X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একটি দৈনিকের সংবাদ প্রতিবেদন

রাসেল রায়হান
২১ জুন ২০১৭, ১৭:৪৯আপডেট : ২১ জুন ২০১৭, ২০:০১

একটি দৈনিকের সংবাদ প্রতিবেদন

৭ ডিসেম্বর

তারা দলে পাঁচজন। দুজন বাইরে দাঁড়িয়ে আছে, তিনজন সিঁড়ি বেয়ে উঠতে লাগল নিঃশব্দে। তিনতলায় উঠে ডানপাশের ফ্ল্যাটের দরজায় আস্তে আস্তে তিনটি টোকা দিলো। নীরবতা। এবার গুনে গুনে চারটি টোকা। দরজার ওপাশ থেকে একটি নারী কণ্ঠ ভেসে আসলো, কে?

আমরা ডিশের লোক। আপনারা ফোন দিছিলেন, লাইনে সমস্যা হইতেছে নাকি! আমাগো অফিস থেইকা পাঠানো হইছে।

খুট করে দরজা খুলে গেল। একজন ঢুকে শুরুতেই মেয়েটির মুখ চেপে ধরল। বিশ-বাইশ বছরের যুবক। টি শার্ট, জিনস পরনে। মুখে হালকা দাড়ি। শরীর যতটা সম্ভব দূরে রেখে মেয়েটির মুখ জোরে চেপে ধরে রাখল। নারী শরীরে একদমই অভ্যস্ত না সে। তার শরীর শির শির করে উঠল এক মুহূর্ত।

ততক্ষণে অন্য দুজন কাজ শুরু করে দিয়েছে। দরজা আগেই বন্ধ করা হয়েছে। হাতে বাজারের ব্যাগে চাপাতি। টান দিয়ে বের করে আনল দুজনেই।

তিনরুমের ছোট্ট ফ্ল্যাট। দরজার কাছের রুমটিতে উঁকি দিল প্রথমে। কেউ নেই। দ্রুত দ্বিতীয় রুমের কাছে পৌঁছে গেল। তারপর টার্গেটেড শিকারকে দেখতে পেল দরজা দিয়ে। ভয়াবহ একটা ধাক্কা খেল তারা। এভাবে দেখবে- কল্পনাও করেনি। হাঁটতে পারে না, হুইল চেয়ার ব্যবহার করে- এসব জানা ছিল আগেই। টানা সতেরো দিন রেকি করেছে। এর সম্পর্কে সকল তথ্য আগেই ছিল। তাও তারা নিজেরা খোঁজ নিয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি খোঁজ নিতে পেরেছে? সবকিছু?

দুজনেরই হাত কেঁপে উঠল। অস্ত্র পড়েই যাচ্ছিল প্রায় হাত থেকে। সামলে নিল তারা। একজন দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকল। অন্যজন ডান হাতে অস্ত্র নিয়ে সামনে পা বাড়াল। তাকে টেনে ধরল দাঁড়িয়ে থাকা যুবক।

৩ মাস বারো দিন আগে

তাদের সবাইকে এক বাড়িতে আনা হয়েছে। মোট পাঁচজনের একটি দল। এর আগে কেউ কাউকে দেখেনি। কোনো ধরনের পরিচয় নেই। পাঁচজনকে আনা হয়েছে পাঁচ জায়গা থেকে।

গত দু’মাস আগে তারা প্রত্যেকে একটি করে নতুন নাম পেয়েছে। তাদের সত্যিকারের নাম আসলে যেটি ছিল সেটি তাদের ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পেছনের সমস্ত জীবন ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের সামনে একটিই জীবন, সেটি আল্লাহর দাসের জীবন। তাদের সামনে দুটি লক্ষ্য, আল্লাহর আইন ইসলামকে প্রতিষ্ঠা। আর প্রতিশোধ। ইসলামের বিপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ।

তাদের ডাকা হয় নতুন নামে। অদ্ভুত ব্যাপার, প্রথম নামটিতে কেউ ডাকলে তারা সাড়া দেয় না। তাদেরই ডাকা হচ্ছে, এটাই তারা বুঝতে পারে না। পরীক্ষার একটি অংশ হিসেবে এটা থাকে। এটাতে পাশ করলেই তাকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত বলে ধরে নেওয়া হয়।

প্রথমজনের ছোট্ট একটি পরিবার। সে পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস বড় ভাই। বাড়িতে বৃদ্ধ অন্ধ পিতা আর ভাবী, আর তার বড় ভাই আর সে। বড় ভাই এদেশের এক ইসলামিক নেতার ফাঁসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছিল। তখন পুলিশ গুলি চালায়। বড় ভাইয়ের হার্টের এক ইঞ্চি নিচ দিয়ে ঢুকে প্রশস্ত পিঠ ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিয়ে বুলেট বেরিয়ে যায়। সেদিন গাঢ় সন্ধ্যায় তাদের বাড়ির ভিতর থেকে মিহি স্বরে কান্নার আওয়াজ আসছিল। বৃদ্ধ বাবা বার বার জিজ্ঞেস করেন, ও বউ, কী হইছে? কান্দো কেন?

পুত্রবধূ জবাব দেয় না।

বৃদ্ধ পিতা তবু জিজ্ঞেস করতে থাকেন, কী হইছে বউ? কান্দো কেন? বড় খোকায় কিছু বলছে? মারছে?

তাকে কিছুই জানানো হয় না। অন্য কয়েক বাড়ি দিয়েও তখন কান্নার আওয়াজ আসছে, মিহি স্বরে। বর্ষাকাল, ঝিঁঝিঁর অস্থির ডাক ভেসে আসছে পাশের জঙ্গল থেকে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে ডাক বাড়ছে। তাদের অস্থির ডানায় ভর দিয়েই যেন রাত্রি নামে।

বাইরে খুব বেশি লোকজন নেই। সবাই নিজেদের স্বজন নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। অন্যের কান্না শোনার সময় কই?

সে ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ভেজা চোখে। ঘরের মধ্যে যাওয়ার সাহস হচ্ছে না। এমন সময় রাত্রির নরম পায়ে ভর করে যেন ‘তিনি’ আসেন। দেবদূতের মতো মনে হয় তাকে। দেবদূত তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। সান্ত্বনা দেন। নিজে দায়িত্ব নিয়ে নেন পরিবারের। দুশ্চিন্তা করতে বারণ করেন। বরং ভাবতে বলেন প্রতিশোধের কথা। বুঝিয়ে দেন, কীভাবে, কী প্রক্রিয়ায় মানুষ ইসলামের ক্ষতি করছে, সত্যিকারের মুসলিমদের হত্যা করছে। তাদের মৃত্যুতে উল্লাস করছে। ইসলামকে বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিতে চাইছে রাষ্ট্রের সুবিশাল কাঁধে ভর করে। এটা ভেঙে পড়ার সময় নয়। বীর যোদ্ধার মতন ঘুরে দাঁড়াতে হবে এখন। পাল্টা আঘাত করে নিজেদের সবলতাও দেখিয়ে দিতে হবে। নইলে কেউই থামবে না। ইসলামের সরল বাণী এরা মানবে না। নম্র ভাষায় তিনি ব্যাখ্যা করেন সব। তার অস্থির, দুর্বল এবং বিপর্যস্ত মন এই কথাগুলোর মধ্যে খুঁজে পায় নতুন আলো। যেন একটি বিপর্যস্ত জাহাজ সামনেই দেখতে পাচ্ছে বন্দরের অবিমর্ষ বাতি।

দ্বিতীয় যুবকটিকে একাকীত্ব কামড়ে কামড়ে খাচ্ছিল উঁইপোকার মতন, নিঃশব্দে। বাবা-মা বাইরে থাকেন সব সময়। এই একাকীত্বময় সময়ে তার আশ্রয় হয়ে এসেছিল তিথি নাম্নী এক নারী। সেই নারীটি যখন অকস্মাৎ চলে গেল, আঘাতটা তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছিল। এরচেয়ে আগের একাকীত্ব মধুর ছিল।

এ অবস্থায় হাত বাড়ায় এলাকার এক বন্ধু। বন্ধুটি তাকে বোঝায়, এসব সাধারণ কারণে জীবন নষ্ট করার মানে নেই। জীবনের উদ্দেশ্য আছে, মাহাত্ম্য আছে। সেই মাহাত্ম্যের দিকে ধাবিত হওয়াই জীবনের মূল উদ্দেশ্য। আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণেই প্রকৃত শান্তি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্দাম জীবন কাটানো যুবকটি সত্যি সত্যি ইসলামের পথে চলে আসে। এত বেশি সে ইসলামকে আঁকড়ে ধরে যে, বন্ধুটিকেও সে ছাড়িয়ে গেল উপাসনায়। যে বন্ধু তাকে রোজ ডেকে নিয়ে যেত মসজিদে, এখন তার অনেক আগে আগেই সে মসজিদে চলে যায়। বের হয় অনেক পরে। ইসলাম তাকে সত্যিকারের সুন্দর একটি জীবন দিয়েছে- টের পায় সে। আর তখন তার কাছেও ‘তিনি’আসেন। সেই দেবদূত। যুবকটি মোহগ্রস্থ হয়ে পড়ে যেন। এমন নূরানি চেহারা তাকে নতুন আলো দেখায়। প্রকৃত প্রশান্তির হাতছানি যেন তাকে ডাকে। সেই ডাকে, সেই আশ্বাসে সামান্যও খাদ দেখতে পায় না সে। তিনি এখন তার একমাত্র পরিত্রাতা যেন!

...এভাবে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম জনকে জড়ো করেন তিনি। তার টার্গেট ছিল একটি অপারেশনের জন্য পাঁচটি গিনিপিগ জুটিয়ে দেওয়ার, তিনি সেটা করতে পেরেছেন। তার কাজ শেষ। একটি তৃপ্তির হাসি তার চেহারাটিকে আরও দ্যুতিময় করে তোলে বাইরে থেকে।

পাঁচজনই তাদের নতুন নামে পরিচিত হলো একে অপরের সাথে। অন্যদের সত্যিকারের নাম নিয়ে কেউই কৌতূহলী নয়। মহৎ লক্ষ্য থাকলে বেশি কৌতূহল ভালো নয়- এটা তারা জানে। তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার তারা সম্মুখীন হয়েছে দ্বিতীয় ‘তিনি’র। এই তিনি তাদের শিক্ষক। তাদের অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা দেন। নিখুঁত ভঙ্গিমায় ধারাল অস্ত্র চালানো এবং পিস্তলের ব্যবহার আয়ত্তে আসতে তাদের খুব বেশি সময় লাগে না। ঠিক কীভাবে কোপ চালালে মৃত্যু নিশ্চিত হবে, কীভাবে যত সম্ভব কম শব্দ করে শত্রুকে ঘায়েল করে বের হয়ে আসা যাবে- এসব তারা শিখে নেয় অতি দ্রুত।

এরপর তৃতীয় ‘তিনি’। এই তিনি তাদের সামনে একজনের ছবি রাখেন। সরাসরি বলেন, ছবির সামান্য পৃথুলা এই লোকটি ইসলামের ভয়ংকর শত্রু। সে বিভিন্ন জায়গায় ইসলামের বিরুদ্ধে লেখে, কথা বলে। তার ভাষা এমন বিভ্রান্তিকর যে, অন্যরা মুসলিমদের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলছে। ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা নিচ্ছে। তার একমাত্র অস্ত্র মিষ্টি মিষ্টি কথা। কিন্তু এই অস্ত্রই কাফেরদের তরবারির মতো ধারাল হয়ে উঠছে।

তিনি তাদের কাব বিন আশরাফের গল্প বলেন, রাসূল (স.) নিজে যাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সুতরাং এদের হত্যা করা কর্তব্য।

তারপর তিনি সেই শত্রুর এলাকার সম্পূর্ণ একটি মডেল তাদের দেখান। তাদেরকে শেখানো হয় কীভাবে টানা কিছুদিন শত্রুর বাড়ির উপরে চোখ রাখতে হবে। যেহেতু এই শত্রু শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, হাঁটার ক্ষমতা নেই, সারাক্ষণ হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেন সুতরাং তাকে মারতে খুব কষ্ট হবে না। সামান্য যে ঝুঁকি, তা হলো তাকে বাড়িতে ঢুকে হত্যা করতে হবে। কিন্তু আল্লাহর পথ আপাতদৃষ্টিতে যত কণ্টাকাকীর্ণ মনে হয়, প্রকৃতপক্ষে ততটাই ফুল বিছানো এবং সরল থাকে সেই পথ। সুতরাং ঝুঁকি নেওয়ার বিকল্প নেই।

তারপর তারা পাঁচজন আলাদা একটি বাসা নেয়। নভেম্বরের একুশ তারিখ বিকেলে তারা বাসায় ওঠে।

আবারও ৭ ডিসেম্বর

জায়নামাজে বসে নামাজের তৃতীয় রাকআতে রুকুতে গেলেন তিনি। ‘সামিআল্লাহুলিমান হা’মিদ’ বলে যখন পিঠ সোজা করলেন, তখন পেছনে দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে দুজন। দুজনের হাতেই চাপাতি।

দ্বিতীয়জনের হাত টেনে ধরে আছে প্রথমজন। সে বলল, কী করছেন? ছাড়েন আমাকে!

প্রথমজন বলল, দেখতে পাচ্ছেন না? একে কীভাবে মারবেন? কেন মারবেন?

দ্বিতীয় যুবক উত্তর দিলো না। ঝাঁকুনি দিয়ে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করল। পারল না। প্রথমজন শক্তভাবে ধরে আছে।

তিনি তখন ‘আল্লাহু আকবার’বলে সিজদায় গেলেন। পেছনের ফিসফাস কথা তার কানে গেছে। কিন্তু নামাজ শেষ না করে পিছনে ঘুরতে পারছেন না। তিনি আবার সমস্ত মনোযোগকে কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা করলেন।

দ্বিতীয়জন হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করল আবারও। প্রথম যুবক হাত ছাড়ল না। তার এতদিনকার ঘোর যে মুহূর্তেই কেটে গেছে- তা নয়। কিন্তু সে আবারও বিভ্রান্ত হয়েছে। যে মানুষটি সম্পর্কে জেনে এসেছে, ইসলামের শত্রু, মুসলিম জাহানের শত্রু, তাকে এমনটা দেখার আশা সে করেনি। সেই সাথে দুদিন আগে হাতে আসা নামাজরত ঐ ব্যক্তির প্রিন্টেড একটা লেখার কথা তার মনে পড়ে নতুন করে। দুলাইনের একটা লেখা ছিল অনেকটা এমন : ঘুষের টাকায় গরুর মাংস কিনে চিবানো লোকটি বলে শূকর নাকি হারাম! আর এই গরু হালাল!

এই মুহূর্তে তার মাথায় খেলে গেল, তাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল যে, এই মানুষটি বিভিন্নভাবে শূকর খাওয়ার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। বেছে বেছে ইসলামে নিষিদ্ধ বস্তুর পক্ষে তার লেখাজোখা। প্রথম যুবক নিজেও শুরুতে তা-ই ধরে নিয়েছিল। এমন ক্রিটিকাল একটি মুহূর্তে তার মাথায় খেলে গেল যে, এই মানুষটি শূকরকে হালাল বলেননি। তিনি বুঝিয়েছেন, শূকরের মাংস যে অর্থে হালাল নয়, ঘুষের টাকায় কেনা গরুর মাংসও সেই অর্থেই হালাল নয়। এই লেখাটা ছিল স্রেফ ঘুষ খেতে নিরুৎসাহিত করার জন্য, শূকর খেতে উৎসাহিত করার জন্য নয়।

দ্বিতীয় সিজদা দিয়ে তিনি বসলেন।

দ্বিতীয়জনের ভিতর অস্থিরতা দেখা দিল। সময় কেটে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ তিন মিনিটের মধ্যে অপারেশন শেষ করে বের হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। নইলে নিরাপদে বের হওয়ার কোনো উপায়ই থাকবে না। কিন্তু এ কোন ফ্যাসাদ দেখা দিল!

প্রথমজনের বাধা দেওয়ার কারণ সে বুঝতে পারছে। কিন্তু কিছুই করার নেই। মারতে হবেই একে। ইসলামের শত্রু। আর এমন সুবিশাল দায়িত্ব নিলে চেইন অব কমান্ড না মেনে উপায় নেই। তাকে উপর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একে হত্যা করার। সেই নির্দেশ অমোঘ। শত্রু কী অবস্থায় আছে- এসব দেখার দায়িত্ব তার নয়। কিন্তু প্রথমজন টেনে ধরে আছে। এদিকে সময় বয়ে যাচ্ছে। কী করবে, মাথায় আসছে না দ্বিতীয় যুবকের।

সে আর কিছু না ভেবে চাপাতি চালালো প্রথম সঙ্গীর মাথায়। মাথা সরিয়ে ফেলায় সেই কোপ বাহুর মাংস ভেদ করে বেরিয়ে গেল। প্রথমজন ব্যথায় চিৎকার দিয়ে উঠল। তবু অন্য হাতে সঙ্গীর চাপাতি ধরা কব্জি চেপে ধরল।

তৃতীয় জন এতক্ষণে নারী শরীর স্পর্শের প্রাথমিক ধাক্কা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠেছে। সে জোরে তার মুখ চেপে ধরে আছে। একবার শুধু বলেছিল, চুপ, সামান্য আওয়াজ বা নড়াচড়া করলে আগে তোকে জবাই দিয়ে রেখে যাব। নারীটি চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে তারপর থেকে। এমন সময় সে প্রথম সঙ্গীর জোর গোঙানি শুনতে পেল। প্রথমে হতভম্ব হয়ে গেল। কী ব্যাপার! যেহেতু সে অন্য রুমের ভিতরে কী ঘটছে জানতে পারছিল না, তাই ক্রমশ তার কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা আরও বাড়তে লাগল। তখন নারীটির সামান্য একটি ধাক্কাতেই ছিটকে গেল সে।

সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল।

দরজা দিয়ে দুটি ছায়ামূর্তিকে দৌড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা গেল। নারীটি এক দৌড়ে স্বামীর রুমে আসলো। সেখানে দেখতে পেল, এক যুবকের রক্তাক্ত শরীর পড়ে আছে।

আর তার স্বামী সদ্য সালাম ফেরাচ্ছে, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ...।


আরো পড়ুন-
বিশ্বখ্যাত লেখকদের বিচিত্র অভ্যাস ও রসাত্মক কাহিনি

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!