X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

জয়-কাবেরীর সঙ্গে

জাহিদ সোহাগ
১০ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:০৮আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০১৬, ১৯:২১

জয় গোস্বামী ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বরে হে ফেস্টিভালে যোগ দিতে ঢাকা আসেন সস্ত্রীক কবি জয় গোস্বামী। ওঠেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কবি শামীম রেজার বাসায়। কলকাতায় ফিরে যান ২২ নভেম্বর রাতে। এই পুরোটা সময় তাদের সঙ্গে থেকে শুনেছি ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সাহিত্যের নানান কথা। সে সব কথাবার্তার অনেকটা টেপে ধারণ করা, কোনোটা ধারণ করতে নিষেধও করেন তিনি। তাঁর জন্মদিনে সে সবের অংশবিশেষ পুনপ্রকাশ করা হলো।


জয় গোস্বামী বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়েছে ফুলশয্যার রাতে। গিফট হাতে দিয়ে শুভকামনা জানিয়ে। অথচ স্ত্রী কাবেরী গোস্বামী বলেন ভিন্ন কথা, “আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি, উনি আমার সামনে দিয়ে হনহন করে হেঁটে গেলেন। আমাকে চিনলেনও না।” তার মানে কি আপনাকে উনি চিনতেন না? “চিনতেন। ওইদিন আমি সালোয়ার কামিজ পড়েছিলাম। পরে উনি বলেছিলেন, আপনাকে তো শাড়ি পরা দেখেছি। কামিজ পরা তো দেখিনি। চিনবো কী করে?”

যখন দুজনকে একসঙ্গে পেলাম তখন জয় দা’ যা বললেন আর বৌদি যা বলেন তা দুই অর্থেই সত্যি। এ নিয়ে তিনি ‘যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল’তে লিখেছেনও। বুঝতে পারলাম জয় দা নিজের স্ত্রীকে ফুলশয্যার রাতে উপহার দেননি। দিয়েছেন নিমন্ত্রিত অতিথি হয়ে অন্যের স্ত্রীকে। এই দু’জন একই বিদুষী। যাক এ ব্যাপারে আর সুলুক সন্ধান নয়।

জয় গোস্বামী ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি বলেন, ‘আমি জন্ম নিয়েছি মায়ের মৃত্যুর পর। ১৯৮৪ সালে।’ এ কথা যে আক্ষরিক অর্থেই সত্য তার ছাপ পাওয়া যায় ‘উন্মাদের পাঠক্রম’ কাব্যগ্রন্থে। এর পেছনের প্রেক্ষাপট হলো, ১৯৭০ সালে জয়ের ‘হেপাটাইটিস বি’ রোগ ধরা পড়ে। তখন তার হজম শক্তি নেই বললেই চলে। অনিদ্রাও দুঃসহ। সব খাদ্য লিকুইড ফর্মে খেতে হয়।

কাবেরী দি’র রান্নাবান্না দেখতে তার পাশে এসে দাঁড়ালাম: পানি দিয়ে ব্লেন্ড করা একমুঠো ভাত। একটুকরো রুই মাছ লবণ-হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে কাঁটা ছাড়িয়ে ফের পানি দিয়ে ব্লেন্ড। পরিমাণ চায়ের কাপের এক কাপ। খেতে বসলে তার অর্ধেকটাই পড়ে থাকে। আমাকে যখন বৌদি তা থেকে একটু গ্লাসে ঢেলে দেন, স্বাদের সাড়া না পেয়ে গলাধঃকরণ করে ফেলে। বৌদি হেসে বলেন, ‘দেখলে তো তোমার দাদা কী খান!’ দুপুরে এই একই ফর্মের খাবার আরো তরল হয়ে যায়। পানির সঙ্গে যার কোনো পার্থক্য থাকে না। রাতের বেলা একটুখানি মুড়ি এককাপ লাল চা। বাকি সময় হুটহাট চা পেলেই খুশি। ‘বুঝলে শরীরটাই আসল। তুমি অসুস্থ হয়ে পড়লে দেখবে তোমার অনেক অনুভূতি কাজ করছে না। ওই নিয়েই থাকতে হবে। ভালো করে লিখতে পারবে না।’ পেটের ভেতর থেকে গ্যাস তুলতে তুলতে বলেন জয় দা। তখন তার চোখেমুখে অন্য জগতের ভাষা। কোনো প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে না। যা বলতে ইচ্ছে করে তাই বলুক। আবার বেশিক্ষণ চুপ করে থাকলে বৌদি চড়া গলায় বলে উঠবেন, ‘জয় চুপ করে থেকো না বলছি। আবার বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ ১৪ বছর এমন করেই মা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। মায়ের মৃত্যুর পর তার উপলব্ধি হলো, ‘এই প্রথম মা আমায় জন্ম দিলেন। এতদিন গর্ভেই ছিলাম।’

১৯৯৪ সালে জয়-কাবেরীর বিয়ে হয়। বৌদি বলেন, ‘ওর কবিতা পড়ে প্রেমে পড়ি। তারপর বিয়ে। ও তখন বেকার।’ সঙ্গে আরো যোগ করলেন, ‘আমি এত রাঁধতে ভালোবাসি। কত লোক খায়। ওকে কিছুই খাওয়াতে পারি না। এ এক ভীষণ কষ্ট।’

তাদের একমাত্র মেয়ে বুকুন। ফ্যাশন ডিজাইনার। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। ছেলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। বৌদ্ধ। বৌদি বলেন, ‘জামাই কত ভালো। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে।’ ধর্ম নিয়ে তাদের কারোরই মাথাব্যথা নেই। বাড়িতে লক্ষী পূজা করলেও ধর্মকর্মের প্রয়োজনে করেন না। মেয়ের আবার বিড়াল-কুকুর পোষার শখ। তা আবার বাড়াবাড়ি পর্যায়ের। ‘২৬টি বিড়াল ছিল। রাস্তায় কোনো অসহায় বিড়ালছানা দেখলেই হলো। জয় আবার তাতে আস্কারাও দেয়।’ এখন অবশ্য ৪টি বিড়াল ও একটি কুকুর আছে। মেয়ে বাবাকে জয় দাই বলে ডাকে। ‘ছোটবেলায় দেখেছে সবাই জয় দা জয় দা করে- ও তেমনি বলেছে।’ জয় দা একটু যোগ করে বলেন, ‘আমার দাড়ি ধরে টানতো আর বলত দায়ি দায়ি- যা দাই হয়ে টিকে আছে।’

-দাদা আপনাকে কবিতা পড়ে শোনান?

-আমিই তো ওর কবিতার প্রথম শ্রোতা। বই বের হলে আমাকেই আগে লিখে দেয়।

-সমালোচনা করেন?

-হু, করি না আবার!

-জয়ের শারীরিক অবস্থা জেনেশুনে বিয়ে করেছেন?

-হু।

-আমি তো দেখছি আপনার জীবনটাই তার পেছনে ব্যয় করছেন।

-দ্যাখো, একজনের জীবনের ধুপ পোড়াতে হয়। তার আর নিজের জীবন বলে কিছু থাকে না।

-দাদা কখনো বাজার করেছেন?

বৌদি তর্জনী উঁচিয়ে বলেন, একদিন। বললাম, ‘জয় আমার শরীরটা খারাপ। তুমি একটু বাজারে যাও।’

-সব ঠিকঠাক মতো এনেছেন তো?

-হ্যাঁ, সবজি আর রুই মাছ।

-সংসারের আর কোনো কাজ?

-ও নিজের জুতার সাইজ জানে? জিজ্ঞেস করো দ্যাখো। বেতনও তোলে না। সবই আমি করি।

-আপনাকে বেড়াতে নিয়ে যান?

-আমরা আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, কানাডা বেড়াতে গিয়েছি।

-গঙ্গার ধারে?

-হ্যাঁ, ও রিকশায় চড়তে ভালোবাসে। নিরিবিলি একটা স্থানে যেতে ভালো লাগে।

-খেতে পারেন না বলে কি আক্ষেপ আছে?

-একদম না। তবে ভালো লিখতে না-পারা নিয়ে আক্ষেপ আছে।

-মেয়ে বাবার কবিতা পড়ে?

-হু। তবে শক্তির (শক্তি চট্টোপাধ্যায়) কবিতা পড়তে বেশি ভালোবাসে।

-দাদা আপনাকে সোনা-গয়না কিনে দেন? শাড়ি-চুড়ি?

-দ্যাখো আমি তো এসব পছন্দ করি না। ও আমাকে প্রচুর বই কিনে দেয়। আমি ছোটবেলা থেকেই বই পড়ি। আমাদের বাড়িতে পড়ালেখার পরিবেশ ছিল।

‘একটা সময় গানের গলা খুব সুন্দর ছিল। ও বেঁচেই আছে গানের ওপরে। রবীন্দ্র-নজরুল দিলীপ কুমারের গান, ক্লাসিক- সবই ওর পছন্দ।’ এ কথার প্রমাণ পেয়েছি গাড়িতে দীর্ঘ যাত্রা পথে। সাকিরা পারভীন ও সাবেরা তাবাসসুম তাকে সারা পথ গান শুনিয়েছেন। গানের ভেতর দিয়ে যেন তিনি কোথায় হারিয়ে যান। লালনের গান শুনে তার চোখ ছলছল করে। গানের কলকব্জাও তার করায়াত্ত।

-তার বাবা তো রাজনীতি করতেন?

-স্বদেশী। দেশভাগের পর কংগ্রেস। পড়ে ছেড়ে দেন।

-রানাঘাটে কে থাকেন?

-ওর ভাই।

জয়কে যখন নিদ্রাহীনতা গ্রাস করে। তখন তিনি রানাঘাট চষে বেড়িয়েছেন। ‘রিকশাওয়ালারা ওকে মাস্টার মশাই বলত। তারপর ঠিক ঠিক বাসায় পৌঁছে দিত।’

-আপনি লেখেন?

-আমি লিখলে পড়বে কে? আমি ভালো পাঠক ও সমালোচক।

কাবেরী গোস্বামী ‘ইডিফাই ফাউন্ডেশন’ নামে একটি মানবিক সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট। এটা অনারারি সার্ভিস। ১২ বছর ধরে পরিচালনা করছেন। এই প্রতিষ্ঠান ৩০০ দরিদ্র মুসলিম বাচ্চাদের থাকা-খাওয়া ও লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছে। জয় গোস্বামী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

-দাদা, আপনার সঙ্গে ক’দিন থেকে মনে হলো, আপনি একটা নোবেল পুরস্কার পেলে বৌদির পাওয়া উচিত ৭টা।

আমার মুখে এমন প্রশ্ন শুনে জয়-কাবেরী দুজনই হেসে উঠলেন। জয় বললেন, ‘এমন করে বিভাস রায়চৌধুরী বলেছিল। আমি মাঝখানে ৩ বছর কবিতা লিখিনি। বিভাস বলেছিল, জয় গোস্বামী কবিতা না-লিখলে ওর মূল্য কি?’ এই মন্তব্যে বৌদি গাড়ির সামনের সিট থেকে প্রায় চেঁচিয়ে বললেন, ‘সবাই তাই। যে গান গায়, সে যদি না গায়, তার মূল্য কি?’

জয় : বুঝলে বিভাসের কবিতা অন্যরকম- দেখবে কলকাতায় নাইনটিজে যারা কবিতা লিখছে তাদের থেকে আলাদা। ওর একটা নিজস্ব জনপদ আছে। এবং সেই জনপদটা হচ্ছে সীমান্ত এলাকার জনপদ। ও কলকাতা শহরের দ্বারা অধিকৃত না। এটা আমার আশ্চর্য লাগে।

এ সময় বৌদির হঠাৎ মনে পড়ে বুকুনের জন্য চার প্যাকেট বিরিয়ানি কেনা হয়েছিল। ভুলে সেটা ফ্রিজেই থেকে গেল। বৌদি জানতে চাইলেন বিমানবন্দর যাবার পথে বিরিয়ানির দোকান পাওয়া যাবে কিনা। এই প্রস্তাবে জয় দা বৌদির দিকে হাত নেড়ে নেড়ে বললেন, ‘আর দরকার নেই। ছেড়ে দাও।’

-বুকুনটা বসে থাকবে?

-বুকুন বসে থাকলেও ওকে বোঝানো যাবে। এরচেয়ে প্লেনটা বেশি জরুরি।

-যাবার পথে দোকান পড়বে কিনা?

-রিস্ক নেবার দরকার নেই কাবেরী।

এরমধ্যে প্রসঙ্গ ঘুরে গেল- দুপুরে কয়েকটি মিডিয়াকে জয় দা সাক্ষাৎকার দেন। এতে তিনি একটু বিরক্তও ছিলেন প্রশ্নের ধরন দেখে- আবার সেই প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘আমাকে প্রেম নিয়ে কথা জিজ্ঞেস করছিল। আমি উত্তর দিয়েছি গণিতজ্ঞদের জীবন দিয়ে। আমি আমার জীবনে ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি যখন থেকে কবিদের সঙ্গ করছি, কবিদের সঙ্গে আমার মেলামেশা শুরু হয়েছে, দেখছি- লিখিত শব্দের চেয়ে কোনো কবির মুখে কথা সবসময় বেশি গুরুত্ব পেয়ে আসছে। আমি ঘটনাচত্রে এমন একটা জায়গায় বড় হয়েছি যেখানে বসে আমার জানা সম্ভব ছিল না নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আনন্দবাজারে কাজ করেন আর বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রচণ্ড প্রতিষ্ঠান বিরোধী। আমি পাতিরাম গিয়ে কলেজ স্ট্রিটে গিয়ে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের চটি চটি বই কিনতাম আবার নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বই কিনতাম। আমি জানতামই না এই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা। আশির দশকে এসে শুনতে লাগলাম শক্তি চট্টোপাধ্যায় শেষ হয়ে গেছেন, শক্তি চট্টোপাধ্যায় কিছু লিখতে পারেন না। এইবার আমার ভিন্ন পথ ছিল। যেহেতু আমি লেখাপড়া করিনি। স্কুল কলেজে যাইনি। আমার ছিল বই পড়ার অভ্যেস। আমি বই পড়তাম। তাদের লেখা পড়তাম। লিখিত শব্দের সঙ্গে আমার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এবং সেভাবেই আমি একজন কবিকে জানতে পারি।

-কিন্তু কবির জীবন জানাও তো জরুরি কবিতা বুঝতে। সম্ভবত রবীন্দ্রনাথও এমন কথা বলেছেন। অবশ্য সবার ক্ষেত্রে তা নয়।

-অন্যের কাছ থেকে কবির জীবন সম্পর্কে কি জানবে? গসিপ? গসিপ কোনো জীবনী নয়। তার জীবন তার লেখার মধ্যেই আছে।

এর মধ্যে জয় গোস্বামী আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন। বৌদির অনুরোধে শুকনো মুড়ি চিবিয়ে শেষে যোগ দিলেন হাসি-ঠাট্টা-তামাশায়। উনি বেশিক্ষণ সিরিয়াস মুডে থাকলে যে কারো দেখলেই ভয় লাগবে। মনে হবে সমুদ্রের অতল থেকে কথা খুঁজে খুঁজে এনে উত্তর দিচ্ছেন। এ সময় চরম উত্তেজিতও হয়ে পড়েন। আবার তার রসিকতারও একটা মাত্রা আছে। তখন তিনি একেবারে শিশুর মতো। হেসে কুটি কুটি। সারাপথ তিনি পূর্ববাংলার মুখের ভাষা নকল করে, যা আসলে তার শাশুড়ির কাছ থেকে শোনা- তা আমাদের শোনাতে লাগলেন। তাকে আর সিরিয়াস হতে দেইনি।

ছবি নেট থেকে নেওয়া।

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
চতুর্থ ধাপে যে ৫৫ উপজেলায় ভোট
চতুর্থ ধাপে যে ৫৫ উপজেলায় ভোট
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন
সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩ হাজার টাকা
সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩ হাজার টাকা
সর্বাধিক পঠিত
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ