X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
শামীম সাঈদ-এর

‘নাঙ পুরাণ’ থেকে

সাহিত্য ডেস্ক
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২০:৪৮আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:১১

‘নাঙ পুরাণ’ থেকে ২০১৭ একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে শামীম সাঈদ-এর ‘নাঙ পুরাণ’। প্রকাশ করেছে জেব্রাক্রসিং প্রকাশন। প্রচ্ছদ জ্যোতির্ময় রায়। মূল্য ১০০ টাকা।

তিয়াস

আমার বুকের নিদয়া তাপ
এই নিঃশ্বাস বাতাইসে উড়াই,
নাঙের আশায় ভাতার মরে মুনে!
মরি আমি নাঙ বিছারি গো...
শরীল জুইড়্যি হাঁচুড়পাঁচুড়,
কীরম কইর্যি আঁচুড় মারে বেহুইদ্দ্যি বিলাই!

যিরম পুড়ে গহীনের পানি,
ভাপ উইট্যি যায়, ভাপ উইট্যি যায়!
কেডা চাইচে মেলাখানি? একটুখানি চাই!
সায়রে আছে অনেক জানি,
তাও,
বিন্দু আমারে সিন্দু চিনাই গো,
ইন্দু বিহনে চকোরে মানি মিটেনা তিয়াস,
বিন্দু বিহনে তিষষি আমার কী দিয়া মিটাই!


নাম নমুনা

ভাইস্যি গিচে করমের গরম জলে,
ক’তে পারিনি শরমে, সবই জানে পরমে;
নরমের মইদ্যে পরম খুঁজি,
মতি নাই আর ধরমে!

সাধুতে কয়—নোঙরামি!
নাঙের নোঙর যকুন যমুনার জলে,
রাধিকা তা’লে সেই নাম নদী-নমুনা, ফলে
নিরবধি সায়া নাকি সায়রে ডুবিচে সারেঙ!

বাহাছ

কানের কাছে মুখ আইন্যি কইল্যি পদকার—
ওরে বেটা তোর তো ক্যারেক্টার ঢিলা!
চইট্যি যায়া পদশ্রোতা কয়—
আরে, লোকটা ছাগল নাকি রে!
শুইন্যি শান্তবচনে কইল্যি পদকার—
বেটা নচ্ছার, বেজন্মা কতিকার!
নাঙখাকি মায়ের বেটা মাদিকুত্ত্যির নাঙ,
কতি রে তোর ঘর, কতি রে তোর সাং!


সেউজ গাড়ির গাথা-৩


এরম বেদ্না লাগে,
যাবু যদিল হিলির বন্দরে
সেউজ গাড়ির কতার ভিতর
কি নামে আসে মফিজ পাগলার মুড়,
ভাতারের নাম লিয়া নিজের মইদ্যে করিস হাঁচুড়পাঁচুড়,
অন্তর জাগে কি সুয়াগে, কী কই তোরে,
এরম বেদ্না লাগে তুই গেলে আমারে থুয়া হিলির বন্দরে!


রাজাপুর সাত কিলোমিটার

পইলা আব্বার মুকে শুনি মাইলের হিসাব,
তা’লে কও, কীভাবে বুজি আমি কতো দূর সাত কিলোমিটার!
‘রাজাপুর সাত কিলোমিটার’ লেকা থাকে মাইল ফলকে,
মাইনষে কয়—ওই তো, ওইকেনে; ওইকেনে রাজাপুর বাজার।
তাও কি হয়? কি উপায়ে কতো সুময় লাগে যা’তে সুমনাদের বাড়ি?
২০০২ সালে রওনা দিয়া খালি যাই আর যাই,
যদিও মুনের ভিতর আকুপাকু, কতো পাড়াপাড়ি,
কতো দূর, আর কতো দূর, সুমনা সরকার!
দুইরির মুড়ে কাটে বাল্যকাল ঘুন্নির নিশানায়,
পথ ভুলায়া দেয় সেই, তখন তো এক লাপে কতো মাইল পার হই;
কেডা রাকে কাশিমপুরের হেয়ারিংবোমের রাস্তার খবর,
কৈচ্যির ভিতর দিয়া গেলে ঘুনো বাঁশের ঝাড়
তার ভিতর উকি দেয় টিয়া রঙ আদাড়;
যদিও অভেদ ঠিকানা, আশেপাশে গাঙ নাই,
ভাঙপাতার বাসনা লাকে লিয়া পড়ি কী বিষম বিপাকে,
সেই নামের নিশা, সুমনা সুমনা, দিশিহারা হই;
২০০২ সাল থাইক্যি ২০১৫ সাল, যদিও সাত কিমি পার হতে
সপ্ত ডিঙি লাগে না, তাও বুকের ভিতর সাত কিমি যতো লম্বা হয়,
মুনে হয় রাজাপুর কি সাত কিমি নাকি জনমের দূর!

সম্পর্কিত
ভুটানি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
সাঙ্গ হলো প্রাণের মেলা
২৫০ শিশু লিখলো ‘আমাদের জাতির পিতা, আমাদের শ্রেষ্ঠ মিতা’
সর্বশেষ খবর
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা