X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

হেমিংওয়ের বৃদ্ধের খোঁজে

মাসুদ পারভেজ
২৭ আগস্ট ২০১৬, ১৪:২৭আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০১৬, ১৪:৫৪

খাওয়ার প্রতি বিতৃষ্ণার পরেও বৃদ্ধ জেলে যার কোনো পরিজন নেই সে দিনের পর দিন মাছ ধরার জন্য সাগরে যাচ্ছে এবং ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসছে। তখন প্রশ্ন জাগে সে আসলে কী চায়? আর এই প্রশ্নের আলোকে খোঁজ পাওয়া যাবে তার স্বপ্নের। বৃদ্ধ স্বপ্ন দেখে তার ছেলেবেলার আফ্রিকার

‘Man is not made for defeat… A man can be destroyed but not defeated.’ অর্থাৎ ‘মানুষ পরাজিত হবার জন্য জন্মায়নি...মানুষকে ধ্বংস করা যায় কিন্তু পরাজিত নয়।’ মার্কিন কথাসাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের এই উক্তিটিকে ঘিরেই নির্মিত হয়েছে ‘দি ওল্ডম্যান এন্ড দি সি’র আখ্যান। কিংবা বলা যায় গোগলের ওভারকোট থেকে যেমন বের হয়েছে রাশিয়ান সাহিত্যিকরা তেমনি এই উক্তিটির ভেতরই আছে ‘দি ওল্ডম্যান এন্ড দি সি’ আখ্যানটির তাৎপর্য। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের আত্মকথনের যে-রূপান্তর এই আখ্যান তা শুধু তার একার থাকেনি হয়ে উঠেছে সমগ্র মানবসত্তার। উল্লিখিত উক্তিটি সে কথাটাই বহন করছে। এই উক্তিটি ধরে আর্নেস্ট হেমিংওয়ের জীবনের দিকে একটু চোখ ফেরানো যাক। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে তার প্রথম উপন্যাস ‘দি সান অলসো রাইজেস’ প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসের কথনরীতি আর শব্দচয়নের এক অপূর্ব সম্মিলনে হেমিংওয়ে একটা নিজস্ব ভাষাশৈলী তৈরি করে ফেলেন। বিশেষ করে তার ছোটো ছোটো বাক্য প্রয়োগ করে যে-বর্ণনা তিনি তৈরি করেন তা আখ্যানের কাহিনিকে আরো তাৎপর্যময়তা দান করে এবং চিত্রকে চোখের সামনে ভাসিয়ে তোলে।
১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে তার ‘এ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস’ প্রকাশিত হয় এবং তিনমাসের মধ্যে প্রায় ৮০ হাজার কপি বিক্রি হয়ে যায়। আর্নেস্ট হেমিংওয়ে তখন সাহিত্যাঙ্গনে জনপ্রিয় এবং পরিচিত এক নাম। তারপর ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে ‘টু হ্যাভ এন্ড হ্যাভ নট’ এবং ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে ‘ফর হুম দি বেলস টেলস’ উপন্যাস প্রকাশিত হয়। ১৯৪০ সালের পর দীর্ঘ দশ বছর পর তার পরবর্তী উপন্যাস ‘এ্যাক্রস দি রিভার এন্ড ইনটু দি ট্রিজ’ (১৯৫০) প্রকাশিত হয়। এই দীর্ঘ দশ বছর বিরতির সময়টা খুব খেয়াল করা দরকার। এই দশ বছরের বিরতির পর যে-উপন্যাসটা প্রকাশিত হয় তা হেমিংওয়েকে সমালোচকের ছুরির সামনে ফেলে দেয়। সমালোচকের তীর্যক মন্তব্য হেমিংওয়ে ফুরিয়ে গেছে, তার আর দেবার মতো কিছু নেই, তার এখন লেখা বন্ধ করা উচিত। এই উপন্যাস প্রকাশের আগে হেমিংওয়ে কিছুটা ঝঞ্ঝাময় সময় পার করেন। তার মধ্যে তৃতীয় বিবাহ বিচ্ছেদের পর চতুর্থ বিবাহ অতঃপর আদ্রিয়ানা নামের ১৯ বছর বয়সী ইতালিয়ান এক মেয়ের প্রেমে পড়া এবং প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়া এইসব কিছুর পর সমালোচকের তীর্যক সমালোচনা তার ভেতরে যে-প্রভাব তৈরি করে তারই প্রতিফলন হলো ‘দি ওল্ডম্যান এন্ড দি সি।’ তবে এই কাহিনি মাথায় তিনি ১৬ বছর ধরে বয়ে নিয়ে বেড়ান। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি একটা গদ্য লেখেন যার ভাষ্য এরকম ‘Old man fishing alone in a skiff out of Cabanas’ who hooked a big marlin that dragged him estward for two days….

দীর্ঘ ১৬ বছর আগে যে-কাহিনি কিংবা ঘটনাটা তিনি উল্লেখ করেছিলেন তা লেখা জরুরি হয়ে পড়লো ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের পরপরই। এই ব্যাপারটা গুরুত্বের দাবি রাখে কারণ আখ্যানের প্রোটাগনিস্ট-এর মধ্যে হেমিংওয়ে আসলে তার নিজেকে চিত্রায়িত করেন।
ব্যাপারটা কীভাবে ঘটলো সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া যাক। ‘এক্রস দি রিভার এ্যান্ড ইনটু দি ট্রিজ’ (১৯৫০) প্রকাশের পর ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ‘দি ওল্ডম্যান এন্ড দি সি’ প্রকাশিত হলে হেমিংওয়ে প্রমাণ করেন যে, লেখালেখির জগতে তিনি ফুরিয়ে যাননি। ব্যাপারাটা খুব গভীরভাবে আখ্যানের কাহিনির মধ্যে প্রোথিত। চুরাশি দিন মৎস্য শিকারে ব্যর্থ হওয়ার যে-পালা চলে তাতে বৃদ্ধ জেলে সান্তিয়াগোকে নিয়ে অন্য জেলেরা টিটকারি মারে। অথচ এই সান্তিয়াগোর অতীত মৎস্য শিকারের ক্ষেত্রে অনেক সমৃদ্ধ। চল্লিশতম দিনের পর যে-ছেলেটি তার সহকারী হিসেবে সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য থাকতো তাকেও তার বাবা-মা ছাড়িয়ে নেয়। আসলে সবাই বৃদ্ধের শেষ দেখে ফেলে। এইরকম নিঃসঙ্গ একটি মানুষকে লেখক নির্মাণ করেন শুধু আখ্যানের খাতিরে ব্যাপারটা তেমন নয়। উপন্যাসের সেই বৃদ্ধের মতো সমালোচনা আর নিঃসঙ্গতা লেখকের মধ্যেও বিরাজমান ছিল। আখ্যানের শুরুর দিকে যখন সান্তিয়াগোর ঘর সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হয় তখন জানা যায় : ‘গুয়ানো নামক তালের শক্ত খোসা দিয়ে বানানো ঝুপড়ির ভেতরে একটা পুরান চৌকি, একটা টেবিল, একটা চেয়ার আর একটা ময়লা মেঝের একদিকে কাঠকয়লা পুড়িয়ে রান্নার জায়গা। শক্ত ওয়ালো পাতার দেয়ালে যিশুর একখানা রঙিন ছবি ঝুলানো, আরেকটা ছবি মাতা মেরির। এসব বুড়োর স্ত্রীর স্মৃতি। এই ছবি দুটির পাশে তার স্ত্রীরও একটা রং-করা ছবি ঝুলতো। কিন্তু ছবিটি বুড়োর নিঃসঙ্গতা বাড়িয়ে তুলে তাই সে ওটাকে নামিয়ে রেখেছে শেলফের কোণে তার পরিষ্কার শার্টটার নিচে।’ বৃদ্ধ জেলের এই নিঃসঙ্গতা এক অর্থে হেমিংওয়ের নিঃসঙ্গতা। বৃদ্ধের স্ত্রীর মৃত্যুর সঙ্গে হেমিংওয়ের একের পর এক স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি এবং আদ্রিয়ানার কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ব্যাপরটারই তুলনা চলে আসে। বাস্তবে হেমিংওয়ের জীবনে নারী অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এমনকি তার মায়ের সঙ্গেও শিথিল সম্পর্ক চলে বিশেষ করে তার পিতার আত্মহত্যার পর। আর এই ব্যাপারটা আখ্যানের একেবারে শেষাংশে আরেকভাবে হাজির হচ্ছে :
‘ওটা কী?’ সেই মাছের বিরাট কঙ্কালটা যা এখন শুধুই আবর্জনা সেটা নিয়ে পাশে দাঁড়ানো ওয়েটারকে দেখিয়ে মেয়েটি জানতে চায়।...
ওটা, ওয়েটার বলে, ‘হাঙর এই দশা করেছে।’ ব্যাপারটা কী ঘটেছে ওয়েটার বোঝানোর চেষ্টা করে।
‘আমি জানতাম না তো হাঙরের এমন সুন্দর আর আশ্চর্য ধরনের লেজ হয়।’
‘আমিও জানতাম না,’ মেয়েটির পুরুষ সঙ্গীটি সায় দেয়।
আখ্যানের শেষাংশের এই কথোপকথনে নারী চরিত্রটির মধ্যে যে-নির্বুদ্ধিতা দেখানো হয়েছে তাও যেন হেমিংওয়ের জীবনে অসুখীকর নারী অভিজ্ঞতার ফল হিসেবে।
প্রসঙ্গটা ছিল নিঃসঙ্গতা নিয়ে। আখ্যানে বৃদ্ধ সান্তিয়াগোর নিঃসঙ্গতার আরেক ধরনের রূপায়ন ঘটেছে খাওয়ার প্রতি তার অনীহা নিয়ে। ‘অনেকদিন হলো খাওয়ার প্রতি তার একটা বিতৃষ্ণা জন্মেছে,বড়ো বিরক্তিকর মনে হয়।’ ব্যাপারটা একটু খেয়াল করা দরকার। খাওয়ার প্রতি বিতৃষ্ণার পরেও বৃদ্ধ জেলে যার কোনো পরিজন নেই সে দিনের পর দিন মাছ ধরার জন্য সাগরে যাচ্ছে এবং ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসছে। তখন প্রশ্ন জাগে সে আসলে কী চায়? আর এই প্রশ্নের আলোকে খোঁজ পাওয়া যাবে তার স্বপ্নের। বৃদ্ধ স্বপ্ন দেখে তার ছেলেবেলার আফ্রিকার। ‘সান্তিয়াগো আর ঝড়-তুফানের স্বপ্ন দেখে না। মেয়েদেরকে দেখাও ছেড়ে দিয়েছে। কোনো বিরাট ঘটনা, বড়ো মাছ, লড়াই, নয়ত অতীত কোনো মল্লযুদ্ধের স্মৃতি এমনকি তার নিজের স্ত্রীকে পর্যন্ত সান্তিয়াগো আর স্বপ্ন দেখে না। আজকাল কেবল দেশ বিদেশেরই স্বপ্ন দেখে। আর দেখে বালুচরে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশালাকার সিংহের দল। উপকূলের আবছা আঁধারে সিংহগুলো খেলা করে বেড়াচ্ছে বিড়ালের বাচ্চার মতো।’ আখ্যানের শেষ লাইনটিও স্বপ্নের ‘সিংহের স্বপ্নে বৃদ্ধ তখন বিভোর।’ বৃদ্ধের স্বপ্ন দেখা এবং স্বপ্নে অতীতচারি হয়ে পড়া একটা সিম্বল। বিশেষ করে স্বপ্নে আফ্রিকা এবং সিংহ বিচরণ। সিংহ একটা সিম্বল। আর অতীতচারিতা হচ্ছে সেই সোনালি সময় যেমন প্রোটাগনিস্ট বৃদ্ধ সান্তিয়াগোর ক্ষেত্রে তেমনি আর্নেস্ট হেমিংওয়ের বেলাতেও। সিংহ এখানে শক্তির আধার হিসেবে আসছে। এটা একইসঙ্গে মানসিক এবং শারীরিক। ফলে মাছের কঙ্কালটা নিয়ে তীরে ফেরার পর সান্তিয়াগোর স্বগোতক্তি :
হেরে যাওয়াটা বড়ো সোজা, সান্তিয়াগো ভাবে। আমি জানাতমই না হেরে যাওয়াটা কতো সোজা হতে পারে। আমি হারলাম কিসে, সান্তিয়াগো শুধায়।
‘মোটেই না, আমি হারিনি, কোনো কিছুর জন্যই নয়,’ নিজেই জবাব দেয়, শুধুমাত্র বেশিদূর চলে গিয়েছিলাম তাই।’
তার এই না হারার ব্যাপরটাই সিংহের সিম্বল হয়ে এসেছে। আর আর্নেস্ট হেমিংওয়ে হয়তবা তার নিজের লেখা নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষিতে বলতে চেয়েছেন একই কথা যা সান্তিয়াগোর মুখ থেকে বেরোয়। আখ্যানটির পাণ্ডুলিপি সম্পাদককে পাঠানোর পর হেমিংওয়ে বলেন,I know that it is the best I can write ever for all of my life, I think, and that it destroys good and able work by being placed alongside of it.’ তিনি আরো যোগ করেন, ‘get rid of the school of criticism that I am through as a writer .’
বৃদ্ধ সান্তিয়াগো যেমন মার্লিন নিয়ে তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন যে-এটা তার জীবনে ধরা এবং দেখা সবচেয়ে বড়ো মাছ তেমনি আখ্যান নিয়ে হেমিংওয়ের কথাগুলো একই অর্থ বহন করে। একই সঙ্গে সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তার লেখক সত্তা বিষয় সন্দেহ প্রকাশ করা নিয়ে।
কোনো কোনো সমালোচক এই আখ্যানকে অ্যালিগরিক্যাল হিসেবে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন। তারা এই আখ্যানের কাহিনির উপরিতল আর গভীরতলের আলাদা আলাদা দুইটা অবস্থা দেখান যাকে শুভ আর অশুভর লড়াই হিসেবে প্রতিপন্ন করা হয়েছে । যা মানুষের অস্তিত্বে : প্যাগান মিথোলজি, বাইবেলের ওল্ড এন্ড নিউ টেস্টামেন্টসহ প্রাচীন থকেই বিদ্যমান। এই আবস্থা থেকে ধরা হচ্ছে, সান্তিয়াগো হচ্ছে আধ্যাত্মিক গুরু, বৃদ্ধ মানব অথবা বার্ধক্য। ম্যানোলিন হচ্ছে জনতা, পুত্র, বালক কিংবা যৌবন। মার্লিন হচ্ছে সৌন্দর্য আর হাঙর হচ্ছে অশুভ শক্তি, অসুর। কিন্তু সমালোচকদের এই অ্যালিগরিক্যাল ভঙ্গিটি যা সিম্বলিক হিসেবে দেখিয়েছেন আর্নেস্ট হ্যামিংওয়ে তা অগ্রাহ্য করেন। সমালোচক Bernard Berenson-এর উদ্দেশ্যে তিনি লেখেন : ‘There isn’t any symbolism. The sea is the sea. The old man is an old man… The sharks are all sharks no better and no worse. All the symbolism that people say is shit. What goes beyond is what you see beyond when you know.’

এইসব সাহিত্যিক আলাপের বাইরেও একজন ওল্ডম্যানের খোঁজ পাওয়া যায়। কিউবান সেই মানুষটার নাম গ্রেগরি ফুয়েন্তেস আর হেমিংওয়ে যে-জাহাজে মৎস্য শিকারে যেতেন তিনি ছিলেন সেই জাহাজের নাবিক। যদিও হেমিংওয়ে ওল্ডম্যান সম্পর্কে বলেছেন ‘Nobody in particular’
তবুও প্রতিটি মানুষের মনে একজন ‘ওল্ডম্যান’ বসত করে।  

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা