ২০১২ সালে কবিদের সংগঠন কবিকুঞ্জ গঠনের সময় আমাকেও সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাখা হলো, যদিও আমি কবিতা লিখি না। এ সময় রাজশাহীর নিউমার্কেট এলাকায় কবিদের আড্ডায় প্রায় নিয়মিত যাতায়াত শুরু হলো। আড্ডায় কবি ওয়ালী কিরণের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিয়েছি। তাঁকে খুব কাছে থেকে চিনেছি-জেনেছি। কিরণ আপাদমস্তক নিরীহ এবং কবিতায় মগ্ন একজন মানুষ। আড্ডায় বেশিরভাগ সময়ই কিরণ ভাই একক বক্তা থাকতেন। সব বিষয়েই হস্তক্ষেপ করা তাঁর স্বভাবগত বিষয় ছিল। এটি তাঁর দোষ নয়, স্বথঃস্ফূর্ত প্রবণতা। কেউ কেউ এ নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন অনেকদিন। তারপরও কিরণ ভাই সেই স্বভাব থেকে বিরত থাকতে পারেননি। অকারণ হস্তক্ষেপের কারণ হয়তো কেউ কেউ তাঁকে কখনো কখনো সমালোচনাও করেছেন; সে সমালোচনা নীরবে হজম করেছেন কিরণ ভাই।

কবি ওয়ালী কিরণ এতটাই আড্ডাপ্রিয় কিংবা আড্ডাবাজ মানুষ ছিলেন যে, কোনো কোনোদিন ব্যাংকের কাজ শেষ করে এসে বসতেন; তারপর টানা দশটা-এগারোটা পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরতেন। সেজন্য হয়তো বাসায়ও তাঁকে গঞ্জনা-লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়েছে; কিন্তু তারপরও তিনি আড্ডায় একদিন না এসে থাকতে পারতেন না। নিছক ভালো মানুষ এবং শিশু-সরল হাসি দিয়ে কবি ওয়ালী কিরণ আড্ডায় আসা নতুনদের স্বাগত জানাতেন। আড্ডায় কেউ আসুক না-আসুক কিরণ ভাইকে পাওয়া যেত প্রতিদিনই। বলা ভুল হবে না, ওয়ালী কিরণ ছিলেন- রাজশাহী নিউমার্কেট কেন্দ্রিক কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডার নিয়মিত সদস্য এবং মধ্যমণিও বটে। এর কারণ, সম্ভবত তাঁর প্রাণখোলা স্বভাব এবং সহজেই সব বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ার সহজ দক্ষতা।

আমার দ্বিতীয় পর্বে রাজশাহীতে বসবাস শুরু হলে- কবি ওয়ালী কিরণের সাথে ঢিলেঢালা সম্পর্কটাও ক্রমে গাঢ় হয়ে উঠল। এর মধ্যে হঠাৎ করেই একদিন কিরণ ভাই হাতে তুলে দিলেন তাঁর ‘কবিতাসমগ্র’ (২০১৩)। বেশ অবাক হলাম; এত তাড়াতাড়ি কবিতাসমগ্র  প্রকাশ করায়! আমি খানিকটা উষ্মা নিয়েই কিরণ ভাইকে এজন্য দোষারোপ করলাম। কিন্তু তিনি স্বভাবগত হাসিমাখা মুখ নিয়েই একথা-ওকথা বলে এড়িয়ে গেলেন। সেদিন বিস্মিত হয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলাম বটে; কিন্তু আজ মনে হচ্ছে- কিরণ ভাই কী আগেই তাঁর মৃত্যুর আভাস পেয়েছিলেন! তাই কী তাড়াহুড়ো করে ‘কবিতাসমগ্র’ প্রকাশ করেছিলেন! হয়তো এ ঘটনা সম্পূর্ণ কাকতালীয় কিংবা আমার আবেগী মনের সান্ত্বনার আশ্রয়! যাই হোক না কেন, তিনি সমগ্রর কাজটা নিজে করে না গেলে- তিনি হয়তো খুব সহজেই হারিয়ে যেতেন। এখন অন্তত ওয়ালী কিরণ তাঁর কবিতাসমগ্রের মধ্য দিয়ে কবি হিসেবে আমাদের মাঝে টিকে থাকবেন। সেদিন উষ্মা ও সমালোচনা করার জন্য আজ নিজের মধ্যে অপরাধবোধ হচ্ছে। কিরণ ভাই, ক্ষমা করুণ আমাকে; আপনি সঠিক ছিলেন- তাই আপনি কবিতাসমগ্র প্রকাশ করেছিলেন।

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা