X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

আমি এক ধরনের সৌন্দর্য নির্মাণের চেষ্টা করি : খালেদ চৌধুরী

.
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:০৬আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০১৭, ১২:১৬

আমি এক ধরনের সৌন্দর্য নির্মাণের চেষ্টা করি : খালেদ চৌধুরী খালেদ চৌধুরী। জন্ম ৯ নভেম্বর কুমিল্লার চড়ানলে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। কবিতার বই একটি ‌‌'পাস নম্বর ৩৩'। ছোটগল্প চর্চায় সমান আগ্রহী। লিটলম্যাগ- দৃক, শালবন সম্পাদনার সংগে যুক্ত। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেন। 

দ্বিতীয় দশকের কয়েক জন কবির কাব্য-ভাবনা ও লেখালেখি নিয়ে বাংলা ট্রিবিউন সাহিত্যের এই আয়োজন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন একই সময়ের কবি রাসেল রায়হান।

 

প্রশ্ন : `পাশ নম্বর ৩৩’ তো? কবিতারবইয়ের নাম?

উত্তর : হ্যাঁ

 

প্রশ্ন : আপনি গল্পও লেখেন। কোন অভিধা নিতে বেশি ভালো লাগে? কবি? নাকি কথাসাহিত্যিক?

উত্তর : কবি ও কথাসাহিত্যিক দুটোই।

 

প্রশ্ন : ‘পাশ নম্বর ৩৩’ সাধারণত কবিতার বইয়ের নামের সাথে যায় না। এই নাম মাথায় আসার ইতিহাস কী?

উত্তর : পাশ নম্বরে দুইটা তিন(৩৩)। প্রেমিকার সাথে পাশাপাশি থাকতে চেয়েছিলাম জীবনভর। দুইটা তিনের মতো। কোনোভাবে পাশ করে। পরীক্ষায় পাস নম্বরের দুটো তিন আমরা হতে চাই-  ভাবনা এরকম ছিল।

 

প্রশ্ন : বাহ! ব্যাখ্যা চমৎকার লাগছে। দুইটা ৩৩ পাশাপাশি থাকলে ছক্কা (৬) মারা যায়। পেরেছেন ছক্কা মারতে? প্রেমে?

উত্তর : প্রেমিকাকেই বিয়ে করেছি। ছক্কা মারেছি। তা বলতে পারেন।

 

প্রশ্ন : আর কবিতায়?

উত্তর : ২০০৫ সাল থেকে কবিতা লেখি। প্রায় ১২ বছরের সাধনার ধন আমার ‘পাস নম্বর ৩৩’। আমি আসলে আমার নিজের জন্য কবিতা লেখি। একটা কবিতা বা গল্প লিখতে পারলে এত ভালো লাগে বলে বোঝাতে পারব না। এই ভালো লাগাটাই আমার পাশ নাম্বার।

 

প্রশ্ন : ‘পাস নম্বর ৩৩’ নিয়ে কতটা তৃপ্ত? প্রথম বই হিসেবে ১০০-তে কত নম্বর পেলে সন্তুষ্ট হবেন? নিজে কত দেবেন?

উত্তর : সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আমি এবছর বাবা হতে পারতাম। কিন্তু ভ্রুণসন্তানটা ৩ মাসের বেশি থাকল না। ১৭ সালে বই প্রকাশ দিয়ে আমার অনাগত সন্তানের কথা মনে থাকবে। তাই ১০০-র মধ্যে আমি মার্কিং করতে চাই না।

 

প্রশ্ন : তবু, অন্য একজন ভালো বললে আনন্দটা আরও একশ গুণ বেড়ে যায় না?

উত্তর : স্বীকৃতি পেলে তো ভালো লাগে। আনন্দ বেড়ে যায়।

 

প্রশ্ন : আচ্ছা, অন্য প্রসঙ্গ। কবিতায় ছন্দের গুরুত্ব কতটা? জ্যেষ্ঠরা প্রায়ই অভিযোগ করেন, নবীনরা ছন্দ পারে না। আসলেই পারে না? নাকি তাদের আগ্রহের অভাবও হতে পারে?

উত্তর : জ্যেষ্ঠরা একটা দুষ্টুচক্রের মধ্যে আছেন। কারণ তারা যখন তরুণ ছিলেন তাদের জ্যেষ্ঠরা তাদেরকে এই একই প্রশ্ন করেছ। আবার আমাদের প্রজন্ম যখন জ্যেষ্ঠ হয়ে যাবে তারাও ওই একই কথা বলবে। এই দুষ্টুচক্র ভাঙা উচিত। ছন্দের জন্য কবিতা না, কবিতার জন্য ছন্দ?

 

প্রশ্ন : আবার আপনার কবিতায় আসি। আপনার বই কতটা ব্যক্তি আপনাকে রিপ্রেজেন্ট করছে?

উত্তর : আমার একটিই কবিতার বই। আমি চেষ্টা করেছি নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য।

 

প্রশ্ন : বাংলা কবিতায় নানা বৈশিষ্ট্য-বৈচিত্র্য আছে। এর মধ্যে আপনার কবিতা কী স্বাতন্ত্র্য নিয়ে এসেছে। ঠিক কিসের তাগিদে লিখছেন?

উত্তর : আমার মনে হয় নিজের কবিতার বৈশিষ্ট্য নিজে আবিস্কার করা—কবির কাজ না। শব্দ দিয়ে কবিতাগুচ্ছে—আমি এক ধরনের সৌন্দর্য নিমার্ণের চেষ্টা করি। আমি আমার মতো আমার মানস প্রতিমা ভাঙি আবার গড়ি।

 

প্রশ্ন : কবিতায় আপনি কিসের দিকে বেশি জোর দেন? নির্মাণে, না বোধে?

উত্তর : বোধের দিকে জোর দেই। বোধ দিয়েই কবিতা নির্মাণ করি। তবে ফর্মের দিকে আমার খেয়াল বেশি। আমি নিজস্ব একটা আঙ্গিকে কবিতা লিখতে চাই। তবে এখনো আমার কবিতার আঙ্গিক নির্মাণাধীন।

 

প্রশ্ন : আমি লক্ষ করেছি, আপনার কবিতায় গ্রামীণ অনুষঙ্গের আধিক্য প্রচুর। কারণটা ঠিক কী? গ্রামে থাকতে লেখা বেশিরভাগই? নাকি হৃদয়ে গ্রাম নিয়ে ঘোরেন এখনো?

উত্তর : ভাই, আমি গ্রামে বড় হয়েছি। যখন শহরে এসে ইন্টারে ভর্তি হই আমার ভেতরটা গ্রামের জন্য হু হু করত। গ্রাম আমি হৃদয়ে ভয়ে নিয়ে বেড়াই। আপনি মনের কথাটা বলেছেন। যখন গ্রামে ছিলাম গ্রাম ভালো লাগেনি। শহরে এসে শহর ভালো লাগে না। বিদেশ আমার বহু দূর।

 

প্রশ্ন : তার মানে এটা বলা যায়, অপ্রাপ্তিগুলোই আমাদের মূলত প্রভাবিত করে?

উত্তর : অবশ্যই। বাঁশের বিরহে বাঁশি যেভাবে কাঁদে?

 

প্রশ্ন : জীবন্ত বাঁশেও সুর ওঠে। বাতাসে। আমরা সেটা শুনি না। শেষপর্যন্ত মানুষ প্রকৃতিতে তুষ্ট হয় না বোধ হয়। তার সব সন্তুষ্টি নিজের সৃষ্টিতে। এমন একটা কিছু আমাদের অবচেতনে থাকে চিরকাল?

উত্তর : আমার যা কিছু নাই সেটাই আমার সম্পদ।

 

প্রশ্ন : আচ্ছা, জীবনানন্দ, জসীমউদদীন, আল মাহমুদ। এঁদের পর তরুণেরা লেখায় ঐ অর্থে গ্রামে ফিরছেন না। কারণটা ঠিক কী মনে হয়? তাদের গ্রামের অভিজ্ঞতা কম? নাকি পাশ্চাত্য তাদের কাছে গ্রামের টানকে তুচ্ছ করে দিয়েছে?

উত্তর : গ্রামকে আমরা আর অনুভব করি না। শহরে আসার পর- সৎ মা ঘরে আসলে বাবা যেরকম খালু হয়ে যায়- আমরা শহরে এসে অনেকটা সেরকম হয়ে গেছি। জীবনানন্দ, জসীমউদদীন, আল মাহমুদ বিদেশে যাবার স্বপ্ন দেখেননি। এখনকার তরুণদের স্মৃতিস্বপন তো গ্রাম না। বিদেশের কোনো দেশের দাস। অথবা গ্রামের অভিজ্ঞতা কম। আমি বলব পাশ্চাত্যের প্রলোভন।

 

প্রশ্ন : একজন কবির নিজের মাটির কথা বলা কতটা বাধ্যতামূলক?কবিতা কখন নিজের সীমারেখা ছাড়িয়ে বৈশ্বিক হয়ে ওঠে?

উত্তর : নিজস্বতা বাদ দিয়ে কোনো কিছু হয় না। মাটির গন্ধ আমার বোধের আত্মীয়। বোধ যখন দেশ ছাড়িয়ে—তারকাটা ডিঙায় তখন ধীরে ধীরে কবিতা বৈশ্বিক হয়ে ওঠে।

 

প্রশ্ন : তাহলে কবিতার আন্তর্জাতিকতা বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন?

উত্তর : পণ্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিষয়টি মানানসই। যে পণ্যের ভোক্তা বেশি তার বাজার বড়। বিশ্বে চাহিদা না থাকলে বিপণন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু কবিতার সঙ্গে এসব বিষয় যায় না। কবিতা বা সাহিত্য অনেকটা মৌল আবিষ্কারের মতো। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যদি কেউ মৌল আবিস্কার করে—তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়। কবিতার আন্তর্জাতিক আপিলটা আমি সেভাবে দেখি।

 

প্রশ্ন : কবিতার সঙ্গে জীবনাচরণ, রাজনীতির দ্বন্দ্ব আছে কি না?

উত্তর : জীবন-যাপনের ধারাবাহিকতা রাজনীতির অংশ। তবে কবির রাজনৈতিক চেতনা কবিতার অংশ। যাপন চিত্রই কবিতায় কবি ফুটিয়ে তোলেন। কেউ যদি ভেতর থেকে দেশকে মেনে নিতে না পারে, তাকে দিয়ে কবিতা হবে না—আমি তা বলব না। আবার কেউ দেশপ্রেমের অভিনয়সমৃদ্ধ স্তবক লিখে কবি হয়ে গেল—তাও হয় না। এরশাদেরও কিন্তু অনেক কবিতা আছে। জীবনাচরণের বিপরীতে রাজনীতি হয় না। যদি হয় তা ভণ্ডামি। রাজনীতির সঙ্গে ব্যক্তিক দ্বন্দ্বে কবির মৃত্যু ঘটে।

 

প্রশ্ন : এই সময়ের অনেক কবিই কথাসাহিত্যে আগ্রহী হচ্ছেন। সৈয়দ শামসুল হক আর আল মাহমুদ ছাড়া দুই মাধ্যমে বহুদিন শক্তিশালী কাউকে পাওয়া যায়নি। এটা কেন? আবার এই সময়ে এসে দুই মাধ্যমেই আগ্রহী অনেককে দেখা যাচ্ছে। এটারই বা কারণ কী বলে মনে হয়?

উত্তর : কবিতার বই কম বিক্রি হয়। কবিতা দিয়েই আমাদের সবারই হাতেখড়ি। বাংলা কবিতার জোয়ার আপনি দেখবেন ৩০ বছর পর পর। দ্বিতীয় দশকটা আমার কেন জানি মনে হয় কবিতার জন্য না। হয়তো অনেকেই এই বিষয়টা বুঝে গেছেন। আর কবির তুলনায় আমাদের এদিকে কথাসাহিত্যিকের সংখ্যা কম। তরুণদের কথাসাহিত্যের আগ্রহ দারুণ আশার দিক।

 

প্রশ্ন : এমন কি হতে পারে না- বড় কথাসাহিত্যিক এবং কবিরা এই সময়টাতে মৃত্যুবরণ করেছেন। শারীরিক বা আত্মিক। সেই জায়গাটা দখলের লোভ, বা আকর্ষণ? সম্ভব না একদম? মানুষের মন তো! হয়তো অবচেতনে আসলে এই বিষয়টিই ক্রিয়া করছে! হতে পারে না একদমই?

উত্তর : আসলেই কিন্তু তাই। কেন জানি এখন কবি কথাসাহিত্যিকরা আপসকামী।

 

প্রশ্ন : আর কবিতার পাঠক কমের একটা অভিযোগ পাওয়া যায়? এই অভিযোগের ভিত্তি কী? উত্তরণ সম্ভব কি না? কীভাবে?

উত্তর : কবিতার পাঠক বরাবরই কম ছিল। এখন আরও কমে যাচ্ছে—এটা ঠিক। গান কবিতা হয়েছে। আবার কবিতা গান হয়েছে। ভাষার নৌকা হচ্ছে কবিতা। কবিতা কখনো কখনো জাহাজ। কখনো ভেলা। কবিতা ছিল, কবিতা আছে, কবিতা থাকবে।

 

প্রশ্ন : এই গান, কিংবা চিত্রকলা, কিংবা অন্যান্য শিল্পমাধ্যমের সাথে কবিতার পার্থক্যটা কোথায়?

উত্তর : অন্যান্য শিল্প দিন দিন এককত্ব হারাচ্ছে। কবিতা এখনো তার শির উঁচু করে রেখেছে। দেখেন,  চলচ্চিত্র শিল্প কতগুলো শিল্পের যোগফল। এখনো কবিতার পতাকা পতপত করে উড়ছে।

 

প্রশ্ন : আচ্ছা, একটু আগে ঐ যে আপসকামিতার কথা বললেন, এই আপসকামিতার কারণ কী বলে মনে হয় আপনার?

উত্তর : আমাদের লোভ। ঢাকায় কবি সাহিত্যিকদের সম্পর্কে বড় ধারণা নিয়ে এসেছিলাম। গত চার বছরে আমার সেই ধারণা অসংখ্য বার ধর্ষিত হয়েছে। আমরা কবি বা কথাসাহিত্যিক হবার আগে তো মানুষ। আমরা কতটুকু মানুষ?

 

প্রশ্ন : সমাজে এই যে একটা ধারণা চালু আছে যে কবিকে হতে হবে মহামানব ধরনের? এই ধারণার ভিত্তিটি ঠিক কী?

উত্তর : সমাজ অনেক কথাই বলে। সমাজ কে? আপনি আমি মিলে-মিশেই তো সমাজ। কোনো শ্রমিক যদি ঢাকা শহরে কোনো কাজ না-পায়, রিকশা চালক হওয়া তার জন্য সহজ। সমস্ত ঐশ্বর্য বিসর্জন দিয়ে একজন কবি হতে আসে। আপনি একজন কবি, আপনিই বলেন, একটা কবিতার জন্য যে পরিমাণ ঘাম এবং শ্রম ঝরান, এই সময়ে যদি বিসিএস-এর প্রস্তুতি নিতেন তাহলে ক্যাডার হয়ে যেতেন। সারাদিন ৫ ঘণ্টা রিকশা চালালে মাসে ২০০০০-২৫০০০ হাজার টাকা। অথচ রাষ্ট্র কবি স্বীকৃতির মূল্য দেয় এক লক্ষ টাকা। কবিতা ছাপা হলে কেউ তো টাকা দেয় না। এই বাণিজ্যিক সময়ে কবি কি ঘাস খেয়ে বাঁচবে? এই মহা-অনিশ্চয়তার পথে যারা হাঁটে, তারা মহামানব নয়তো কী?

 

প্রশ্ন : নেক্সট প্ল্যান কী?

উত্তর : গল্প লেখা শুরু করি কবিতা লেখার আগে থেকেই। ভাবছি গল্পের বইটা ছাপাব।

 

শুভ কামনা, খালেদ।

ধন্যবাদ।


আরো পড়ুন-

কবিতাই জগতকে প্রতিনিধিত্ব করে : অপু মেহেদী

 

 

জেড.এস.
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিতে চাকরি, ৫ ক্যাটাগরির পদে নিয়োগ
সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিতে চাকরি, ৫ ক্যাটাগরির পদে নিয়োগ
অলিম্পিকের আগে জার্মানিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শায়েরা-রবিউলদের
অলিম্পিকের আগে জার্মানিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শায়েরা-রবিউলদের
জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্পে ডাক পেলেন সাইফউদ্দিন
জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্পে ডাক পেলেন সাইফউদ্দিন
সন্ধ্যা নামিল শ্যাম: গানে ও চিত্রে মুগ্ধতার সমন্বয়
সন্ধ্যা নামিল শ্যাম: গানে ও চিত্রে মুগ্ধতার সমন্বয়
সর্বাধিক পঠিত
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা