X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

কে পাচ্ছেন সাহিত্যের নোবেল?

দুলাল আল মনসুর
০৬ অক্টোবর ২০১৬, ০৯:৫২আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০১৬, ১০:৪৯

কে পাচ্ছেন সাহিত্যের নোবেল?

শুরু হয়ে গেছে ২০১৬ সালের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা। অন্য যেকোনো বিষয়ের চেয়ে সাহিত্যের নোবেল পুরস্কারের দিকে নজর রাখা পাঠকের সংখ্যা সন্দেহাতীতভাবেই বেশি। নানাদিক বিবেচনা করে সাহিত্যের আদর্শ সৃষ্টিতে কবি-লেখকদের এই পুরস্কার দেয়া হয়। তবে নোবেল কমিটি কখন কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দিবে তার কোনো আগাম ছক আঁকা সম্ভব নয়। সাহিত্যিকের ভৌগলিক অবস্থান, ভাষা, লিঙ্গ, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ও বিবেচনায় রেখে অনুমান করার যায়। তবে কখনও কখনও মিলে গেলেও অনেক সময়ই সেসব বিষয়ের ওপর ভরসা করে লাভ হয় না।

এখানে অসুবিধাটা হলো বিশ্বের অন্যান্য পুরস্কারের বেলায় দীর্ঘ তালিকা এবং হ্রস্ব তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু নোবেল পুরস্কারের বেলায় সে ব্যবস্থা নেই। বিচারকদের নামও প্রকাশ করা হয় না। কাজেই অনুমান করাটা কঠিন।

গত দশ বছরে ব্রিটিশ জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠান ল্যাডব্রক্স অবশ্য প্রায় পঞ্চাশ ভাগ অনুমান সত্যে পরিণত করতে পেরেছে। যারা বাজির পেছনে ভূমিকা রাখে তারা সত্যিকারের লেখকের গুণাবলী সম্পর্কে তেমন কিছু না জেনেও বাজিতে অংশ নেয়। 

বেশ কয়েক বছর ধরে জাপানের কথাসাহিত্যিক হারুকি মুরাকামির নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়ে আসছে। যারা তাঁকে নিয়ে বাজি ধরেছেন তারা অবশ্য এযাবৎ দেখে আসছেন, কোনো এক অজানা কারণে মুরাকামির দিকে দৃষ্টি দেয়নি নোবেল কমিটি। অন্যান্য বছরের মতো এবারও তাঁর নামটিই তালিকার সবার ওপরে রয়েছে। তাঁর সঙ্গে আছেন সিরিয়ার কবি অ্যাডোনিস, আমেরিকার কথাসাহিত্যিক ফিলিপ রথ, কেনিয়ার কথাসাহিত্যিক নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো, আমেরিকার কথাসাহিত্যিক জয়েস ক্যারল ওটস, আলবেনিয়ার লেখক ইসমাইল কাদারে, স্প্যানিস ঔপন্যাসিক হাভিয়ার মারিয়াস, নরওয়ের নাট্যকার জন ফসে, দক্ষিণ কোরিয়ার কবি কো উন, আইরিশ ঔপন্যাসিক জন বানভিল প্রমুখ।

হারুকি মুরাকামি মুরাকামি লিখেছেন উপন্যাস, ছোটগল্প এবং প্রবন্ধ। তাঁর পাঠকপ্রিয় উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে, হেয়ার দ্য উইন্ড সিং, ডান্স ডান্স ডান্স, স্পুটনিক সুইটহার্ট, কাফকা অন দ্য শোর, আইকিউ ৮৪ ইত্যাদি। বার্থডে স্টোরিজ, আফটার দ্য কোয়েক, ব্লাইন্ড উইলো স্লিপিং উওম্যান- এগুলো তাঁর গল্পগ্রন্থ। তাঁর লেখা জাপানি ভাষায় প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো অনেক ভাষায় অনূদিত হয়ে যায়। তাঁর লেখা এযাবৎ প্রায় পঞ্চাশটিরও অধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আমেরিকার কথাসাহিত্যিক রেমন্ড কারভারের গল্পের বই ‘হোয়াট উই টক অ্যাবাউট হোয়েন উই টক অ্যাবাউট লাভ’-এর নামানুসারে মুরাকামি তাঁর হাঁটার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন, ‘হোয়াট আই টক অ্যাবাউট হোয়েন আই টক অ্যাবাউট রানিং।’ তাঁর আরো প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে, আন্ডারগ্রাউন্ড এবং ওয়াক, ডোন্ট রান। দ্য গার্ডিয়ানের মতে মুরাকামি বিশ্বের জীবিত মহান ঔপন্যাসিকদের অন্যতম। মুরাকামি সারাবিশ্বে এত বেশি জনপ্রিয় হলেও তাঁর জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া কয়েক বছরেও সম্ভব হলো না। তার একটি কারণই হতে পারে, তিনি এত জনপ্রিয় কেনো। নোবেল কমিটির হয়তো মনে হয়ে থাকতে পারে, জনপ্রিয়তা তাঁদের কাছে প্রধান কিংবা একমাত্র মাপকাঠি নয়। সে জন্যই হয়তো মুরাকামি এতদিনও নোবেলজয়ী হতে পারেননি। 

অ্যাডোনিস মুরাকামির পর যাঁরা সম্ভাবনার তালিকার শীর্ষে এসেছেন তাঁদের অন্যতম আলী আহমদ সাইদ। সিরিয়ার এই কবির ডাকনাম অ্যাডোনিস। এ সময়ের আরব সাহিত্যের  প্রধান কবিদের অন্যতম তিনি। নোবেল পুরস্কার ঘোষণার সময় এলে প্রতি বছরই তাঁর নাম আলোচনায় আসে। ল্যাডব্রক্সের বাজির তালিকাতেও তাঁর অবস্থান অনেক বছর ধরেই ওপরের দিকে রয়েছে। অ্যাডোনিসের পুরস্কার পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কারণও একাধিক। তিনি আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী কবি। তাঁর কবিতার মধ্যে রাজনীতির যথেষ্ট সুস্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যায়। বাশার আল আসাদের প্রতি তাঁর সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নোবেল কমিটির অনুকম্পা পাবে কি না বলা মুশকিল। কেননা খোদ রাজনীতির ছায়াটাই তাঁর বিপক্ষে যেতে পারে। নোবেল কমিটি হয়তো এরকম সঙ্কটময় ভৌগলিক অবস্থান এবং রাজনৈতিক আবহের কারণে তাঁকে এড়িয়েও যেতে পারে।
ফিলিপ রথ এবারের নোবেল পুরস্কারের সম্ভাবনাময় লেখক হিসেবে বাজিকররা যা-ই মনে করুন না কেন, পাঠকদের কাছে তো কোনো দিক থেকেই ফিলিপ রথের নাম দূরের মনে হতে পারে না। আমেরিকার কথাসাহিত্যিক রথ তাঁর লেখায় এমন এক জগত তৈরি করেন যেখানে বাস্তবতা আর কল্পনার রেখা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। রচনার মধ্যে আত্মজীবনীমূলক উপাদানের মিশ্রণ ঘটানোর অনেক উদাহরণ পাওয়া যায় তাঁর লেখায়। দর্শনের মিশেলে তিনি ইহুদি ও আমেরিকার সত্তার দ্বৈত উপস্থাপন ঘটান। জীবনের অনেক গূঢ় বাস্তবতাকে তিনি অবলীলায় সামনে নিয়ে আসেন। আগেও অনেক বার তাঁর নামটি সামনের দিকেই থেকেছে। এবারও আছে। নোবেল কমিটির প্রতি ফিলিপ রথের দৃষ্টিভঙ্গি খুব একটা আশাবাদী কিংবা ভরসার মনে হয়নি। সে কথা কমিটির সদস্যদের মনে রথ-বিরোধী মনোভাব তৈরি করেও থাকতে পারে। তবু শেষ পর্যন্ত আশা করা যেতে পারে, তিনি পুরস্কার পাবেন।
নগুগি ওয়া থিয়েঙ্গো নগুগি ওয়া থিয়েঙ্গো বিগত অনেক বছর ধরেই পাঠকদের মনে আশার আলো জাগিয়েছেন নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির বিবেচনায়। আফ্রিকার কথাসাহিত্যের প্রথম দিকপাল চিনুয়া আচেবে অনেকদিন পাঠকমনে আলো জ্বালিয়ে রেখে শেষমেষ নোবেল পুরস্কার না পেয়েই মুত্যুবরণ করেছেন। কেনিয়ার নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গো বয়সে আচেবের চেয়ে প্রায় এক দশকের ছোট। পাঠকরা স্বাভাবিকভাবেই আশা করতে পারেন তাঁকে নিয়ে। ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রবন্ধকার, সম্পাদক ও শিক্ষাবিদ নগুগি আফ্রিকার সাহিত্যের আন্তর্জাতিক লেখকদের মধ্যে যারা অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন তাঁদের সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের, বিশেষ করে উত্তর-ঔপনিবেশিক যুগের লেখকদের সেতুবন্ধন তৈরি করেছেন। তাঁর লেখায় প্রাধান্য পেয়েছে আফ্রিকার ঔপনিবেশিক অবস্থা থেকে উত্তর-ঔপনিবেশিক অবস্থায় স্থানান্তরকালের টানাপোড়েন এবং আধুনিক মানুষের জীবন জটিলতার চিত্র। আ গ্রেইন অব হুইট, দিস টাইম টুমরো, পেটালস অব ব্লাড, দ্য ট্রায়াল অব দেবান কিমাথি, ডিকলোনাইজিং দ্য মাইন্ড, মাদার সিং ফর মি, মুভিং দ্য সেন্টার ইত্যাদি তাঁর গ্রন্থগুলোর অন্যতম। ১৯৮৬ সালে নাইজেরিয়ার নাট্যকার ঔপন্যাসিক ওলে সোয়েঙ্কা সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তারপরে আর কোনো কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান এ পুরস্কার পাননি। শুধু ২০০৩ সালে জে এম কোয়েটজি পেয়েছিলেন। সুতরাং নগুগি এবার নোবেল পুরস্কার পেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমাদের দেশে তাঁর অনেক পাঠক আছেন। তারা আনন্দলাভ করবেন।
এবারের বিভিন্ন তরফে প্রিয়তর অবস্থানে আছেন আমেরিকার আরেক কথাসাহিত্যিক জয়েস ক্যারল ওটস। বহুলপ্রজ হলেও ওটসের লেখার মধ্যে প্রাণের উপস্থিতি বেশ জোরালো। আমেরিকার সমসাময়িক ভূবনের প্রাণবন্ত উপস্থাপনা তাঁর লেখার প্রধান বিষয়। তাঁর নিজের ভাষাও বিষয়বস্তুর সঙ্গে দারুণভাবে মানানসই। উই অয়ার দ্য মূলভানিস, ব্ল্যাক ওয়াটার, দ্য ম্যান উইদাউট আ শ্যাডৌ, ব্লন্ড, জম্বি ইত্যাদি তাঁর কথাসাহিত্যের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। টনি মরিসন ১৯৯৩ সালে পেয়েছেন এ পুরস্কার। তার পর দু’যুগেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। এবার ওটস কিংবা আর কোনো আমেরিকান নোবেল পুরস্কার পেতেই পারেন। অবশ্য ভৌগলিক বিচারে এবং লিঙ্গ বিচারে প্রতিবেশি দেশ কানাডার নারী লেখক এলিস মুনরো দু’বছর আগে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বলে আমেরিকার নারী লেখক জয়েস ক্যারল ওটসের সম্ভাবনা একটু কমেও যেতে পারে। তাছাড়া গত বছর ২০১৫তে আরেক নারী লেখক সুয়েতলানা অ্যালেক্সিয়েভস তো পেলেনই।  অন্যদিকে আমেরিকার কথা কিংবা শুধু ইংরেজির কথা উঠলে ডন ডেলিলোর নাম আসতেই পারে। সমসাময়িক মানুষের জটিল জীবনের বয়ান খুব নিচু স্বরে তুলে ধরেন তিনি। আবেগের আহমরি ঢেউ নেই এই কমমোপলিটান লেখকের লেখায়। বাজিঅলাদের কাছে অবশ্য এবার তাঁর নাম একটু পিছিয়ে গেছে। তাতে বোদ্ধা নোবেল কমিটির মানদণ্ড টলবে না বলা যায়, যদি এবার তিনি পেয়েই যান এ পুরস্কার। 

ইসমাইল কাদারে বিচার কিংবা বাজি যেটাই সত্য হোক তাতে আলবেনিয়ার বর্ষীয়ান লেখক, কবি কথাসাহিত্যিক ইসমাইল কাদারে এবার নোবেল পুরস্কার পাবেন তা তো বলা যায়ই। ১৯৬০-এর দশক থেকেই তিনি আলবেনিয়ার প্রভাবশালী এবং নেতৃস্থানীয় লেখক। ১৯৬৩ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য জেনারেল অব দ্য ডেড আর্মি প্রকাশ পাওয়ার আগ পর্যন্ত কাদারে কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। তাঁর এ উপন্যাসটিই তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিয়েছে। এছাড়া কয়েক দশক জুড়ে তাঁর নামটি পাঠকদের মুখে উচ্চারিত হয়ে আসছে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার মৌসুম আসতে না আসতে।
ভাষার বিচারে বলা যায়, গত দু’বছর ইংরেজি ভাষার লেখকদের দেয়া হয়নি এ পুরস্কার। সে দিক থেকে বিচার করলে এবার হয়তো সরাসরি ইংরেজিতে লেখেন এমন কোনো সাহিত্যিককেই দেয়া হবে নোবেল পুরস্কার। এ সম্ভাবনার কথা আরো জোর দিয়ে বলা যায় গত শতকের ১৯৯১, ১৯৯২, এবং ১৯৯৩ সালের পুরস্কার প্রাপ্ত নাদিন গর্ডিমার, ডেরেক ওয়ালকট এবং টনি মরিসনের কথা উল্লেখ করে। তাঁরা তো সরাসরি ইংরেজিতেই লিখেছেন।

ইংরেজিভাষী লেখক না হলে স্প্যানিস ঔপন্যাসিক হাভিয়ার মারিয়াস, আন্তনিও মলিনা, কিংবা ইদানিং কোনো জরিপে নেই কিন্তু আন্তর্জাতিক পাঠকের বেশ প্রিয় কথাসাহিত্যিক ইসাবেল আইয়েন্দে পেয়ে যেতে পারেন এবারের নোবেল পুরস্কার।

মিলান কুন্ডেরা ফ্রান্স-প্রবাসী চেক কথাসাহিত্যিক মিলান কুন্ডেরা মনে হয় জনপ্রিয়তার মাপকাঠি পার হয়ে বেশি ওপরে চলে গেছেন, অনেকটা মুরাকামির মতোই। তবু কোনো এক অজানা কারণে প্রিয় লেখকের নামটি এবার কম উচ্চারিত হচ্ছে তাঁর পাঠকদের মুখে। বাজিকরদের কাছেও তিনি পিছিয়ে গেছেন। গত কয়েক দশকে তাঁর নাম বেশ জোরেশোরেই উচ্চারিত হয়েছে। অতি সম্প্রতি, দু’তিন বছর আগে থেকে, তাঁর নাম আড়ালে চলে যাচ্ছে নোবেল সম্ভাবনার মৌসুমে। তিনি এই বয়সে এসে নোবেল পুরস্কার পেলে আমাদের দেশের অনেক পাঠক খুশি হবেন সত্যিই।
২০১২ সালে চীনা লেখক মো ইয়ান এ পুরস্কার পেয়েছেন। তা-ই বলে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্ষীয়ান কবি কো উনের সম্ভাবনা একেবারে কমে গেছে তা নয়। বরং কথা সাহিত্যের নোবেল পুরস্কারের বিশাল কাতারের মাঝে কবিতার রং লাগতে পারে কো উনকে নিয়ে। সুতরাং এশিয়াবাসী সংগত কারণেই আশা করতে পারে, কো উন এবারের নোবেল পুরস্কার পাবেন।
বয়সের বিচারেও একটা গুরুত্ব থাকতে পারে এবার। নাইজেরিয়ার চিমামন্দা নগোজি আদিচির নাম কিন্তু উচ্চারিত হয়েছে কারো কারো মুখে। তাঁর বয়স কম হলেও এই বয়সে তাঁর লেখার ওজন কোনো দিক থেকেই কম নয়। আচেবের যোগ্য উত্তরসূরি তিনি। আগ্রজের অপ্রাপ্তি হয়তো তাঁর মাধ্যমেই পূরণ হতে পারে। রুডইয়ার্ড কিপলিং তো অল্প বয়সেই পেয়েছিলেন এ পুরস্কার।
মিশরের নারী লেখক নাওয়াল আল সাদাউই, হাঙ্গেরির ঔপন্যিাসিক, নাট্যকার পিটার নাদাস, সোমালিয়ার ঔপন্যাসিক নুরুদ্দিন ফারাহ, আর্জেন্টিানার কথাসাহিত্যিক সিজার আয়রা, ব্রিটিশ লেখিকা এ এস বায়াট, চীনের কবি বেই দাও, স্পেনের ঔপন্যাসিক হুয়ান মারসে, ইরানের কথাসাহিত্যিক মোহাম্মদ দৌলতাবাদী, রুশ কথাসাহিত্যিক মিখাইল শিসকিন, বেলজিয়ামের কবি লিওনার্দ নোলেনস প্রমুখের যে কারো নাম নোবেল পুরস্কারের প্রাপক হিসেবে উচ্চারিত হতেই পারে।

কোনো বিচারে কোনো দিক থেকে যদি আমাদের অনুমান সত্যে পরিণত হয়, তাহলে বোঝা যাবে নোবেল কমিটির সঙ্গে পাঠকদের সংযোগ ঘটেছে। নইলে সান্ত্বনা হবে, এই যে যিনি পেলেন ইনিও কম মেধাবী নন। তবে আলোর সামনে এই প্রথম এলেন। এখন থেকে আমরা এঁকে ভালো করে চিনে নেব। 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার
যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার
‘আ.লীগকে বর্জন করলেই অন্য পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না’
‘আ.লীগকে বর্জন করলেই অন্য পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না’
বিজিএপিএমইএ’র নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা, শাহরিয়ার নতুন প্যানেল নেতা
বিজিএপিএমইএ’র নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা, শাহরিয়ার নতুন প্যানেল নেতা
রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত
রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!