X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

গিলি আইল্যান্ডের অন্ধকার

মোয়াজ্জেম আজিম
২১ জুন ২০১৭, ১৬:৪১আপডেট : ২১ জুন ২০১৭, ২০:০৫

 

গিলি আইল্যান্ডের অন্ধকার

১.

বেড়ানোর জন্যে সাগর পাড় আমার পছন্দের জায়গা না। এক সময় ছিল। এখন ঢেউ আর ঢেউয়ের সাথে ভেসে আসা নানা কিছু আমাকে আতঙ্কিত করে। আমি স্বস্তি পাই না। সে অনেক দিন আগের কথা। ভেবেছিলাম নিশ্চয় এতদিনে ঠিক হয়ে গেছে। তাই ধানি যখন গোঁ ধরলো সে আমাকে নিয়ে গিলি আইল্যান্ডে বেড়াতে আসতে চায়, আমি আর খুব বেশি জোরের সাথে না করতে পারলাম না। ধানি ওয়ার্দিআনি আমার কলিগ। রিসেন্টলি আমরা ডেটিং শুরু করেছি।

২.

আজ দুপুরে গিলি আইল্যান্ডে পৌঁছার পর থেকে আমাকে একটা ভয় ও বিষণ্ণতা জড়িয়ে ধরেছে। আমি প্রাণপণ চেষ্টা করছি কোনভাবেই যেন ভয়ের কাছে পরাজিত না হয়ে যাই। ধানি যেন কোনভাবেই বুঝতে না পারে আমার মনোসংকট। কিন্তু কতক্ষণ পারবো বুঝতেছি না। আবার ধানিকে কিছু বলতেও পারতেছি না। এ বলা যায় না। আমি জানি ধানি এটা নিতে পারবে না।

৩.

ধানিকে আমি বলেছিলাম চল অন্য কোথাও বসি। ঐ যে পাহাড়ের চূড়ায় রেস্টুরেন্ট, সেখানে চল। এক্সপেন্সিভ বাট ব্যাপার না ডেটিং বলে কথা। কিন্তু ধানির পছন্দ বীচসাইড রেস্টুরেন্ট। ও যে রেস্টুরেন্টটা পছন্দ করেছে তার দেয়ালে এসে আঁচড়ে পড়ছে ঢেউ। টেবিল বরারব সাগরের পাশটা সম্পূর্ণ খোলা। সাগরের বাতাস সরাসরি এসে আমাদের শরীরে লাগছে। এত চমৎকার একটা রেস্টুরেন্টে বসতে পেরে ধানি সত্যিই খুব আনন্দিত। আমিও চেষ্টা করছি কোনভাবে যেন আমার মধ্যে একটা খুশির ভাব বজায় রাখতে পারি। আমি এও চেষ্টা করছি যেন চোখ আমার কিছুতেই সাগরের দিকে না যায়। কিন্তু কী নিয়তি। আমি যত চেষ্টা করছি সে তত বেয়াড়া হয়ে ছুটে যাচ্ছে সাগরের দিকে। প্রত্যেকটা ঢেউয়ের মাথায় তন্নতন্ন করে খুঁজছে তার হারিয়ে ফেলা ধন।

৪.

হায়, ধানি কি আমার অস্বস্তি বুঝে ফেলতেছে। এরি মধ্যে যে আমাকে দুইবার জিজ্ঞেস করেছে। আর ইউ ওকে? আমি একটু বাড়তি জোরের সাথেই বলেছি, ইয়েস, আই এম ফাইন।

৫.

খাবার দিতে ওরা এত দেরি করে কেন? ওরা কী জানে না যে বেশি দেরি করলে আমার একটা সম্ভাব্য প্রেম ভেঙ্গে যেতে পারে। অবশ্য ওদের নিশ্চয় ধারণা যত বেশি সময় আমাদের দিবে ততই আমরা খুশি হব। তাইতো হওয়ার কথা। ধানিকে দেখে তাই মনে হচ্ছে। আমিতো আমাকে লুকিয়ে রেখেছি। এবং যেন রাখতে পারি সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঈশ্বর তুমি সহায় হও।

৬.

আমার মাথা ঘুরছে, বমিবমি লাগছে। সাগর পাড়ের এই স্নিগ্ধ বাতাসের মধ্যে বসে থেকেও টের পাচ্ছি আমার পিঠ ভিজে যাচ্ছে। কপাল এবং নাকের ঘাম মোছছি টিস্যু দিয়ে। আামার এই অবস্থা ধানিকে বিব্রত করছে বলে মনে হচ্ছে। ওর মধ্যে উচ্ছ্বাসটা ক্রমেই নেতিয়ে পড়ছে।

৭.

শেষ পর্যন্ত আমাদের টেবিলে খাবার পরিবেশন করা হল। খাবারের গন্ধে আমার গা গুলাচ্ছে। চমৎকার ঠাণ্ডা বিয়ারে চুমুক দিয়ে  কিছুটা স্বস্তি পাই। পরপর বেশ কয়েটা লম্বা চুমুকে আমি বিয়ারের অর্ধেক শেষ করে ফেলি। ধানি বলে তুমি এত থ্রাস্টি তো আগে বলনি কেন ওদের ড্রিংক্স দিতে…। আমি বলি আমি বুঝি নাই যে আমি এত থ্রাস্টি। ভাবলাম যাক বিয়ারের হালকা এলকোহলিক রেশ হয়তো আমার ভেতরে বইতে থাকা ঝড় কিছুটা কমিয়ে আনতে পারবে। নিশ্চয় আমাদের এই ভিনদেশে বেড়াতে আসার ডেটিং-সন্ধ্যা সে লণ্ডভণ্ড করে দেবে না।

৮.

আমরা খাবার শুরু করি। আমার চোখ আবারও সমস্ত বাঁধা উপেক্ষা করে সাগরের দিকে ছুটে যায়। ঢেউয়ের মাথায় কাকে যেন ভেসে উঠতে দেখি। আমার সমস্ত অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে। আমার নাড়িভুঁড়ি সব উল্টে বের হয়ে আসতে চায়। আমি এক্সকিউজ মি বলে দৌড়ে টয়লেটের দিকে যাই। টয়লেটের পানিও আমাকে এই মুহূর্তে আতঙ্কিত করছে। আমি যেন এক জলাতঙ্ক রোগি, পানি দেখে ছটফট করছি। কিন্তু আমার এই ছটফটানি পিপাসার না। পানি আমি পান করি নিত্যদিনই কিন্তু সাগর জলে যা আমি হারিয়েছি তার কথা মনে হলে এই জলাতঙ্ক শুরু হয়।  ঘটনার পরপর আমাকে বেশ কয়েক মাস ধরে সাইক্রিয়েটিক কাউন্সিলিংও করা হয়েছিল। কাউন্সিলর আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলো, ‘আমরা আমাদের জীবনের কোন কিছুই ভুলি না। ভোলার চেষ্টা করা উচিতও না। বরং যা কিছু স্মৃতি তা যত কষ্টেরই হোক তাকে সাথে নিয়েই চলতে হবে, তাকে সাথে নিয়েই কিভাবে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় সে চেষ্টা করতে হবে।’

তারপরতো বহুদিন চলে গেল স্মৃতি-বিস্মৃতির ভিতরই বেঁচে আছি। ভালভাবেই বেঁচে আছি। চাকরি করছি, ডেটিং করছি, জীবন যাপানের জন্যে যা-যা করা দরকার সবই করছি। তবে এর মধ্যে গত ১০ বছরে কখনও সাগর পারে আসিনি। যদিও আমি সাগরের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় বসবার করি, তাও না। এবার আমি ধানির কথায় কেন যে রাজি হলাম। নিজের উপর এখন রাগ হচ্ছে।

৯.

ধানি জানে না আমি নৌকায় করে আসা অভিবাসী। ১০ বছর আগে আমি বউ-বাচ্চাসহ সেন্টমার্টিন থেকে বোটে করে রওয়ানা করি অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে।  ১৭০ জন মানুষের মধ্যে আমরা ভাগ্যবান ৫ জন মৃত্যুর আগেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলাম। বাকি সবাই রেসকিউ করার আগেই সাগরের নিচে চলে যায় চিরদিনের জন্যে।

সুমি আমার বউ; আমার পা ধরে বসেছিলো সেদিন, তার একটাই দাবি, যেন আমি আর আমার ছেলে লাইফ জ্যাকেট পরি, ওর পরার দরকার নাই। ছেলেটা বেঁচে থাকলেই ওর বেঁচে থাকা হবে। আমরা মানুষ তিনজন হলেও লাইফ জ্যাকেট দেয়া হয়েছিলো দুইটা, আমার ছেলের জন্যে কোন লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়নি। কারণ ওর জন্যে আমরা দালালকে পুরো টাকা দিতে পারিনি। সুমি কোনভাবেই লাইফ জ্যাকেট পরবে না। শেষ পর্যন্ত আমি ওকে চোখ রক্তবর্ণ করে বললাম, ‘সুমি, ইয়া নাটক গরিবার সম নাই। ফুয়ারে বাসাইতে সাইলে আঁই যিয়ান হইর ইয়ান গর। তুঁই গম গরি যান দে আঁই ছব্বিশ ঘন্টা আঁসুরি ফারি।’ (সুমি এখন ড্রামা করার সময় নাই, যদি তুমি ছেলেকে বাঁচাতে চাও তাহলে আমি যা বলি তাই কর। তুমি ভাল করেই জান আমি ছব্বিশ ঘন্টা সাঁতরাইতে পারি) জন্মানোর পর হাটার আগে সাঁতার শিখেছি। সাগরপারের গ্রামে জন্মানো ছেলেমেয়েদের তাই করতে হয়। ‘আঁর লা সিন্তা নগইরজ, আঁই আঁসুরি পারত যাইয়ুমগই। আঁততু সুদে তোয়াঁল্লা আদ্দে বাবুল্লা সিন্তা লাদ্দে। আর সিন্তা গরিবার কিসু নাই। লাইফ যেকেট ফিঁদাত্তইলে ত ডুফি নমরিবা। হতুকুকনর বুতরে সাইবাদে অস্ট্রেলিয়ার নেবি আইয়রে বাসাই লর। ইতারা মাইয়া ফুয়াইন আর গুরা ফুয়াইনদরে আগে বাসাই লয়, তারবাদে মরুত ফুয়াইনদরে লই যাদে।’ (আমার জন্যে চিন্তা করো না। আমি ঠিকই সাঁতার কেটে পাড়ে চলে যাব, আমার যত চিন্তা তোমাকে আর বাবুকে নিয়ে। আর চিন্তা করারও কিছু নাই। লাইফ জ্যাকেট পরা থাকলে ডুবেতো আর মরবা না। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখবা অস্ট্রেলিয়ান নেভি আইসা উদ্ধার করতাছে। মেয়ে আর শিশুদেরকে ওরা আগে উদ্ধার করে তারপর পুরুষদের) যাইহোক, আমার এই ঝাড়িতে কাজ হয়। সুমি আর বাবু দুইজন দুইটা জ্যাকেট পরে নেয়।

কিছুক্ষণের মধ্যেই নৌকা ডুবিয়ে দিয়ে দালালরা স্প্রিডবোড নিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা ভারত সাগরে সাঁতার কাটতে থাকি। এবং দূরে দেখি যে আমাদেরকে উদ্ধার করতে নেভি জাহাজ এগিয়ে আসছে। কিন্তু বাবুকে দেখছি না। লাইফ জ্যাকেট নিয়ে যারা সাঁতার কাটছে তারা সবাই একে একে পেছনে পড়তে থাকে। তাদের দিকে তাকানোর সময় নাই। কিন্তু আমি বারবার বাবুকেই খুঁজছিলাম। ছেলেটা কেন যেন বারবার ডুবে যাচ্ছে আবার ভেসে উঠছে, ওকে মনে হচ্ছে জ্যাকেটটা খুলে ফেলার চেষ্টা করছে। আমি মনে মনে রাগ হই। গাধার বাচ্চা জ্যাকেটটাতো দেওয়াই হইছে তোকে ভাসিয়ে রাখার জন্যে আর ও কিনা সেটাই খুলে ফেলার চেষ্টা করতেছে। আমি ওর দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমি খুব বেশি দূরেও না। বড়জোর হাত পাঁচেক দূর। সুমিকে এরি মধ্যে আর দেখছি না। আমি চেষ্টা করছি যেন খুব বেশি দূরে চলে না যায়। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই বাবুকে হারিয়ে ফেলি। সুমিকেও দেখছি না। সাগর যে খুব উত্তাল তাও না। বেশ শান্তু সাগর এর মধ্যে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে কয়েক ঘন্টা পার করে দেওয়া খুব বেশি কঠিন কিছু না। পানি একটু ঠাণ্ডা! এছাড়া আর কোন সমস্যা এই মুহূর্তে নাই। আর নেভি জাহাজও এগিয়ে আসছে। দেখে মনে হচ্ছে না ওদের এসে পৌঁছাইতে খুব সময় লাগবে। আমি পাগলের মত বাবু আর সুমিকে খুঁজছি। চোখের সমনে লাইফ জ্যাকেট ওলা সবাই কেন যেন টুপটুপ করে ডুবে যাচেছ। আমি এর আগামাথা কিছইু বুঝতে পারতেছিনা। আমরা লাইফ জ্যাকেট ছাড়া সাঁতার কাটতে পারতেছি, আর যারা লাইফ জ্যাকেট পরনে তাদের কী হইল যে টুপ করে ডুবে যাচ্ছে, নাকি হাঙ্গরের আক্রমন। বুকের ভিতরটা বরফের মত ঠাণ্ডা হয়ে গেল। গায়ে আর কোন শক্তি সাহস কিছুই পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে আমি নেক্সট। হাঙ্গর আমার দিকে এগিয়ে আসছে।

এই আতঙ্কের ভিতর কতক্ষণ ছিলাম জানি না। একসময় দেখি আমি নেভি জাহাজে, আশে পাশে পরিচিত কোন মুখ নাই। কোন এক অচেনা স্বপ্নে দেখা সাদা মানুষের পাথুরে নীল চোখ। সেই চোখের ভাষা বোঝা আমার সাধ্যের বাইরে। শুধু এটুকু বুঝলাম, এবারের মত বেঁচে গেছি। বউ-বাচ্ছার কথা এই মুহূর্তে আর চিন্তা করার সুযোগ নাই। পরে জানতে পারি, আসলে যাদেরকে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছিলো তারা কেউ বাঁচতে পারেনি। কারণ লাইফ জ্যাকেট গুলো ছিলো ফেইক, কাগজের। পানি লাগার সাথে সাথে পাথরের মত ভারি হয়ে জ্যাকেট পরা মানুষটাকে সাগরের নিচে টান দিয়ে নিয়ে যায়। জ্যাকেট পরিহিত সেই নৌকার কেউ জীবিত উদ্ধার হওয়ার সুযোগ পায়নি। পরে এও শুনেছি দালালরা এটা ইচ্ছা করেই করে। খুব বেশি মানুষ যেন অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকার সুযোগ না পায় সেটা নিশ্চিত করতে। বেশি ঢুকাইলে নাকি এই গোল্ডেন রুটটা অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে।

১০.

বেশ একটু দেরি করেই টেবিলে ফেরত আসলাম। এসে দেখি ধানি বিলটিল মিটিয়ে দিয়ে আমার জন্যে অপেক্ষা করছে। আসার সাথে সাথে বলে চল রুমে যাই। আমার মনে হচ্ছে তুমি যথেষ্ট সিক হয়ে গেছ। রেস্ট দরকার। আমি কিছু বলি না ওর পেছন পেছন রেস্টুরেন্ট থেকে বেড়িয়ে আসি। হোটেলের কাছে এসে ধানিকে বলি, ধানি যদি কিছু মনে না কর, তুমি রুমে যাও, আমি একটু সাগর পাড়ে একা বসে থেকে আসি। আমার মনে হচ্ছে তাতে আমার ভাল লাগবে। ধানি বলে আমি কি আসবো তোমার সাথে? আমি বলি না প্লিজ তুমি যাও, আমি আসছি কিছক্ষণের মধ্যে। আমার নির্লিপ্ত বাক্য কাজে লাগে। ধানি রুমের দিকে পা বাড়ায়। আমি অন্ধকারের দিকে আগাতে থাকি।


 

আরো পড়ুন-


লেখা দেন কিন্তু দেখা দেন না

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
দিল্লিকে ভয় ধরিয়ে হারলো গুজরাট
দিল্লিকে ভয় ধরিয়ে হারলো গুজরাট
ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদের মীমাংসা মামলার শুনানি ২৫ এপ্রিল
ডিইউজে নির্বাচনে সভাপতি পদের মীমাংসা মামলার শুনানি ২৫ এপ্রিল
জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ
জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী