X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১
বব ডিলানের সঙ্গে কথাবার্তা

গান গাইব বলেই আমি লিখি || শেষ-পর্ব

সাক্ষাৎকার : স্কট কোহেন || অনুবাদ : অলকানন্দা সেনগুপ্ত
১৭ অক্টোবর ২০১৬, ০০:০২আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০১৬, ০০:২৯

বব ডিলান
পূর্ব প্রকাশের পর
হাই স্কুল থেকে বেরনোর আগে কবিতাও আমি কোনো দিন লিখিনি। আঠারো বছর বয়সে আমি গিনসবার্গ, হ্যারি স্নাইডার, ফিলিপ হালেন, ফ্রাঙ্ক ও’হারা ইত্যাদিদের আবিষ্কার করি। তারপর র‌্যাঁবো, ফ্রাঁসোয়া ভিয়ঁ ইত্যাদি ফরাসি কবিদের লেখা পড়তে এবং সুর দিয়ে সেসব গাইতে শুরু করি। তখন লোকগানের একটা হাওয়া ছিল, আর কত যে জ্যাজ ক্লাব ছিল তার ইয়ত্তা নেই। এ দুয়ের মধ্যে বেশ একটা যোগাযোগও ছিল, কবিরাও সেখানে কবিতা পড়ত। কাগজে ছাপা কবিতার চেয়ে জ্যাজ ব্যান্ড-এর সঙ্গে কবিদের আবৃত্তির প্রভাব বরং আমার গানে বেশি পড়েছে।
আমার গানের ‘তুমি’ অনেক সময়ে আসলে আমি-ই, যে কথা বলছে নিজের সঙ্গে। অন্য সময়ে হয়তো আর কারও সঙ্গে আমি কথা বলেছি। কোনো গানে যদি নিজের সঙ্গে আমি কথা বলে থাকি, সেসব থামিয়ে আমি কখনো বলতে যাবো না যে, হ্যাঁ, এবার আমি তোমার সঙ্গে কথা বলছি। সে কোন জন, সে বাপু তোমাকেই বুঝে নিতে হবে। অনেক সমেয় আবার ‘তুমি’ কথা বলছে ‘তোমার’ সঙ্গেই। আমি ‘আমার সঙ্গে আমি’-র মতোই বদলে গেছে কখনো। এ এই আমি হতে পারে, আবার সে ‘আমি’ও হতে পারে যে আমাকে সৃষ্টি করেছে। অথবা তা একেবারে অন্য কেউ হতে পারে, যে বলছে যে ‘আমি’। এই মুহূর্তে আমি যখন ‘আমি’ বলছি, তখন আমি জানি না যে আমি কার সম্পর্কে এসব বলছি।
যত দিন আমি গান গাইবো বা রেকর্ড বের করবো, তত দিন ঠিক সে সময়ে চারপাশে যা চলছে তার সঙ্গে আমায় চলতে হবে। আমি পিট সিগার নই, যদিও মাঝে-মাঝে আমিও দু-তিন হাজার লোককে গান গেয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছি। কিন্তু পিট সিগার-এর মতো তা আমি কোনোদিনই করতে পারিনি। পিট এ ব্যাপারে মাস্টার, বিরাট জনতাকে শুধু গান গেয়ে সে এগিয়ে নিয়ে গেছে, যে-গানের ভাষাই হলো আলাদা। জনতার কাছে তার আবেদন প্রায় স্টিং-এর মতো। তাদেরও যে একটা গুরুত্ব আছে, একটা ভূমিকা আছে- এ তারা পিটের গান শুনে বুঝতে পারে, নিজেদের অনুভব করতে পারে। ‘টিয়ার্স ফর ফিয়ার্স’ যখন দেখেছি, মনে হয়েছে যেন একটা ফুটবল গেম দেখছি। ট্রাইবাল মেডিসিন ম্যানের মতোই সেখানে পিটের ভূমিকা- কথাটা সদর্থে বলছি আমি। রক অ্যান’ রোল পারফর্মারদের সম্পর্কে এ কথা কিন্তু বলা যায় না, অন্য লোকের কল্পনা নিয়ে কাজ করতেই তারা বেশি ব্যস্ত।
নিউপোর্ট ফোক ফেস্টিভালে বহু লোকের সামনে সে বারই প্রথম আমি ইলেকট্রিক গিটার বাজাই। তার আগেই কিন্তু ‘ব্রিঙ্গিঙ ইট অল ব্রাক হোম’ বেরিয়ে গিয়েছিল, সেটা বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছিল। তা হলে লোকে যে কেনো সামনাসামনি তা নিতে পারলো না, আমি জানি না। শ্রোতাদের মধ্যে একটা হুজ্জতি শুরু হয়েছে, সেটা ধরতে পারলেও তার কারণ কিছু তখন আমি বুঝতে পারিনি। আজেবাজে কিছু করলে তো লোকে বেশ মেনে নেয়, তা হলে যা স্বাভাবিক তেমন কিছু করলে লোকে অমন দাঙ্গা বাধায় কোনো? সে লোকে যাই করুক, আমার কাছে তার কোনো গুরুত্ব নেই।
তথাকথিত সম্পর্ক নিয়ে সাধারণত আমি লিখি না। মিথ্যে ভণিতার ওপর কোনো সম্পর্ক দাঁড়িয়ে থাকলে আমি তাতে নেই। তার মানে এই নয় যে তেমন কোনো সম্পর্ক আমার হয়নি। হয়েছে, কিন্তু সেসব আমি বেশি দূর টেনে নিয়ে যাইনি। আমার জীবনটা প্রায় খোলা বইয়ের মতো। কাছের লোকদের সঙ্গে তো আমি মিশতেই চাই, তারাই তা চায় না।
আমার অধিকাংশ গানে আমি জানি যে আমি কার সম্পর্ক বলছি আর কাকে উদ্দেশ্য করে গাইছি। ’৭৮-এর পর থেকে এ কথা আরো সত্যি। ’৭৮-এর আগের লোকজনেরা এখন আর নেই, সব হারিয়ে গেছে। প্রকাশ্যে সেসব গান আর গাইতে চাই না। সেখানে কিছু-কিছু জায়গা আছে, কিছু সময়ের ব্যাপার জড়িয়ে আছে, যার সঙ্গে এখন আর তেমন ঘনিষ্টতা বোধ করি না। ‘ডিজায়ার’ এলবামের গানগুলোর কথাই ধরো- কুয়াশায় ভরা। ’৭৮-এর পর থেকে সব চরিত্রই ভীষণভাবে বাস্তব আর তারা আজও বেঁচে। যাদের মধ্যে মহত্ত্বের খানিক আঁচ পাই, তাদের নিয়ে কথা বলতে তবু ইচ্ছে করে, তাদের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক খুঁজতে ভালো লাগে।
ভিডিয়ো ব্যাপারটা আমার কাছে ভারি বেখাপ্পা লাগে। ডেভ স্টুয়ার্ট-এর সঙ্গে শেষ যেটা করেছি, সেটা ঠিক আছে, কিন্তু অন্যগুলো? জানি না, আমাকে যা করতে বলা হয়েছে, তাই করে গেছি স্রেফ। ও নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। রেকর্ড বের করতে চাইলে ও তোমায় করতেই হবে। কোনো উপায় নেই। কিন্তু কথা হচ্ছে, তারপরও তোমাকে বাপু প্রকাশ্য মঞ্চে গাইতে হবে, ভিডিয়োর আড়ালে লুকিয়ে থাকলে চলবে না। ভিডিয়ো নিয়ে মাতামাতিটা খানিক কমলে লোকে আবার খেয়াল করে দেখবে যে কে প্রকাশ্যে অুনষ্ঠান করে, আর কে করে না।
আমার ক্ষেত্রে সেন্সরশিপ কীসের? ওপরের দিকের জনা-চল্লিশেক শিল্পী ও নিয়ে ভাবুক। যাদের রেকর্ড এখন হিট করছে, এসব তাদের ব্যাপার। আমার আর এখন সেসব নেই। আমি তো সেই পুরনো গানই ইদানীং নতুন করে লিখছি, যেমন আমার মনে হচ্ছে এখন, যে-ভাবে মনে হচ্ছে। ঐসব হিট রেকর্ড আমি কিনতেও যাই না কখনো, ভালোই লাগে না। তো, এখন তুমি রেডিয়োয় এক্স-রেটেড, না আর-রেটেড, কী গান শুনছে, তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা কীসে। যদিও এসব যা হচ্ছে, ভালো হচ্ছে না। আমি এর বিরুদ্ধে।  
বরাবরই বিশেষ এক ধরনের মেয়েদের প্রতি আমি আকর্ষণ বোধ করেছি। কণ্ঠস্বরই সেখানে আসল। প্রথমে সেটাই আমি শুনি। বেড়ে ওঠার সময়ে ঐ ধ্বনিই তো আমি শুনেছি, ঐ তো আজও আমায় ডাকে। সব যখন মুছে যায়, সব শূন্য হয়ে যায়, তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেপল সিঙ্গারস-এর গান শুনি। এ যেন গসপেল শোনার অভিজ্ঞতা। অথবা ক্রিস্ট্যাল-এর রেকর্ড-এ ঐ কণ্ঠ, ‘দ্য হি কিসড মি’, ক্লাউডি কিং, মেমফিস মিনি- এই সবই শুনি আমি। ঐ কণ্ঠে কী যে যাদু আছে! যখনই তা শুনতে পাই আমি, হাতের সব কাজ সরিয়ে রেখে শুনতে বসে যাই।
শরীরের সঙ্গে কণ্ঠ না-মিললেও শরীর তো শরীরই। কোনো মেয়ে কালা হতে পারে, বোবা হতে পারে, বিকলাঙ্গ বা অন্ধ হতে পারে, তবু তার আত্মা তো থাকে, থাকে সহমর্মিতা। আমার কাছে সেটাই আসল। আর কণ্ঠস্বরেই সেটা সবচেয়ে ভালো বোঝা যায়।
ফ্রয়েড আমি কোনো দিন পড়িনি। তিনি যা বলেছেন, সে সবে কোনো আকর্ষণই বোধ করি না আমি। মনোবিশ্লেষণ নিয়ে তিনি বিস্তর ফালতু জিনিশ ছড়িয়েছেন, তার ওপর রয়েছে এ নিয়ে ব্যবসা। মনোবিশ্লেষণ কাউকে সাহায্য করেছে বা করতে পারে, এ আমি বিশ্বাস করি না। এ এক বিরাট জোচ্চুরি। হাজার-হাজার ডলার এভাবে হস্তান্তরিত হয়ে যাচ্ছে, যা এর চেয়ে ঢের ভালো কাজে ব্যবহার করা যেত।
পঞ্চাশ, ষাট, সত্তর বছর বয়সের আগে বহু লোকের বাবা-মা নিয়ে নানান সমস্যা থাকে। বাবা-মায়ের আওতা থেকে তারা বেরতেই পারে না। আমার কিন্তু এ নিয়ে কোনো সমস্যা ছিল না। যেমন ধারা যাক, লেনন-এর ছিল- ‘মা, আমি তোমাকে পেয়েছি, কিন্তু তুমি আমায় কোনো দিন পাওনি’- এ আমি ভাবতেই পারি না। আমি জানি, এ সমস্যা অনেকের আছে। এই পৃথিবীতে নিশ্চয়ই বহু অনাথ শিশু আছে, কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা তো সে রকম নয়। আমি আমার ঠাকুমার কাছে বড় হয়েছি। তিনি ছিলেন এক অসাধারণ মহিলা। তাঁকে আমি এত ভালোবাসতাম যে আজও তাঁর অভাব বোধ করি।
বব ডিলান পূর্বজন্মে আমি র‌্যাঁবো ছিলাম বলে প্যাটি স্মিথ যা রটিয়েছে, তার ঠিক-ভুল আমি কিছু জানি না। হতে পারে, প্যাটি হয়তো এমন গভীর বিশদে সব জানে, যা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র সচেতনতা নেই। ও হয়তো কোনো সূত্র পেয়েছে, যা আমার আয়ত্তের বাইরে। অন্তত এক ডজন মহিলাকে জানি, যারা মনে করে যে, তারা পূর্বজন্মে শেবা-র রানি ছিলো। পূর্বজন্মের বেশ কিছু নেপোলিয়ন-কে আমি চিনি, অন্তত জনাদুয়েক জোয়ান অফ আর্ক আর একজন আইনস্টাইন-কেও আমি চিনি।
মিনেসোটায় হিবিংয়ে খুব বেশি ইহুদি ছিলো না। যার ছিল, তাদের অধিকাংশের সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ছিলো। ইহুদিরা নানাভাবে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে- কেউ গোঁড়া, কেউ রক্ষণশীল, কেউ বা সংস্কারপন্থী- যেন স্বয়ং ঈশ্বর তাদের ঐসব নামে ডাকেন। খ্রিস্টানরাও তাই- ব্যাপ্টিস্ট, অ্যাসেম্বলি অফ গড, মেথডিস্ট, ক্যালবিনিস্ট। একটা লোকের পরিচয় কী, তা নিয়ে ঈশ্বরের কোনো মাথাব্যথা নেই। তুমি নিজেকে কী বললে, তাতে তাঁর কী যায়-আসে। আমি এর কোনো অর্থই বুঝি না, এই অহঙ্কারের। লোকে এমনভাবে কথা বলে, কাজ করে, বাঁচে যে মনে হয় তারা কোনো দিন মরবে না। কী থেকে যাবে মরার পর? কিচ্ছু না। একটা মুখোশ ছাড়া আর কিচ্ছু না।
বড় আকারে কেউ কিছু করলে স্বদেশে সব সময়ে প্রত্যাখ্যাত হয় আর গৃহীত হয় অন্য কোথাও। একথা বুদ্ধের সম্পর্কেও বলা যায়। বুদ্ধ কে? এক ভারতীয়। বৌদ্ধ কারা? চিনারা, জাপানিরা, এশিয়ার অন্য লোকেরা, বৌদ্ধদের মধ্যে তারাই সংখ্যগুরু। একই কথা যিশু সম্পর্কেও- এক ইহুদি। কাদের কাছে তাঁর আবেদন? তাদের কাছে, যারা বিরাটভাবে স্বর্গে যেতে চায়। কিন্তু সত্যি কথাটা একদিন ঠিক বেরবে, লোকে তার মধ্যে তৈরিও হয়ে যাবে, আর গোটা ব্যাপারটা সে দিকেই যাচ্ছে। তুমি এসব কথা চেঁচিয়ে বলতে পারো, কিন্তু তাতে কী আসে-যায়। এ তো হবেই। শ্লাঘার ওপর শ্লাঘা, এ ছাড়া আর কী।
রাজনীতি আজ বদলে গেছে। বিষয়টাই বদলে গেছে। ’৬০-এর স্কুল থেকে যারা বেরত, তাদের রাজনীতি শেখাতেন যে-অধ্যাপকেরা, তাঁরা ছিলেন রাজনৈতিক ভাবুক, আর এ রকম লোক তখন পথেঘাটে ছড়িয়ে ছিল। রাজনীতি যা শিখেছি, সব আমি শিখেছি রাস্তা থেকে, কারণ সেটা ছিল সামগ্রিক পরিবেশেরই একটা অংশ। এ আর এখন কোথায় শোনা যাবে? এখন সবাই নিজের নিজের জিনিশ ফেরত চায়। কোনো ঐক্য নেই। এই পুয়ের্তো রিকান প্যারাড হলো তো এই শুরু জার্মান উইক, এই পোলিশ ডে হলো তো ঐ চলে এলো মেক্সিকান প্যারাড। সবাই নিজের নিজের পতাকা নাড়ছে, কোনো ঐক্য নেই তাদের মধ্যে। ’৬০-এ কোনো বিভাজন ছিলো না। তখন আর এখনে এই হলো পার্থক্য। সবাই নিজেদের লোক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে, তাই বেরবে, উপায় কী? চারদিকে তাকিয়ে সবাই বুঝতে পারছে ভারসাম্য বলে আজ আর কিছু নেই।
সময় এখনো বদলাচ্ছে প্রতিদিন। আমি বরং প্রতিদিন আরো একটু ধীরে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কারণ সময় হয়তো বদলাচ্ছে, কিন্তু বদলাচ্ছে বড্ড দ্রুত। ‘শিশুকালে শিশুর মতো কথা বলেছি, ভেবেছি শিশুর মতো। যখন বড় হলাম, ছেলেমানুষি ছেড়ে দিলাম।’
স্পিন, বর্ষ ১ সংখ্যা ৮, ডিসেম্বর ১৯৮৫   

আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন-

গান গাইব বলেই আমি লিখি || পর্ব-১

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
দিল্লিকে ভয় ধরিয়ে হারলো গুজরাট
দিল্লিকে ভয় ধরিয়ে হারলো গুজরাট
ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদের মীমাংসা মামলার শুনানি ২৫ এপ্রিল
ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদের মীমাংসা মামলার শুনানি ২৫ এপ্রিল
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী