X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১
পান্ডাদের আপন দেশে

যেখানে এসে সব পথ মিশে গেছে

ফজল হাসান
০৩ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:১১আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:৪৩

টিয়ান’আনমেন চত্বরের উত্তর পাশে টিয়ান’আনমেন গেইট বা টাওয়ার

আমরা সি’আন রেল স্টেশন থেকে রাত আটটার বুলেট-ট্রেনে চড়ে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। বলতে দ্বিধা নেই যে, আমি এর আগে কোনোদিন বুলেট-ট্রেনে চড়িনি, এমনকি চাক্ষুসও দেখিনি। আমি শুধু লোকজনের মুখে গল্প শুনেছি, বই-পুস্তকে পড়েছি এবং আন্তর্জালে ছবি দেখেছি। তাই স্টেশনে পৌঁছানোর পরপরই আমার বুকের অন্দরে উত্তেজনার নেংটি ইঁদুর তোলপাড় করছিল। আমরা প্রায় এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে পৌঁছি। বলা বাহুল্য, স্টেশনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার জন্য বিদেশিদের পাসপোর্ট এবং দেশি যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিরাপত্তাকর্মীদের দেখাতে হয়।

আমাদের বিদায় জানানোর জন্য ট্যুর গাইড সুজান স্টেশনে এসেছে। যেহেতু আমাদের হাতে বেশ খানিকটা সময় ছিল এবং আমরা মাঝ রাত্তিরে বেইজিংয়ের হোটেলে পৌঁছবো, তাই সুজানের প্রস্তাব লুফে নিয়ে অনেকেই উপরের তালায় খাবার-দাবার কেনার জন্য দোকানের দিকে ছুটে যায়। অবশ্য ট্রেনের ভেতরও ক্যাফেটারিয়া আছে এবং সেখানেও খাবারের ব্যবস্থা আছে। যাহোক, আমাদের নির্ধারিত খাবারের অনিশ্চিয়তার জন্য আমরা যাইনি। আমাদের পরিস্থিতি বুঝে সুজান বলেছে, আমরা হয়তো সেদ্ধ শাক-সবজি জাতীয় খাবার পেতে পারি। আমাদের সঙ্গে হালকা খাবার ছিল। একসময় সুজানকে বললাম, আমরা যেহেতু খেতে যাচ্ছি না, তাই অন্যান্যদের মালপত্র আমরাই দেখভাল করতে পারবো। অনায়াসে তুমি যেতে পারো। সেই সাত-সকাল থেকে আমাদের সঙ্গে আছো, তোমার বাচ্চাটা তোমাকে সারাদিনে পায়নি। যাও, গিয়ে বিশ্রাম করো। আমার কথা শুনে সুজান চোখে-মুখে স্বভাবসুলভ হাসির রেণু ছড়িয়ে দিলো। তারপর আমাকে রীতিমত অবাক করে দিয়ে বললো, ধন্যবাদ। তোমাদের ট্রেন ছাড়া না পর্যন্ত আমি যেতে পারি না। এটা আমার দায়িত্ব, বলতে পারো কাজের এথিক্স। এছাড়া আমি ফোন করে বেইজিংয়ের গাইডকে বলবো যে, তোমাদের ট্রেন ছেড়েছে। সুজানের দায়িত্ব-জ্ঞান এবং কর্তব্যপরায়ণতা দেখে মনে মনে ভাবলাম, এরা উন্নতি করবে না তো কারা করবে?

যাহোক, পনের-কুড়ি মিনিটের মধ্যে সবাই হাতে করে খাবারের প্যাকেট নিয়ে ফিরে আসে এবং পাশের বেঞ্চিতে বসে খেতে থাকে। একসময় খাওয়া শেষ হলে সুজান আমাদের সবাইকে ডেকে জড়ো করে বললো, এই তিনদিনের ভ্রমণে তোমাদের প্রত্যাশায় বা চাহিদায় যদি কোথাও কোন খামতি থাকে, কিংবা কোনোকিছু তোমাদের মনঃপুত না হয়, তাহলে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

আমরা প্রায় সবাই এক সঙ্গে বললাম, তুমি নিশ্চিত থাকো যে, তোমার তরফ থেকে কোন ত্রুটি ছিল না। সবসময় তুমি তোমার দায়িত্বে নিষ্ঠাবান ছিলে। বরং আমাদের সঙ্গে থেকে ভ্রমণ আনন্দদায়ক এবং স্মৃতিময় করার জন্য তোমাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

একসময় আমরা আমাদের মালপত্র নিয়ে চলন্ত সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসি। ইতিমধ্যে স্টেশনে ট্রেন এসে দাঁড়িয়ে আছে। ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠিক আটটার সময় আড়মোড়া ভেঙে এপাশ-ওপাশ দুলতে দুলতে ট্রেন হালকা গতিতে চলতে শুরু করে। শুরুতে গতি ছিল কম, কিন্তু ক্রমশ গতি বাড়তে থাকে। কয়েক মিনিট বাদে দরোজার ওপর তাকিয়ে দেখি ট্রেন ঘণ্টায় ৩১০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলেছে। যাহোক, মাঝ পথে ছয়টা স্টেশন থেমে আমরা রাত সাড়ে এগারোটায় বেইজিং রেল স্টেশনে পৌঁছি। ট্রেন থেকে নেমে টার্মিনালের বাইরে এসে দেখি আমাদের হোটেলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ট্যুর কোম্পানীর পতাকা উঁচু করে একজন দাঁড়িয়ে আছে। পরিচয় পর্বের একসময় সে বললো, সে আমাদের আসল গাইড না। তার বড় ভাই আমাদের অফিসিয়াল গাইড। আরেক দলকে আনার জন্য সে গেছে বিমানবন্দরে। আমার দায়িত্ব স্টেশন থেকে তোমাদের হোটেলে পৌঁছে দেওয়া। কাল সকালে হোটেলের লবিতে তিমি মাছের মতো হোঁদল যাকে দেখবে, সেই হলো ওশেন, আমাই বড় ভাই। নিজের ভাইয়ের শারীরিক বর্ণনা দিয়ে সে রীতিমত হাসতে থাকে। হোটেলে আমাদের চেক-ইন করিয়ে সে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। দলের অন্যান্যদের সঙ্গে সকাল সাড়ে সাতটায় দেখা হবার প্রতিশ্রুতি জানিয়ে আমরাও আমাদের নির্ধারিত কক্ষে চলে যাই।

গভীর রাত। মোবাইলে সকাল সাতটার এলার্ম দিয়ে কোনরকমে ক্লান্ত শরীরটা নরম বিছানায় এলিয়ে দিই। কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘুমপরী এসে আলতো হাতে চোখের পাতা বন্ধ করে ঘুমের অতলে নিয়ে যায়, মোটেও টের পায়নি।

বেইজিং : যেখানে এসে সব পথ মিশে গেছে

নতুন জায়গায়, বিশেষ করে অপরিচিত বিছানায়, আমার খুব একটা ভালো ঘুম হয় না। যথারীতি সূর্য ওঠার ঢের আগে ঘুমপরী পরের রাতে আবার আসবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাওয়ায় ডানা মেলে ভেসে চলে যায় দূরের এক অচিন দেশে। আমি পারদের মতো ভারী চোখ নিয়ে আবছা অন্ধকারে এদিক-ওদিক তাকিয়ে থাকি এবং বেইজিং সম্পর্কে যেটুকু পড়াশুনা করে গিয়েছি, মনে মনে তা ঝালাই করার চেষ্টা করি। যাহোক, সাত সকালে একসময় আমরা তৈরি হয়ে নিচে হোটেলের লবিতে নেমে আসি। কাউন্টারের সামনে একজন নাদুস-নুদুস বয়স তিরিশ-পঁয়ত্রিশের চৈনিক দাঁড়িয়ে কাউন্টারের লোকটির সঙ্গে হাসি মুখে খোশগল্পে মশগুল। চৈনিকের দৈহিক গড়ন দেখে সেই সময় কেন জানি আমার মন বলেছে, ও-ই হবে ওশেন, আমাদের ট্যুর গাইড। তবুও আমি দ্বিধা-দ্বন্দ্বের দোলনায় দুলতে দুলতে কাউন্টারের লোকটির কাছে গিয়ে মেহেরুন এবং আমার নাম উল্লেখ করে বললাম যে, আমাদের গাইড ওশেন এলে বলো আমরা নাস্তা খেতে গেলাম। নাদুস-নুদুস লোকটি ঘাড় ঘুরিয়ে বড়ই দানার মতো ছোট চোখ তুলে পিট পিট করে তাকিয়ে বললো, আমিই ওশেন। ‘নাইস টু মীট ইয়ু’, বলেই সে তার তালিকায় আমাদের নামের পাশে টিক দিয়ে পুনরায় বললো, ‘অসুবিধা নেই। তোমরা নাস্তা খেতে যাও। আমি অন্যদের জন্য অপেক্ষা করছি।’ 

সকাল সাড়ে সাতটায় আমাদের দলের সবাই এসে লবিতে জড়ো হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা ওশেনের নেতৃত্বে বাসে চড়ে বসি। বাস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওশেনের মুখ দিয়ে কোন যতিচিহ্ন ছাড়া অনর্গল কথার খই ফুটতে শুরু করে। একের পর এক সারাদিনের ভ্রমণসূচী জানিয়ে দেয়, সঙ্গে স্থান এবং স্থাপনার অজানা এবং নেপথ্য কাহিনি। আমরা সুবোধ বালক-বালিকার মতো চুপচাপ শুনতে থাকি।    

ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি বলার আগে উৎসাহী পাঠক/পাঠিকাদের জন্য বেইজিংয়ের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে খানিকটা ধারণা দিচ্ছি।

অত্যাধুনিক এবং বাণিজ্যিক শহর সাংহাইয়ের পর রাজধানী বেইজিং হচ্ছে চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এই শহরের ভৌগলিক অবস্থান দেশটির উত্তর-পূর্ব অংশে। চীনা ভাষায় বেইজিং নামের অর্থ হচ্ছে ‘উত্তরের রাজধানী’, অর্থাৎ ‘বেই’ হলো ‘উত্তর’ এবং ‘জিং’ হলো ‘রাজধানী’। তবে বিগত তিন হাজার বছরের অধিক সময় ধরে বেইজিং বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। বেইজিংয়ের পূর্ববর্তী নাম ছিল পিকিং।

তৎকালীন কম্যুনিস্ট সরকার ১৯৪৯ সালে পিকিং নাম পরিবর্তন করে বেইজিং রাখে। কেননা স্বাধীনতার পর কম্যুনিস্ট সরকার প্রচলিত ‘ওয়েড-গাইলস্’ পদ্ধতির উচ্চারণ ছেড়ে ‘পিনইন’ পদ্ধতির উচ্চারণ চালু করে। ‘ওয়েড-গাইলস্’ নিয়ম অনুযায়ী উচ্চারণ পিকিং, অন্যদিকে ‘পিনইন’ পদ্ধতিতে উচ্চারণ বেইজিং। তবে শুধু উচ্চারণগত কারণে এই নাম পরিবর্তন ছিল অত্যন্ত নাটকীয় এবং জটিল। তার দু’টো কারণ ছিল। প্রথমত : বিশ্ব দরবারে চীনের রাজধানী হিসাবে বহুকাল ধরে পিকিং ছিল সুপরিচিত এবং দ্বিতীয়ত : নামকরণের এই পরিবর্তন ছিল তুলনামূলকভাবে বিশাল। যাহোক, পশ্চিমা দেশে নামকরণের পরিবর্তন ব্যাপক আকারে ধরা পড়ে চীনারা যখন সমস্ত সরকারী কাগজপত্রে পিকিংয়ের বদলে বেইজিং নাম পূর্ণাঙ্গভাবে ব্যবহার শুরু করে।

এ কথা সত্যি যে, চীনের রাজনৈতিক, শিল্প-সংস্কৃতি এবং শিক্ষাদীক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে বেইজিংয়ের স্থান সবার উপরে। এই শহরের ইতিহাস তিন হাজার বছরের পুরোনো। এই দীর্ঘ সময়ে চীনের চারটি রাজধানী শহরের মধ্যে বেইজিং বিগত আট শ’ বছরের ইতিহাস বহন করে আসছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বেইজিং হচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় জনবহুল শহর। আশেপাশের অসংখ্য কল-কারখানা এবং অগণিত যানবাহন চলাচলের জন্য শহরের চারপাশে বায়ু দূষণ অত্যন্ত প্রকট। তাই বায়ু দূষণের জন্য স্থানীয় জনগণ এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকের কাছে বেইজিংয়ের যারপরনাই দুর্ণাম রয়েছে। টিয়ান’আনমেন স্কয়্যারের বিশাল চত্বরের মাঝখানে দাঁড়ালেই এর সত্যতা বোঝা যায়। এই বিশাল চত্বরের যে কোন জায়গায় দাঁড়ালে চোখে পড়বে বাতাসে ধূলোবালির মিহিকণা নিবীড় মনে এদিক-ওদিক ইতস্তত ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য। মনে হবে কে যেন খোলা আকাশটা ধোঁয়াচ্ছন্ন পলেস্তারা দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। মেঘহীন দিনের অনেকটা সময় সেই পলেস্তারার ব্যুহ বিদীর্ণ করে ভূমিতে পৌঁছার জন্য উজ্জ্বল সূর্যকেও রীতিমত হিমশিম খেতে হয়। হঠাৎ বেইজিংয়ের বায়ু দূষণ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের মার্কিন সাংবাদিক আইভান ওসনোসিসের একটা মন্তব্য মনে পড়লো। তার কথাটা বাংলায় তরজমা করলে মোটামুটি এরকম দাঁড়ায়, ‘কেউ যদি কিছুদিন বেইজিংয়ে বসবাস করে, তাহলে চতুর্দিকের বায়ু দূষণ এবং পরিবেশ সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানতে পারবে।’

যাহোক, এই ভ্রমণ গদ্য লেখার শুরুতে বেইজিং সম্পর্কে উল্লেখ করেছি যে, কেউ যদি চীনের এক হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী চাক্ষুস দেখতে চায়, তাহলে তাকে বেইজিং যেতে হবে। কেননা প্রাচীন সভ্যতার নীরব সাক্ষী হিসাবে বেইজিং শহরের কেন্দ্রবিন্দু এবং আশেপাশে রয়েছে ইউনেস্কো ঘোষিত ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’-এর সাতটি প্রাচীন স্থান এবং স্থাপনা। এগুলো হলো : নিষিদ্ধ নগরী (ফরবিডেন সিটি), গ্রীষ্মকালীন রাজপ্রাসাদ (সামার প্যালেস), মহা প্রাচীর (গ্রেট ওয়াল), স্বর্গীয় উপসনালয় (টেম্পল অফ হেভেন), মিং সম্রাটদের স্মৃতিস্তম্ভ (মিং টুমস্), চৌকোডিয়ান গুহা এবং গ্র্যান্ড ক্যানেল। এছাড়া চীনের উন্মুক্ত রাজনৈতিক মঞ্চ হিসাবে খ্যাত টিয়ান’আনমেন স্কয়্যার বা চত্বর তো আছেই।

আমাদের ট্যুর প্যাকেজে বেইজিংয়ের সফরসূচী ছিল মাত্র চার দিনের। তাই স্বল্প সময়ের কথা বিবেচনা করে আমরা নিজেদের বাড়তি খরচে অতিরিক্ত আরো দু’দিন ছিলাম। পর্যটক এবং ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বেইজিংয়ে দর্শণীয় স্থান এবস স্থাপনার কোন অভাব নেই। যাহোক, ভ্রমণের প্রথম চারদিনের সফরসূচীতে আমরা যেসব দর্শণীয় স্থান এবং স্থাপনা ছিল, সেগুলোর মধ্যে টিয়ান’আনমেন স্কয়্যার, নিষিদ্ধ নগরী, গ্রীষ্মকালীন রাজপ্রাসাদ, মহা প্রাচীর এবং স্বর্গীয় উপসনালয় উল্লেখযোগ্য। এছাড়া আমাদের ভ্রমণ সূচীতে আরো ছিল বেইজিং শহরের আদিবাসী ‘হুটং’ পরিবারের সঙ্গে দুপুরের আহার, টি হাউজ পরিদর্শন ও বিভিন্ন ধরনের চা পান, খোলা পার্কে ‘তাই চি’ অনুশীলন, বেইজিং চিড়িয়াখানায় পান্ডা দেখা, বাইরে থেকে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত ‘বার্ড নেস্ট’ অলিম্পিক স্টেডিয়াম, সিল্ক ফ্যাক্টরী আউটলেট, জেইড ফ্যাক্টরী, রাতের বেলা বিখ্যাত ‘কুং ফু লিজেন্ড শো’, সন্ধ্যের ওয়াং ফু চিং স্ট্রীট, এবং কেনাকাটার জন্য সিল্ক মার্কেট।

বেইজিং সম্পর্কে একটা বিখ্যাত চীনা প্রবাদ আছে। হঠাৎ আমার মগজের ভেতর জেগে ওঠে, ‘বেইজিং হলো সেই শহর, যেখানে এসে সব পথ মিশে গেছে।’ আসলে ওপরে উল্লেখিত বেইজিংয়ের বিভিন্ন প্রাচীন স্থান এবং স্থাপনা সম্পর্কে জানলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। চলবে

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ সফরের জিম্বাবুয়ে দলে কিংবদন্তির ছেলে
বাংলাদেশ সফরের জিম্বাবুয়ে দলে কিংবদন্তির ছেলে
রাফাহ শহরে আবারও অভিযান চালাবে  ইসরায়েল?
রাফাহ শহরে আবারও অভিযান চালাবে ইসরায়েল?
রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে স্মরণ
রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে স্মরণ
কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা