X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

বইয়ের যাদুমন্ত্র

মুম রহমান
০৭ নভেম্বর ২০১৬, ১০:২৮আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০১৬, ১০:৪২

বইয়ের যাদুমন্ত্র
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষক ও অধ্যাপক এনি ই কামিংস তার ‘হোয়াট রিডিং ডাস ফর দ্য মাইন্ড’ নামক গবেষণাপত্রে প্রমাণ করেছেন, বই পড়া স্বাভাবিকভাবেই মানুষকে স্মার্ট করে, বয়স কমিয়ে দেয়। যে কোনো বয়সে যে কোনো বই পড়াই একজন মানুষকে উন্নতি আর সুখ দেয়। তার গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যারা অধিক জিপিএপ্রাপ্ত তারা নিজের পাঠ্যতালিকার বাইরেও নিয়মিত বই পড়ে।
নতুন এই যুগে এসে মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তা ও বিচ্ছিন্নতা কাজ করে। বই পড়া আপনার দুঃশ্চিন্তাকেও কমিয়ে দেয়। ডিপ্রেশনের রোগীকে বিভূতিভূষণের ‘চাঁদের পাহাড়’ কিংবা হেমিংওয়ের ‘ওল্ড ম্যান এ- দ্য সী’ পড়তে দিন। দেখবেন এটা ওষুধের মতো কাজ করবে। তার দুশ্চিন্তা-দূর্ভাবনা কখন কোথা দিয়ে পালিয়ে গেছে তিনি নিজেও টের পাবেন না। আপনার ঘরে অতি তিড়িংবিড়িং টাইপের ছানাপোনা আছে? কোনো চিন্তা নাই। ভালো দেখে একটা কমিকস কিংবা ছবির বই ধরিয়ে দিন, দেখবেন কোন যাদুমন্ত্রে শান্ত হয়ে ঘরের কোণে বসে আছে, কেবল তার চোখ আর মগজটা বইয়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বাকি শরীরটা আঠা দিয়ে জায়গাতেই আটকানো। ‘ট্রেজার আইল্যান্ড’ কিংবা ‘দিলুর গল্প’ আমাদের শৈশব কৈশোরের অনেক অস্থিরতাই কাটিয়ে ছিলো।
শুধু দুঃশ্চিন্তা বা চাপই কমায় না, বই পড়া মানুষকে শান্তিও দেয়। বিশ্বের মাদক ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারীর হাতে বই তুলে দিতে পারলে হয়তো পুরো চিত্রটাই পাল্টে যেতো। একবার ভাবুন, আমাদের রাজনৈতিক নেতারা টিভি চ্যানেলে ঝগড়া-ফ্যাসাদের সময়টুকুতে হাইরিখ হাইন কিংবা হেলাল হাফিজ পড়লে কতো ভালোই না হতো! টক শো’র বদলে বইশো’ হলে মন্দ হতো না। ঝগড়াটে পেশাদার টকশোবাজরা হাতে হাতে চ্যানেলের স্টুডিওতে বই নিয়ে যেতে। যে কোনো আলোচনার সূত্রপাত ঘটাতো দুটো বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে। কী ভালোই না হতে পারতো।  
যে কোনো কারণেই হোক (আমার ধারণা) কোনো এক বিচিত্র উপায়ে আমাদের মুরব্বিরা ছোটবেলাতেই অনেকের মনে বই সম্পর্কে একটা ভয় ঢুকিয়ে দিতে পেরেছিলো। তারা আমাদের জন্য যথার্থ বই নির্বাচন করতে পারেনি এবং পড়ার আনন্দটা চোখের সামনে প্রমাণ দিয়ে বোঝাতে পারেনি। রসগোল্লাও যদি জোর করে গেলানো হয় তা কার ভালো লাগে! আমাদের মাস্টার আর মুরব্বিরা বই বিষয়ে সিরিয়াস সব কথা বলে আমাদের অবস্থা অনেক সময় সিরিয়াস করে দেয়। বই পড়া যে একটা বিরাট বিনোদন এটা বহু আঁতেলরাও বুঝতে চায় না। ‘রিডিং ফর প্লেজার’ ব্যাপারটা আমাদের অনেকেই বোঝে না। ছোটবেলায় আমরা পড়েছি, লেখাপড়া করে যে গাড়িঘোড়া চড়ে সে। লেখাপড়া করলে আয়-উন্নতি হবে, গাড়ি-প্লেন (এখন তো আর ঘোড়ার দিন নেই) ইত্যাদি চড়া  হবে, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু পড়া-লেখার যে একটা নিজস্ব আনন্দ আছে সেটা বোঝাটা সবচেয়ে জরুরি। বইয়ের ঘ্রাণ আর কালো অক্ষরের বর্ণিল বাণীগুলো স্বয়ং যে কোনো পাঠকের জন্য বড় প্রাপ্তি হতে পারে। স্রেফ পরীক্ষা আর ক্যারিয়ারের জন্য পড়তে গিয়ে আমরা পড়াটাকেই বিরক্তিকর বোঝার পর্যায়ে নিয়ে যাই। আমি তো এমনি এমনি পড়ি, পড়ার আনন্দেই মাতি- এমন করে ভাববার লোক কই! সাঁতার কাটলে শরীর সতেজ হয়, স্বাস্থ ভালো হয়, কিন্তু জোর করে সাঁতার কাটাতে গেলে কেবল পরিশ্রমটাই হয়, উপরন্তু, জলের ভয়ও বাড়ে। কাজেই বড়দের বোঝানো উচিত, পানিতে দাপাদাপির আনন্দেই আমরা সাঁতার শিখেছি, বই পড়াটাও অজানা জগত বিচরণের আনন্দে কাটালে মন্দ কি। স্রেফ পড়ার আনন্দেই যদি আমরা বই পড়তে শিখি তাহলে হয়তো বই পড়ার হার ও উপকার দুটোই বাড়বে।
বই পড়া নিয়ে আমাদের শিক্ষকরা কিংবা মুরব্বিরা যতো উপদেশ দেয় তারা নিজেরা কিন্তু তা মানে না। উপদেশ না-দিয়ে যে কোনো বিষয়কে আকর্ষণীয় করে তুলতে মন আপন মনেই সেদিকে ছুটে যাবে। আমাদের বই পড়া নিয়ে যে ভীতি বা অনুৎসাহ আছে তার জন্য অনেকটা হয়তো আমাদের নিরস পাঠ্যবই আর সৃষ্টিশীলতাহীন কিছু ব্যক্তিই দায়ী।
স্রেফ বিনোদন কিংবা নেশা হিসাবেও যে বই পড়া যায় সেটা কজন জানে, মানে! অথচ বিনোদন হিসাবে বই হতে পারে সবচেয়ে সুলভ আর মহৎ। কম খরচে এমন উপকারী বিনোদন আর কী হতে পারে! অনেক এক-কাঠি সরেস লোক বলেন, পড়ব কোথায়, সময় পাই না! আরে ভাই, টিভি দেখার সময় থাকলে বই পড়ার সময় থাকবে না! মোবাইলে গেমস খেলার সময় আছে, ফেসবুকে পড়ে থাকার সময় আছে আর বিশ্বসেরা দুচারটা বই খুলে দেখার সময় নাই! এই সব ধাপ্পাবাজির কথা বলে আসলে নিজিকেই ঠকানো হয়। সমকালীন মার্কিন সমাজবিদ লেখক এন্ড্রু রস বলেছিলেন, The smallest bookstore still contain more ideas of worth than have been presented in the entire history of television. টিভি চ্যানেল কিন্তু একটা লাইব্রেরির বিকল্প হতে পারে না। গড়পরতার টিভি চ্যানেলের নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন, গান আর সংবাদ আর যাই হোক জেমস জয়েস কিংবা আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বইয়ের জায়গা নিতে পারবে না। কাজেই বিবিকে নিয়ে টিভি দেখার আগে একটু বইয়ের কথাও ভাবুন। কেননা, বই আর বউ কোনটার গুরুত্বই কিন্তু কম না। বর্ণমালার শ্রেণীক্রম হিসাবে অবশ্য বউ এর আগে বইয়ের গুরুত্ব, অভিধানেও তাই, কেননা ‘উ’-এর আগে ‘ই’ আসে। বই পড়ে বউকে শোনান, দেখুন দাম্পত্য সম্পর্কেও বাড়তি মধু যোগ হবে। বই আর বউ নিয়ে আপনি ভ্রমণও করতে পারেন তাতে ভ্রমণের আনন্দ ও জ্ঞান দুটোই বাড়ে। আর এতো কিছু চিন্তা না-করে তেমন একটা বই পড়তে পড়তেই আপনি আমাজানের জঙ্গল কিংবা মঙ্গল গ্রহও ঘুরে আসতে পারেন অনায়াসে। এমন বিনা পয়সায় ভিসা ছাড়া ভ্রমণের দূর্দান্ত সুযোগ হারাবেন না আশা করি।
অনেকে বলবেন, পয়সার কথা। আমি বই ‘কিনে কেউ দেওলিয়া হয় না এমন রেডিমেড’ বাক্য বলবো না । পয়সা তো একটু লাগবে। আপনার ঘরের ময়লা পরিষ্কার করতেও পয়সা লাগে, টয়লেটে যেতে পয়সা লাগে, মোবাইলে রিংটোন ডাউনলোড করতে পয়সা লাগে আর বই কিনতে একটু পয়সা লাগবে না! কিন্তু সেই পয়সা তো উসুল হয়ে যায়। একটা ভাল বই তো এক ধরণের লগ্নীও। দুশ টাকা দিয়ে শরৎ কিংবা বঙ্কিম রচনাবলীর একটা খণ্ড কিনে পড়ে ফেলুন, দেখবেন, সেই পড়াটাকে কাজে লাগিয়ে কয়েক হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আর বই তো আইসক্রিম না যে কিনে খেয়ে ফেললেন, নইলে গলে গেলো। বই হলো অনন্ত যৌবনা, পুড়িয়ে না-ফেলা পর্যন্ত আপনার সম্পদ হয়ে থাকলো। আর একবার পড়ে ফেললে তারপরও পুড়ে গেলেও তো ক্ষতি নেই। কারণ পড়ে ফেললে বইটা তখন আপনার অংশ হয়েই যায়।
বই আক্ষরিক অর্থেই চিরস্থায়ী। হিটলার বাবাজি কতো চেষ্টা করেছেন বই পোড়ানোর, লাভ কী হয়েছে! যে আমলে কাগজ কালি আবিষ্কার হয়নি সেই আমলের বই আমরা পড়ছি। অন্ধ হোমার থেকে দস্যু বাল্মিকী এখনও আমাদের কাছে টিকে আছেন বইয়ের তাকে আর মননের কুঠুরিতে। খরচের কথা ভাববেন না। একটা সিনেমা দেখতে যাওয়া কিংবা বসুন্ধরা সিটিতে দই ফুচকা খেতে যাওয়ার চেয়ে কম খরচে চিরকালের জন্য একটি চিরন্তনী বই পেতে পারেন। তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নেই, বই কেনার টাকা নেই, তাহলে ধার করুন। টাকা অভাবে পড়তে পারছেন না শুনলে বহু মানুষই আছে আপনাকে বই উপহার দেবে। লাইব্রেরিগুলোতে আপনার জন্যই তৈরি হয়েছে। পুরাতন বইয়েরও বিশাল মার্কেট আছে। আর ইন্টারনেটে বইয়ের বিশাল স্তুপ পড়ে আছে বিনা-পয়সায়। দেশি-বিদেশি বিনা পয়সার ই-বুক সাইটগুলোতে ঢু মারুন। গুটেনবার্গ ডট অর্গকে ই-মেইল করুন। কয়েক হাজার বই ডিভিডিতে করে তারা আপনাকে মাগনা পাঠিয়ে দেবে। প্রতিদিন পড়লেও কয়েক বছরে পড়ে শেষ করতে পারবেন না। আর বই পড়ার গুরুত্বটা অনুভব করলে সময় আপনা আপনি বের হয়ে যাবে।
মনের দরজা কিংবা জীবন বোধ বাড়াতে বইয়ের কোন বিকল্প নেই। যারা বলে জীবন একটা, তাদের জন্য পরামর্শ হলো, বই পড়ুন। এক জীবনে বহু জীবনের স্বাদ একমাত্র বই-ই দিতে পারে। বই হলো তারহীন নেটওয়ার্ক যা কালিদাস থেকে মার্কেস পর্যন্ত সবাইকে সংযুক্ত করে রাখে। সরলা এরিন্দা আর শকুন্তলা আমাদের কাছে আপন হয়ে ওঠে বইয়ের মাধ্যমেই। কথায় বলে, বইপ্রেমী কখনো একা বিছানায় যায় না। তার বুকের উপর একটা বই থাকে, বইয়ের ভেতরে অসংখ্য চরিত্র থাকে, নয়া জগত থাকে। এলিস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ড কিংবা নেভারল্যান্ডের মতো জগত আমাদের সম্মুখে খুলে যায়।
শরীরের যেমন ব্যয়াম লাগে, মন কিংবা মগজেরও লাগে। আর সেই ব্যায়ামটা করা যায় বই পড়ে। বই পড়লে আপনার শব্দ ভাণ্ডার বাড়বে, ভাবনা আর কল্পনার জগ বড় হবে, সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটবে, স্মরণ শক্তিও বাড়বে। যারা নিয়মিত পড়ে দেখবেন তাদের ভাণ্ডারে কতোই কিছুই না জমে থাকে। মগজকে কাজে লাগানো আর মনের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করার শ্রেষ্ঠ উপায় বই পড়া।  স্রেফ বই পড়ে নিজের জীবন পাল্টে দিয়েছেন এমন লোকের অভাব এই দুনিয়াতে নেই। ঈশ্বরচন্দ্র তো রাস্তার আলোতে বই পড়েই বিদ্যার সাগর হয়েছেন। সুশিক্ষিত এবং স্বশিক্ষিত হওয়ার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বই পড়া। এটা অনেকটা ঘরে বসে ডিগ্রী অর্জনের মতো। কোন সিলেবাস নেই, ক্লাস নেই, নম্বর নেই, বাঁধা-ধরা সময় নেই, যখন যেভাবে খুশি বউ পড়ুন আর নিজের উন্নতি ঘটিয়ে যান।
একটা জিনিস মনে রাখা দরকার, এখন ডিজিটাল গ্যাঞ্জামের যুগ। থ্রিডি মুভি, আইফোন, আইপ্যাড, ওয়াইফাই, ব্লুটুথের ভিড়ে বই পড়াটা যেন হারিয়ে না-যায়। লক্ষণীয় যে, সভ্যতার রিলে রেসের কাঠিটা আমরা যুগ থেকে যুগে নিয়ে যাচ্ছি আর এই কাঠিটা হলো বই। পাথরে খোদাই করা কিংবা মুখে মুখে বলা সাহিত্য আজ ছাপাখানার বদৌলতে সারা বিশ্বে বই আকারে পৌঁছে গেছে। ডিজিটালাইজড হয়ে সেই বই এখন নেটে নেটে ঘুরছে সাইবার ওয়ার্ল্ডে। যে আকারে আর যে ভঙ্গিতেই থাকুক না কেন, বইকে ছাড়া যাবে না।
বইকে সবচেয়ে বেশি করে যাদের ধরে রাখতে হকে তারা হলেন লেখক। একেকটা বই যদি হয় হীরার খনি, লেখক তার অনুসন্ধানী অভিযাত্রী। লেখকরাই আবিষ্কার করে, মূল্যায়ন করে, কোন বইটি সেরা, কোন বইটি আবশ্যকীয়। লেখক হওয়ার একটা বড় শর্তও বই পড়া। নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, সফোক্লিস, গ্যাটে সবারই পড়ার পরিধিটা বিশাল ছিলো। সমুদ্র মন্থন করে তারা মুক্তা তুলে এনেছেন এবং নিজেদের মতো করে কতো মালাই না গেঁথেছেন। কাজেই আপনিও পড়ুন। পড়তে পড়তে পাঠক হোন, পাঠক থেকে লেখক হোন। পড়তে পড়তে যদি এমন মনে হয় যে, পৃথিবীতে এমন বিষয়ও আছে যা নিয়ে কোন বই লেখা হয়নি, তাহলে নিজেই সেটা লিখে ফেলুন। নোবেলজয়ী কৃষাঙ্গ লেখিকা টনি মরিসন বলেছিলেন, if there’s a book you really want to read but it hasn’t been written yet, then you might write it.


আরো পড়ুন-

বইয়ের দিন



সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!