X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০
উড়িষ্যার লোককথা : পর্ব- ৯

রাজকুমারী সুকেশিনী

অনুবাদক : দিদার মুহাম্মদ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৪৯আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:০৪

রাজকুমারী সুকেশিনী

বহুকাল আগে উড়িষ্যার এক গ্রামে ছিল এক বুড়োবুড়ির সংসার। বিধু নামে তাদের ছিল এক পুত্রসন্তান। তেমন কোন জায়গাজমি ছিল না বলে জীবিকার জন্য এই বুড়ো বয়েসেও দৈনিক কাজে যেতে হত বুড়ো মানুষটাকে। কিন্তু বুড়োর শরীর দিনদিন এতটাই ভেঙে পড়ছিল যে তার পক্ষে আর কাজ করা ছিল প্রায় অসম্ভব। অবশ্য বিধুও কাজের উপযুক্ত বয়েসে উপনিত হয়েছে। নওজোয়ান। বুড়ি বুড়োকে বললো, ‘আমাদের বিধু তো বড় হয়েছে। ওকে কাজে পাঠালে হয় না? ও কাজ না করলে কী হবে আমাদের? বলি কী বিধুকে বিয়ে দিয়ে দেই। তাহলেই দেখবে সংসারী হলেই দায়-দায়িত্ব কী জিনিস বুঝবে।’

বুড়ির বুদ্ধিটা ভাল লাগলো বুড়োর। একরাতে খাবারের পর বুড়ো বিধুকে ডেকে বললো, ‘বাবা, আমরা তো বুড়ো হয়ে গেছি। আর কয়দিনই বা বাঁচবো। আমরা বেঁচে থাকতেই ঘরে একটা ভালো বৌ আন। তোকে সংসারী দেখে মরি।’ এই কথা শুনে বিধু বলে তাদের এখন কঠিন সময় যাচ্ছে। খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছে। এখন বিয়ে করা মানে যে মেয়েটি ঘরে আসবে তাকেও অনাহারে থাকতে হবে। আগে কাজের একটা হিল্লে হোক। তারপর বিয়ের কথা ভাবা যাবে। ছেলের এই কথায় বুড়ো খুবই খুশি হলো। বুঝলো ছেলে আসলেই বড় হয়েছে। সে আয়-রোজগারের কথা ভাবতে শিখেছে। সে আসলেই বুদ্ধিমান। তারপরও আবার জিজ্ঞেস করলো, তাদের না আছে জমি জমা, না আছে অর্থকড়ি। কী করে কী করবে সে? বিধু বললো, ‘বাবা, আমি বনে যাব কাঠ কাটতে। গায়ে যতক্ষণ শক্তি আছে আমি কাজ করতেই থাকবো। কাঠ জোগার করে হাটে বেচবো। পয়শা আয় করবো। আমি কি মাত্র তিনটি পেটের ভাত জোগার করতে পারবো না?’ বুড়ো মা তো এই শুনে খুবই খুশি, তার ছেলে দায়িত্ব বুঝতে শিখেছে।

পরেরদিন সকালেই বিধু বনে যায়। কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করে। যা আয় হয়ে তা মায়ের হাতে তুলে দেয়। বুড়ো বাব-মার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। তাদের সন্তান এখন রোজগার করে। আসন্ন বর্ষার দিনের জন্য বুড়িও পারবে দুটি পয়শা জমা করতে। ছেলের বৌয়ের জন্য এখন তাকে ভাবতে হবে। কিছুদিনের মধ্যে বুড়ি বেশ কিছু পয়সাও জমিয়ে ফেললো। একদিন স্বামীকে বললো, ‘এখনই উপযুক্ত সময় বিধুকে বিয়ে দেবার। দেরি করবার আর কী দরকার।’ বুড়োবুড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিধুর জন্য উপযুক্ত মেয়ে খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।

রাজ্যের রাজকুমারী সুকেশিনী। দীঘল কালো চুলের জন্যই তার এই নাম। সে এক দেবীর পুজা করতো। দেবীর ইচ্ছায় সে যা-ই করতে চাইতো তা-ই করতে পারতো। একদিন সুকেশিনী তার সখিদের সাথে স্নান করছিল। এমন সময় তার চুল থেকে খোঁপাটি গেলো খুলে। সে বললো, ‘তোমরা যদি কেউ এই খোঁপাটি নিতে চাও তবে নিতে পারো।’ সখিরা বললো, ‘ও মা, এই দীঘল চুলের খোঁপা! সেকি আমাদের মানায়? তুমি বরং নদীর জলেই ভাসিয়ে দাও। তোমার রাজকুমার এটা পেয়ে তোমার কাছে ছুটে আসবে। তখন তাকে বিয়ে করে সুখি হবে। হে হে হে…।’ ও মা! রাজকুমারী সুকেশিনী সত্যিই তাই করলো। একটি রূপোর কৌটায় খোঁপাটি পুরে পানিতে ভাসিয়ে দিলো আর প্রতিজ্ঞা করলো যে এই খোঁপাটি পেয়ে তার কাছে আসবে তাকে সে বিয়ে করবে।

ঐ নদীতে সেই বুড়ি স্নান করছিল। হঠাৎ দেখলো একটি রূপোর কৌটা ভেসে আসছে। খুলে দেখলো তাতে একটি চুলের খোঁপা। নিশ্চয় এটি কোন মেয়ের হবে আর সেই মেয়েটি নিশ্চয় এটাকে ভাসিয়ে দিয়েছে বর পাবার আশায়। তাই বুড়ি সিদ্ধান্ত নিলো মেয়েটিকে তার ছেলের বৌ করবে। এমন দীঘল কালো চুলের বৌ পেয়ে তার ছেলে সুখীই হবে। রূপোর কৌটা আর খোঁপাটি নিয়ে বাড়ি ফিরলো বুড়ি। স্বামীকে সব খুলে বললো। বুড়ির এই বুদ্ধিটিও ভাল লাগে বুড়োর। কিন্তু কোথায় সেই মেয়ে? কেমন করে তাকে পাবে? উপায় কী?

উপায় না পেয়ে শেষমেষ বুড়ো-বুড়ি বেরিয়ে পড়লো মেয়ের খোঁজে। সোজা নদীর তীর ধরে ভাটির দিকে হাঁটতে শুরু করলো তারা। অনেকক্ষণ হাঁটার পর দেখতে পেলো কতক মেয়ে স্নান শেষে বাড়ি ফিরছে। কিন্তু তাদের মধ্যে এমন কাউকেই দেখা গেলো না যার মাথায় এমন চুল আছে। তাই তারা পরেরদিন পর্যন্ত সেখানেই অপেক্ষা করলো।

সুকেশিনী আর তার সখিরা আবার স্নান করতে আসলো নদীতে। মজা করে সখিরা রাজকুমারীকে জিজ্ঞেস করলো, ‘রাজকুমারী সুকেশিনী! কোথায় তোমার সেই স্বপ্নের রাজকুমার? সে মনে তো হয় আর আসবে না। তার কি কুমারীর অভাব পড়েছে যে সে তোমার চুল হাতে করে তোমাকে বিয়ে করতে ছুটে আসবে? হে হে হে…।’ সুকেশিনী বলে, ‘ধৈর্য ধরো, সখি! রাজকুমার ঠিকই আসবে। আর যতদিন না আসে ততদিন আমি তার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণবো।’

বুড়োবুড়ি এই কথপোকথন শুনে বুঝতে পারলো এদের মধ্যেই আছে সেই দীঘল চুলের কন্যা। এখনই সময় তাকে তাদের ছেলের বৌ করার কথাটি বলার। বুড়ো এক উপায় বের করলো। সে কন্যাদের ফেরবার পথে পা আগলে বসে রইলো। কুমারী সুকেশিনী আর সখিরা স্নান শেষে ফিরতি পথে রওনা দিলো। বুড়ো রূপোর কৌটাটি বের করে চুলের খোঁপাটি মেলে ধরলো। আর কন্যাদের উদ্দেশ্যে বললো, ‘কন্যারা! এই যে চুলের খোঁপা এটা তোমাদের কারোর হবে। তাকে আমার ছেলেকে বিয়ে করতে হবে। যদি কন্যাটি এখানে থেকে থাকে তার উচিত হবে আমার পা তার হাত দিয়ে সরিয়ে আমাকে সম্মান দেখানো। অন্য কন্যারা আমার পায়ের উপর দিয়ে লাফিয়ে যেতে পারো।’ রাজকুমারী সুকেশিনীর সখিরা তো পার হয়ে তাদের পথে চলে গেলো। কিন্তু সুকেশিনী তার হাতে বৃদ্ধের পা সরিয়ে তাকে যথার্থ সম্মান দেখালো। বললো, ‘বাবা, এই চুলের খোঁপা আমার। আমি এই রাজ্যের রাজকুমারী সুকেশিনী। আপনি আমার প্রতিজ্ঞার কথা শুনেছেন কিনা জানি না। তবে আমি আমার প্রতিজ্ঞা পালন করবো। আপনার পুত্র গরীব বা অশিক্ষিত তা কোন বিষয় নয়। আমি নিশ্চয়ই তাকে বিয়ে করবো। কেউ আমার ভাগ্য বদলাতে পারবে না। দয়া করে এই বিয়ে নিয়ে আমার পিতাকে বলুন।’ এ তো যে-সে মেয়ে নয়, স্বয়ং রাজকুমারী! এই কথা জানার পর বুড়ো-বুড়ি ভয়ে সরে দাঁড়ালো। তারা রাজদরবারে যাবে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে! যাহোক, বুড়োবুড়ি বললো ভেবে চিন্তে রাজার সাথে দেখা করতে যাবে। তারপর তারা বাড়ি ফিরে আসলো।

রাজকুমারীর সখিরা এই নিয়ে গল্প-গুজব করছিলো। রাজাও এ বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি সুকেশিনীকে ডাকলেন আর সত্য জানতে চাইলেন। কুমারী সমস্ত সত্য পরিস্কার করে যুবককে বিয়ের কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলো। রাজা তো বেশ মুশকিলে পড়লেন। গুপ্তচর পাঠালেন কে এই ছেলে, কী তার পরিচয় আর করে কী এই নানাবিধ তথ্য আনার জন্য। গুপ্তচর দ্রুত তথ্য এনে রাজাকে জানালো। বললো যে এই যুবক এক কাঠুরে। সে কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালায় আর তার বুড়ো বাবা-মার দেখভাল করে। গুপ্তচর এও বলে যে এমন একটি পরিবারের ছেলের সাথে রাজকুমারীর বিয়ে দেওয়া রাজার জন্য নিতান্তই মর্যাদাহানীকর। রাজা রাজকন্যাকে বুঝানোর শত চেষ্টা করলেন। কিন্তু রাজকুমারী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বললো এই যুবকে বিয়ে না করলে সুকেশিনী অসৎ প্রমাণিত হবে। তাকে সবাই মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করবে। রাজা জানেন রাজকুমারীর মনের অবস্থা। তার মন ধার্মিকতায় বাঁধা। সে সবসময় সত্য বলে। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধেও সে কিছু করবে না। কিন্তু তাই বলে রাজা হয়ে এক সামন্য কাঠুরের সাথে রাজকন্যার বিয়েও তো তিনি দিতে পারেন না। এজন্য তাকে সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তটিই নিতে হলো। রাজকুমারীকে রাজপ্রাসাদ থেকে তাড়িয়ে দিলেন রাজা।

রাজকুমারী প্রাসাদ ছেড়ে সোজা যুবকের বাড়িতে গিয়ে হাজির হলো। সে তার শ্বশুর-শাশুড়িকে দেখে তাদের ছেলে কোথায় জানতে চাইলো। বুড়ো বললো, ‘আমার ছেলে একটা কাঠুরে। যদি সে প্রত্যেক দিন কাঠ জোগার না করে তবে কি আমাদের দিন যাবে মা? সে গেছে পাশের বনেই কাঠ সংগ্রহ করতে। তুমি সেখানে যেতে পারো।’ রাজকুমারী বনের মধ্যে গেলো। সে শুনতে পেলো কে যেন কাঠ কাটছে। সে তার বরকে দেখতে পেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলো। বনের মধ্যে এমন এক সুন্দরী রমণীর জড়িয়ে ধরায় বিধু হতবম্ভ হয়ে গেলো। সে ভাবলো এ নিশ্চয় কোন পেত্নী হবে। সে এক টুকরা কাঠ নিয়ে রাজকুমারীকে আঘাতের পর আঘাত করতে লাগলো। রাজকুমারী তার পরিচয় দিলেও সে তা বিশ্বাস করলো না। রাজকুমারী কাঁদতে কাঁদতে শ্বশুর শাশুড়ির কাছে আসলো। তারপর প্রাসাদে ফিরে যেতে চাইলো।

বিধু বাড়ি ফিরে আসলো তখনই। বুড়ো বাবা ভর্ৎসনা করে বললো, ‘আমাদের বৌ মা তোর সাথে দেখা করতে বনে গেলো আর তুই তাকে এভাবে প্রহার করলি!’ বিধু বললো, ‘আমি বুঝিনি বাবা, বনের মধ্যে এমন একটা সুন্দরী নারী এসে হঠাৎ কেমন করে আসতে পারে? আমি তাকে পেত্নী মনে করে প্রহার করেছি।’ বুড়ো বললো, ‘যা, বৌমা তার বাবা-মায়ের কাছে ফেরত যাচ্ছে। তার কাছে গিয়ে তাকে শান্ত কর, তাকে ফিরিয়ে আনরে ভরাপরা।’

বিধু সুকেশিনীর পিছু ছুটলো। তাকে থামিয়ে বাড়ি ফেরার কথা বললো। কিন্তু রাজকুমারী তার কথার কোন দামই দিলো না। বিধু বুঝলো রাজকুমারী অভিমান করেছে। তাকে এতটা কষ্ট দেওয়া অন্যায় হয়ে গেছে। সে গাইতে শুরু করলো-

‘শোন মোর রাজকুমারী! ও প্রিয় রাজকুমারী!

আমি যে ভুল করেছি, তোমাকে ভুল বুঝেছি

না জেনে ব্যথা দিয়েছি, বেদনায় আমি জ্বলেছি

ক্ষমা চায় এই আসামী, হাসি মুখ চাই তোমারি।’

রাজকুমারী কোনই সাড়া দিলো না। সাড়া না পেয়ে বিধু এই গান আবার গাইলো। তারপর তার পথ আগলে দাঁড়ালো। রাজকুমারী ছলছল চোখে অন্যদিকে চেয়ে থাকলো। বিধু তার সামনে নতজানু হয়ে অনুনয় করে ক্ষমা চাইলো। আর বাড়ি ফিরে যাবার অনুরোধ করলো। রাজকুমারীর চোখের জল মুছে দিলো বিধু। তারপর দু’জন বাড়ির দিকে পা বাড়ালো। বাড়ি ফিরে রাজকুমারী বিধুকে বললো, ‘যাও, যেখানে তোমার কাঠের বোঝা ফেলে এসেছো তা নিয়ে আসো। জলদি আসবে। বেচার জন্য পরে যেও।’ বিধু কাঠের বোঝা আনতে গেলো। সে যেখানে ফেলেছিলো, কাঠের বোঝা ঠিক সেখানেই আছে। কিন্তু এর রঙটা বদলে গেছে। আর ওজনও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। সে আসলে অবাকই হলো। বাড়ির বাইরে কাঠের বোঝা ফেলে সে ঘরে ঢুকলো। সুকেশিনী বললো, ‘কাঠের বোঝাটা বাড়ির ভেতরে নিয়ে আসো।’ বিধু বললো ওটা সে এখন বেচতে যাবে। বাড়ির অনেক খরচ আছে, এখন ওগুলো না বেচলেই নয়। সুকেশিনী বললো, ‘না, ওটা তুমি বেচতে যেতে পারবে না। ওগুলো আগে বাড়ির ভিতরে আনো। ওগুলো এখন আর কাঠের বোঝা নয়, বরং সোনার বোঝা। এখন থেকে তোমাকে আর বনে কাঠ কাটতে যেতে হবে না।’ সবাই হতবাক হয়ে গেলো। ভাবলো, এ তো যে-সে কেউ নয়, স্বয়ং দেবী। সবাই তাকে সম্মান দিতে লাগলো। রাজকুমারী বললো, ‘আমি দেবী নই, সাধারণ এক মেয়ে।’ দিন গড়াতে থাকলো, বিধু সামান্য কাঠুরে থেকে ধনী বণিকে পরিণত হলো। তার কুঁড়েঘর এক প্রকাণ্ড প্রাসাদে রূপ নিলো। অনেক পরিচারিকা সব সময় তাদের যত্ন-আত্তির জন্য নিযুক্ত হলো। চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো এই খবর। লোকজন সুকেশিনীর প্রশংসামূলক গান গাইতে শুরু করলো। এই সংবাদ রাজার কানেও গেলো।

রাজা মন্ত্রীকে বিষয়টির সত্যতা জানানোর জন্য বললেন। মন্ত্রী ছদ্মবেশে তার সৈন্যদল নিয়ে আসল ঘটনা দেখতে গেলো। কথা তো সত্যই প্রমাণিত হলো। বিধুর প্রাসাদ দেখে মন্ত্রীর মাথা ঘুরে গেলো। এ যে রাজপ্রাসাদ থেকেও বড়। প্রাসাদে ফিরে রাজাকে সব খুলে বললো মন্ত্রী। রাজা এ সব শুনে বিশ্বাস করতে পারলেন না। রাণীকে সঙ্গে করে সুকেশিনীকে দেখতে এলেন। প্রাসাদ দেখে তিনি খুব খুশি হলেন। এমন সময় সুকেশিনী আর তার স্বামী রাজা রাণীকে অভ্যর্থনা দিতে আসলো। রাজা এক তৃপ্তির হাসি হাসলেন এবং প্রাসাদে প্রবেশ করলেন। বিধুও তার শ্বশুর-শাশুড়িকে পেয়ে খুব খুশি হলো। রাজা-রাণী তাদের সন্তানকে এমন রাজরাণীর মতো বাস করছে দেখে খুব আনন্দিত হলেন এবং মেয়ে-জামাইয়ের জন্য আশির্বাদ করে প্রাসাদে ফিরে গেলেন। (চলবে- প্রতি বৃহস্পতিবার)

.............................................................................................................

আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন :

উড়িষ্যার লোককথা : পর্ব- ৮


দিদার মুহাম্মদ : আইসিসিআর স্কলার, মাস্টার অফ পারফর্মিং আর্টস (এমপিএ), ব্যাঙ্গালুর ইউনিভার্সিটি, কর্ণাটক, ভারত।

ই.আ
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
হোয়াইট হাউজের বিড়াল নিয়ে বই প্রকাশ করবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
হোয়াইট হাউজের বিড়াল নিয়ে বই প্রকাশ করবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
আশরাফুলের হ্যাটট্রিকে আবাহনীর টানা ৮ জয়
আশরাফুলের হ্যাটট্রিকে আবাহনীর টানা ৮ জয়
সর্বাধিক পঠিত
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!