X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

কবিতার বাইরে কিছুই ভাবি না : জব্বার আল নাঈম

.
০৪ অক্টোবর ২০১৭, ০৭:০০আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০১৭, ০৭:০০

কবিতার বাইরে কিছুই ভাবি না  : জব্বার আল নাঈম জব্বার আল নাঈম। জন্ম- ১১ নভেম্বর নারায়ণপুর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর। হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। কবিতার বই- তাড়া খাওয়া মাছের জীবন, বিরুদ্ধ প্রচ্ছদের পেখম, এসেছি মিথ্যা বলতে। সম্পাদনা- চতুরঙ্গ।

দ্বিতীয় দশকের কয়েক জন কবির কাব্য-ভাবনা ও লেখালেখি নিয়ে বাংলা ট্রিবিউন সাহিত্যের এই আয়োজন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন একই সময়ের কবি রাসেল রায়হান।

 

প্রশ্ন : বাংলা কবিতা কতটা ক্ল্যাসিক হয়ে উঠতে পারছে? এটা দিয়েই শুরু করি...

উত্তর : বাংলা কবিতা অনেক আগে থেকেই ক্ল্যাসিক হয়ে উঠেছে। ক্ল্যাসিক মানে নির্দিষ্ট একটা সময় অতিক্রম করে সাধারণের কাছে পৌঁছে যাওয়াকে মনে করি। সেরকম আমাদের অনেক কবিতা রয়েছে। এ তালিকায় মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, জসীম উদদীন, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদের অনেক কবিতাই ক্ল্যাসিক ধারায় সংযোজিত হয়েছে। এবং আগামী দিনের বাংলা সাহিত্যে টিকে যাওয়ার মতো অনেক লেখা আছে। অবশ্য একটা সময়ের প্রয়োজন রয়েছে।

 

প্রশ্ন : আপনি নির্মাণ, না বোধ- কাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন?  

উত্তর : বোধ যদি না থাকে নির্মাণ আসবে কোত্থেকে? বোধ থাকা জরুরি। বোধ ভালো হলে নির্মাণ ভালো হওয়া স্বাভাবিক। পরবর্তীতে নির্মাণের দিকে আপনাকে খেয়াল করতে হবে। খেয়ালের মানে হল, স্মার্টনেস।

 

প্রশ্ন : আর নিজের জগত নির্মাণ? সেটা কতটা জরুরি?

উত্তর : ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে নিজের জগত নিজে নিজে তৈরি করে। বিশেষ করে অভিনেতারা। যদিও এর পেছনের অবদান পরিচালকের বেশি। সেজন্য গুণী পরিচালক হওয়া দরকার। এটা জাস্ট একটা উদাহরণ। এরকম আরও অসংখ্য উদাহরণ সামনে আছে। অভিনয় দেখে যতটা জাজ করতে পারি, অভিনেতা তা পারে না। আবার পারেও হয়ত। সেটা সময়ের ব্যপার।

আমিও চাই আমার কবিতার আলাদা জগত দিয়ে হাঁটতে বা বানাতে। সেই বানানোটা এখনও হয়েছে বলে মনে হয় না। আমার প্রথম বইয়ে পাওয়া না পাওয়া, দুঃখ-কষ্টের কথা বেশি পাবেন। প্রেম ও ভালোবাসার কথা বেশি পাবেন। আবার পরেরটায় এসে ঠিক উল্টা। সেখানে আমিই সর্বেসর্বা। মানে আমি কেন্দ্রিকতা বেশি। রাজনৈতিক কবিতা।  

কিন্তু, ‘এসেছি মিথ্যা বলতে` পাণ্ডুলিপিটা তিনভাগে ভাগ করেছি। আমি কখনই চাই না আমার সবগুলো কবিতা একই টিউনের হোক। একই প্রেজেন্টেশনের।

তারপরও যদি আপনি জানতে চান, সেক্ষেত্রে বলব, সব কবিরই নিজস্ব একটা জগত থাকে। পাঠক সেই কবিতার ভেতর প্রবেশ করে জগত খুঁজে বের করে বা করবে। আমি নির্দিষ্ট করে বলে একটা নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আটকাতে অনিচ্ছুক। গবেষক বা অধ্যাপকরা সেটা হয়ত খুঁজে বের করবেন হয়ত। রাসেল, আমি আমার টিউনটা জানলেও বলতে চাচ্ছি না।

 

প্রশ্ন : অভিযোগ শোনা যায়, সুবিধা পাবার জন্য নবীন কবিরা সিনিয়র কবিদের পেছনে ঘোরে, সম্পাদকের পেছনে ঘোরে। এই অভিযোগ কতটা সত্যি? সত্যি হলে, এই প্রক্রিয়ায় কতটা জাতে ওঠা যায়?

উত্তর : এটা সত্যিই বলব। অনেক নবীন কবি আছেন সিনিয়রদের পেছন পেছন ঘোরে। সম্পাদকের পেছনেও ঘোরে লেখা প্রকাশ করে দ্রুত পরিচিত বাড়ার আশায়। অথবা কোনো ধান্ধার আশায়। আবার সিনিয়ররাও চায়, তাদের পেছন দুই চার জন তরুণ ঘুরুক। ঘোরাটাকে আমি খারাপভাবে দেখব না। আবার সেই সিনিয়র যদি জুনিয়রকে ভালো কবির তকমাও দেয় তাও খারাপ বলব না। কিন্তু এটা বুঝতে পারব ‘ইনশাল্লাহ’ সে বড় কিছু হবে না। যখন হতে পারবে না তখন সে নিজেকে আন্ডারগ্রাউন্ডের সাহিত্য ডন হিসেবে দাবি করবে, আর বলবে অমুকে কবি তমুকে কবি না। সাহিত্য-মাস্তানি যাকে বলে। রাজনীতিও বলা য়ায়। এখনও তেমন কেউ কেউ করে/করছেন। গান গুরুমুখী বিদ্যা হলেও কবিতা গুরুমুখী না। অন্তরমুখী। মির্জা গালিবের মতে, গালিব গুরু জিগায় না। যারা গুরু গুরু করে তারা নিচেই থাকবে আজীবন। পরগাছার মতো বেড়ে উঠবে। বটবৃক্ষ হতে পারে না।

 

প্রশ্ন : আপনার সব বই-ই তো কবিতার। কবিতায় আগ্রহী হলেন কেনো? মানে, গল্প লিখছেন, উপন্যাসও। অথচ এর মধ্যে কবিতার বই হয়ে গেল তিনটা।

উত্তর : উপন্যাস এর আগেও লেখা শুরু করেছিলাম কয়েকবার। কিন্তু শেষ টানতে পারছিলাম না। না পারাটার একটা আক্ষেপ ছিল। আবার শুরু করা কাহিনীগুলোও ভালো লাগছিল না। কাহিনীটাই যদি না থাকে, উপন্যাস বলি কিংবা গল্প, ভ্যালু থাকবে না। তাই সময় ও কাহিনী নিয়েই শুরু করেছিলাম উপন্যাস ‘চিৎকার’। আর গল্প লেখার প্ল্যান কোনোকালেই আমার ছিল না। সমসাময়িক সময়ের কিছু গল্প পড়েছি। পড়ে মনে হল লেখার দরকার। লিখলাম/লিখছি। বই এখন হয়নি বলে এই নয় যে হবে না। খুব দ্রুতই হবে।

আর কবিতার প্রতি বোঝেন কত তীব্র ভালোবাসা। না হয় পরপর তিনটা কবিতার বই করা খুব সহজ কথা নয়। খুব ছোটবেলা থেকেই কবিতা লিখতাম। যখন প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। যদিও সেগুলোকে কবিতা বা ছড়া বলা যাবে না। অ, আ, ই, ক, খ, গ ছাড়া। সেগুলো তটস্থ করতেই চলে জীবন। আমার বড় আপা (নাসিমা আপা) আমাকে বিভিন্নভাবে কবিতা লেখায় উৎসাহ দিতেন। বলতেন, দেখো, নজরুল ইসলাম আর রবীন্দ্রনাথ কত ভালো কবিতা লিখেছেন। তুমি চাইলেই এমন কবিতা লিখতে পারো। সেই যে উৎসাহ। আর সেই যে পথ চলা। কোনো কিছুই আমাকে আর আটকে রাখতে পারেনি। দেখলাম, একটা সময় আমার সমবয়সী স্কুল বন্ধুরা এসব জানা শুরু করেছে। তারা আমাকে কবি বলেই ডাকতে থাকল। একটা সময় মনে হল, আর তো পেছন ফেরা যাবে না। লিখতেই হবে।

হাই স্কুল পর্যন্ত ভালো ছাত্র ছিলাম। স্কলারশিপ পেয়েছি। অথচ পরবর্তীকালে সেই আমিই চার বছরের অনার্স লাইফে এক মাস ক্লাস কন্টিনিউ করতে পারিনি। মাস্টার্সে একদিনও ক্লাস করিনি। শুধু কবিতা নিয়ে ছিলাম। কবিতার বাইরে কিছুই ভাবি না।

 

প্রশ্ন : তার মানে কবিতা কেড়ে নেয় অনেক কিছু- এটা মিথ্যে নয়। আপনার আর কী কী নিল?

উত্তর : কিছু থাকলেই তো হারাবো। মানুষের আসলে কিছু কি হারানোর আছে? নেই। যেখানে নেই সেখানে হারানোর প্রশ্নই আসে না। মাঝে মধ্যে অর্থনৈতিক ক্যালকুলেশনে বসলে মনে হয় হারিয়েছি। ২০১০ সালে ইতালি যাওয়ার সুযোগ ছিল। ভিসাও হাতে ছিল। মায়াময়ী কবিতার ঘোরে আটকে আর গেলাম না। লেখাপড়া করেছি হিসাব বিজ্ঞানে। সেই রিলেটেট কিছু না করে এসেছি সাংবাদিকতা করতে। অবশ্য হিসাব বিজ্ঞান বিষয়টি ভালোও লাগে না। গ্রামের একটা কলেজে শিক্ষকতার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। গেলাম না। সাংবাদিকতা না করেও যে লেখালেখি করা যায় তখন তা বুঝতে পারিনি। হয়ত এমন সিদ্ধান্ত আমাকে ভোগাবে।

আর পাওয়ার কথা যদি বলতে হয়, এই যে আপনার সঙ্গে সাহিত্য নিয়ে কথা বলছি, এটাকে প্রাপ্তিই বলব। কিছু লোকে চেনে। আমার বন্ধুরা আমাকে কবি বলে। লেখক বলে। এটাও পাওনা। এতকিছুর পরেও যখন শিল্প-সাহিত্যের শাখায় আছি। থাকব। আসলে থাকার জন্য এসেছি। দেখার জন্য না।

আর শিল্প-সাহিত্য করতে এসে সবাই যে পাবে এমন না। আবার পাবে না এমনও না। মূলত পাওয়া না পাওয়ার হিসাবে বসবো চল্লিশের পর।

 

প্রশ্ন : চল্লিশ ঠিক কী ফ্যাক্ট, ব্যাখ্যা করেন তো?

উত্তর : ফ্যাক্ট না। ফ্যাক্ট মনে করলে ফ্যাক্ট। এখনও লিখছি। তিনটা মাত্র কবিতার বই। বয়স চল্লিশে পৌঁছাতে আরও বেশ সময় বাকি। তখন আরও কিছু লেখা হবে। সেটা ভালো বা খারাপ হতে পারে। তখন ক্যালকুলেশন করতে চাইলে করা যাবে। হাতে অন্তত কিছু থাকবে হিসেব করার।

সব শেষে বলব এটা ব্যক্তিগত একটা ক্যালকুলেশন। দেখা গেছে আগামীকাল এমন হিসেবেও পরিবর্তন আসতে পারে।

 

প্রশ্ন : আপনার বইগুলো কতটা ব্যক্তি আপনাকে রিপ্রেজেন্ট করছে?

উত্তর : আমি যা আমার কবিতা ঠিক তাই। ব্যতিক্রম কিছুই নেই। যেভাবে বেড়ে উঠেছি, যা দেখেছি যা শুনেছি সর্বশেষ যা করেছি তাই রিপ্রেজেন্ট করার চেষ্টা করছি। সেটা কখনও বাস্তবতার মধ্যে কখনও বা অবাস্তবতার ভিত্তিতে। সকল কবি আসলে নিজেকেই লেখেন। নিজেকে কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেন না। সম্ভবও না।

 

প্রশ্ন : আপনি তো উপন্যাসও লিখছেন। একজন কবি আর একজন ঔপন্যাসিকের মৌলিক পার্থক্য ঠিক কী?

উত্তর : রাসেল, সবকিছুর সঙ্গেই একটা পার্থক্য থাকে বা থাকবে। আমার সঙ্গে আপনার। আপনার সঙ্গে আপনার বাবা বা অন্য কারো। ভাব ও উপস্থাপনার পার্থক্যই গদ্য আর পদ্য।

মনে রাখার জন্য বলছি, উপন্যাস শুরুর আগেই গল্পের পাণ্ডুলিপি করেছি।

কবি যেমন শিল্পী একজন ঔপন্যাসিকও শিল্পী। আবার দুজনেই মৌলিক। একজন উপমা, উৎপ্রেক্ষার মাধ্যমে কম কথা বলেও অনেক কিছুর ইঙ্গিত করতে পারেন। তিনি মূলত কবি। আবার ব্যাখা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঔপন্যাসিক যাপিত জীবন ও সমাজ বাস্তবের উপস্থাপন করেন। এর বাইরেও হয়ত আরো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আছে/থাকবে।

আরেকটা মৌলিক পার্থক্য একজন কবি শব্দ ভাণ্ডারকে অনেক সমৃদ্ধ করতে পারে। তবে এসবক্ষেত্রে এক জন কবিকেই সামনে রাখব।

 

প্রশ্ন : শেষ প্রশ্ন।আপনার তিনটি বইই রাজনীতিগন্ধী। বেশিরভাগ কবিতাই জীবন ও বাস্তবঘেঁষা। এই সময়ের বঞ্চনা, প্রেম, ক্ষুধা, বিরহ, শোষণ- নিজের এবং নিজ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তঃপৃথিবীর সমূহ বিষয় আপনি স্পর্শ করতে চান। কতটা সন্তুষ্ট এবং তৃপ্ত আপনি? নিজের কবিতাকে কীভাবে দেখেন?

উত্তর : এইটা ভালো একটা অবজারভেশন আপনার। ‘তাড়া খাওয়া মাছের জীবন’ যখন লিখি তখনতো সবে ছাত্রত্ব ত্যাগ করি। কিছু একটা করতে হবে জীবন বাঁচাতে। অথচ হচ্ছে না। যেখানে যেতাম ‘না’ শব্দটি শুনতাম। খুব খারাপ লাগত। আর এখন সেসব সহ্য হয়ে গেছে। ফেলে সেখানে দুঃখ-বেদনাই বেশি। ‘বিরুদ্ধ প্রচ্ছদের পেখম’ আবার তার সম্পূর্ণ উল্টো। ‘এসেছি মিথ্যা বলতে’ বইটিতেও তেমনি দেশ ও আন্তর্জাতিক, সামাজিক ও রাজনীতির মিথ্যাচার এসব নিয়েই বেশি কবিতা। এটা হয়েছে রাজনৈতিক একটা আবহের কারণে। তবে, আমি আরো বৈশ্বিক কবিতা লিখতে চাই।

সন্তুষ্ট বা তৃপ্তির কথা বললে বলবো, সৃজনশীল মানুষের তৃপ্তি নেই। তৃপ্ত হতেও নেই। এটা শত্রুর চেয়েও ভয়ংকর। আপনাকে শেষ না করে ছাড়বে না। আর কবি হলেন প্রথম স্তরের স্রষ্টা। কবির তৃপ্তি থাকা যাবে না। তবে, সংযম দরকার। সংযম বলতে লেখা ও চিন্তার সংযমের কথা বলছি।

আমার কবিতা নিয়ে কোনো কথা এখনই বলতে চাচ্ছি না। তবে প্রতিনিয়ত ভাবি। নতুন কিছু চিন্তা করি। মনে হয় না সেরা কবিতা লিখেছি। লেখার পথে আছি। ‘হয়ত হয়ে যাবে’ এমন ভাবনা প্রতিনিয়ত মনের ভেতর কাজ করছে। যদিও এমন ভাবনাটা সকল কবিরই থাকে।

 

ধন্যবাদ, নাঈম।

আপনাকেও ধন্যবাদ।


 

আরো পড়ুন-


আমি এক ধরনের সৌন্দর্য নির্মাণের চেষ্টা করি : খালেদ চৌধুরী

জেড-এস
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নামাজ চলাকালে মসজিদের এসি বিস্ফোরণ, মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক
নামাজ চলাকালে মসজিদের এসি বিস্ফোরণ, মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক
জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর
জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর
নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের ওপর ডাকাতের হামলা
নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের ওপর ডাকাতের হামলা
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
সর্বাধিক পঠিত
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!