X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুরুষ ।। অশোক দেব

.
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৫৫আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৫৮

পুরুষ ।। অশোক দেব
মশারি কাচতে কার ভালো লাগে? লাগে না। কেবল ফেনা ওঠে। ভোর। রাতে মশারির থেকে একটা পুরুষ মানুষের গন্ধ পেয়েছিল সুলতা। সেটাকে সকালেই নিকেষ করতে হবে। এই ভেবে ঘুম হল না। ভোর হল। অনেক ডিটারজেন্টে চুবিয়ে দিয়েছে সেই মশারি সে। তর সইছিল না। ভালো করে ভিজে ওঠার আগেই কলতলা। সিমেন্টের একটা ছোট চাতাল। সেখানে ধপাস করে ফেলে সে। যেমন তাকে বিছানায় ফেলে দাদাবাবু। দাদাবাবুর লালাই সম্বল। ঘর মুছতে গেলেই লালা ঝরতে শুরু করে তার। সুলতা গন্ধ পায়। লালার গন্ধ। শরীর কী করলে সমুদ্র হয় সুলতা জানে। সুলতা জানে কখন বাতাস দিলে ঢেউ ওঠে শরীরে। দাদাবাবুর লালা ঝরে। পাঁচশো টাকার নোটগুলি এখন একশো টাকার থেকে ছোট। মোদী এসে ছোট করেছে। সুলতা জানে। দাদাবাবু একটা দেয়। সুলতা বসে থাকে মেঝেতে। সেখান থেকে তুলে তাকে বিছানায় ফেলে দাদাবাবু। তারপর সারা মুখ চাটে তার। লালায় লালায় ভরে যায় তার মুখ। সুলতা মিছে শীৎকার করে। দাদাবাবু নিভে যায় নিজে নিজে। সুলতা নিজেকে তোলে। বাড়ি চলে আসে। সুলতা বিধবা নয়। স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা পায়। পরিত্যাগের কারণ সুলতা ‘সেক্সি’। সে এমনকি কলাগাছের সঙ্গে শোয়। সেটা দেখেছে তার মাসি শাশুড়ি। ও পাড়ায় একটাই অর্জুন গাছ। তারও চরিত্রনাশ হল সুলতার কারণে। বালের চরিত্র। ও একদিন এমনি ভোরে চলে এলো। এখানে ভাড়া থাকে। টাকা দেয় না। এটা চাপরাশি বুড়ার বাড়ি। বুড়ার রান্না দেখভাল। বিনিময়ে থাকা। কিন্তু কাল রাতে জানালাটার মাসিক হল। রক্তাক্ত জোছনা গলগল করে ঘরে আসছিল। আর সুলতা পাচ্ছিল একটা পুরুষের গন্ধ। সেটা মশারির অযুত ছিদ্র দিয়ে আসছিল। সুলতা সত্য শীৎকার করছিল আর তরুণ বকুল গাছ বাড়িয়ে দিয়েছিল তার হাত জানালা দিয়ে। কিন্তু সে তো নিজেই নারী। বকুল। সুলতা সরে এসেছে। একটা হলুদ আলোর নিচে রাত কাটানো একটা নারী হয়ে গেল সুলতা। ভোরে সে মশারির ছিদ্রপথে চারিয়ে দিল দাদাবাবুর বাড়ির থেকে আনা দামি ডিটারজেন্ট। ফেনা। ফেনা। ফেনা। ফেনার তোড়ে গর্ত হতে উঠে এলো একটা কেঁচো। বিরাট। লতপতিয়ে সে সুলতার দিকে উঠে আসতে চায়। দাদাবাবুর ফেনার তোড়ে ফিরে যায়। সুলতা কল চাপে। জল পড়ে ফেনা কমে। জল পড়ে ফেনা কমে। এগিয়ে আসে দশাসই কেঁচো। লতপত করে সে। এমন গোঁয়ার, সে আসবেই। সুলতা কাপড় তুলে জায়গা করে দেয়। একটা জানালা খুলে দেয় সে। প্রতিটি কেঁচোর জীবন আসলে এরকম জানালায় শেষ হয়। সুলতা জানে। কেঁচো জানালা দিয়ে ঢোকে। সুলতা মিছে শীৎকার করে। ফেনা কমে। মশারির থেকে পুরুষের গন্ধ সুলতার শরীরে চলে আসছে। 


 

আরো পড়ুন-

এই ঘটনা সত্য ।। সালমা বাণী

জেড.এস.
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের
বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের
ঢাবির জগন্নাথ হলে বসে প্রাথমিকের প্রশ্নের সমাধান!
ঢাবির জগন্নাথ হলে বসে প্রাথমিকের প্রশ্নের সমাধান!
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলাটা আমার কাছে ছিল স্বপ্ন: মোস্তাফিজ (ভিডিও)
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলাটা আমার কাছে ছিল স্বপ্ন: মোস্তাফিজ (ভিডিও)
ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য খালাস করে গেলেন যে নারী ট্রাকচালক
ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য খালাস করে গেলেন যে নারী ট্রাকচালক
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা