X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

সোশাল মিডিয়ার জমানায় সব মেকি : কবির কল্লোল

.
২৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৩আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৪০

সোশাল মিডিয়ার জমানায় সব মেকি : কবির কল্লোল কবির কল্লোলের কবিতার বই দুটি- বিষ বেদনার ঢল ও আমিও ঈশ্বরের মতো একা। অনুবাদ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে পড়াশোনা করছেন। দ্বিতীয় দশকের কয়েকজন কবির কাব্য-ভাবনা ও লেখালেখি নিয়ে বাংলা ট্রিবিউন সাহিত্যের এই আয়োজন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন একই সময়ের কবি রাসেল রায়হান। 

আপনার পছন্দের কয়েকজন কবির নাম দিয়ে শুরু করা যাক। বলেন তো...

পছন্দের কবি তো অনেক আসলে। এই মুহূর্তে মনে পড়ছে জীবনানন্দ দাশ, আল মাহমুদ, আবুল হাসান, সিকদার আমিনুল হকের কথা।

 

এবার একদম অন্য প্রান্তে চলে যাই। কবিতার আন্তর্জাতিকতা- বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন?

মানুষ হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই বিশ্বনাগরিক। তার উপর কবিরা সাধারণত সংবেদনশীল। বিশ্বের যে-কোনো প্রান্তের আনন্দ-বেদনা কবিকে যেমন ছুঁয়ে যেতে পারে, তেমনি কবিতার বাণীও যদি যে-কোনো প্রান্তের মানুষকে সমানভাবে আন্দোলিত করে, তা হবে উৎকৃষ্ট কবিতা। তাছাড়া কবিতা তো মানুষেরই পক্ষে, সুতরাং স্বভাবতই আন্তর্জাতিক।

 

সমকালীন বহির্বিশ্বের কবিতা কেমন পড়েন?

খুব কম। মাঝেমধ্যে নেটে সার্চ দিয়ে পড়া হয়। poem hunter থেকেই সাধারণত পড়ি। তুলনা করার একটা চেষ্টা আরকি।

 

এই তুলনাটাই জানতে চাই। তুলনামূলকভাবে বাংলা কবিতার অবস্থান এখন কোথায় রাখবেন আপনি?

যেহেতু ইংরেজিতেই পড়া হয় সুতরাং মূল কবিতার শৈলী সম্পর্কে বলা কঠিন। যদি থিমেটিক বিচার করি আমার মনে হয় বাংলা কবিতা বিস্তর এগিয়ে।

 

বাংলা কবিতা ঠিক কোন বিচারে এগিয়ে? ব্যাখ্যা দিতে পারবেন?

এমন নয় যে তাদের চিন্তার বিস্তৃতির চেয়ে আমাদের চিন্তার বিস্তৃতি অধিক। তাদের কবিতাও নানান বিষয়ে লেখা হচ্ছে। কিন্তু স্পেসিফিক চিন্তার জায়গাটা কার কত গভীর, এই তুলনায় এসে আমি বাংলা কবিতাকে এগিয়ে রাখব।

 

আপনার বইগুলোর নাম...

‘বিষ বেদনার ঢল’ (২০১৫) ও ‘আমিও ঈশ্বরের মতো একা’ (২০১৬)- এই দুটো কাব্যগ্রন্থ। এছাড়া একটা অনুবাদ আছে, কিন্তু প্রকাশিত হয়নি। পাওলো কোয়েলহোর 'এডাল্ট্রি'।

 

অনুবাদের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি জানতে চাই।এরপর কবিতায় যাব।

অনুবাদটা শুরু করেছিলাম বলা যায় অনেকটা দায় ঠেকে। এর পেছনে বড় কাহিনী আছে। প্রকাশকের চাওয়া অনুযায়ী আমার হাতে সময় ছিল মাত্র ১৫ দিনের মতো। তখন ২০১৬ বইমেলা শুরুর দুইদিন বাকি। ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখের মধ্যে পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করার তাড়া ছিল। আমি চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলাম। এর মধ্যেই ১ তারিখ আমার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হলো। কিন্তু আমি মেলায় যেতে পারি না, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুবাদ করি। বাইরে বের হই না, খেতে ভুলে যাই। এভাবে একটানা ৭ দিন দৈনিক প্রায় ১৮ ঘণ্টা অনুবাদ করে আমি অর্ধেকের বেশি শেষ করে ফেলি। ঘাড়ে পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা; ঘুমহীনতা আর ক্লান্তির কাছে নতি স্বীকার করে শেষমেশ ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখে অনুবাদ শেষ হয়। সুতরাং একপ্রকার তিক্ততা নিয়ে অনুবাদ শুরু, কিন্তু শেষ করে যখন এডিটিং-এর জন্য পড়তে শুরু করলাম তখন যারপরনাই তৃপ্ত হয়েছি। দুঃখের বিষয় হল অনুবাদটা আজও প্রকাশিত হয়নি। এর পেছনেও অনেক কাহিনী আছে।

 

অনুবাদ কবিতা মূল টেস্টের কতটা কাছাকাছি আসতে পারে?

‘এডাল্ট্রি’ তো উপন্যাস। তার উপর মূল লেখা পর্তুগিজ ভাষায়। দুজন ইংরেজ ভদ্রলোক মিলে পর্তুগিজ থেকে ইংরেজি যে অনুবাদ করে, আমি তারই সাহায্য নিয়েছি। সুতরাং দুই ভাষা পার হয়ে বাংলা। কিছুটা সুর কাটার সম্ভাবনা থাকেই।

 

না না। উপন্যাস, সেটা বুঝতে পারছি। কিন্তু আপনি যেহেতু কবি, ইংরেজিতে দক্ষতা আছে, মূল ইংরেজি টেক্সট থেকেও অনেক কবিতা পড়েন জেনেই প্রশ্নটা করা।

কবিতার ক্ষেত্রে আমি মনে করি মেসেজ পৌঁছানো গেলেও মূল কবিতার আবেদন রাখা অসম্ভব। একেক লেখকের একেক রকম ভাষাশৈলী। একই কথা আপনি একই ভাষার দুজন ভিন্ন লেখককে ভিন্নভাবে লিখতে দেখবেন। সুতরাং অনুবাদে মূল ভাষার স্বাদ অক্ষত রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমরা একই গল্পকে অনুবাদকের ভঙ্গিমায় পেতে পারি বড়জোর। অনুবাদ তো অনেকক্ষেত্রেই একাধিক ভাষা পেরিয়ে আসে। তখন বিষয়টা আরও জটিল। আর কবিতার ক্ষেত্রে তো জটিলতম। কবিতার অনুবাদে আমি মনে করি বার্তাটা কোনোরূপ পৌঁছানো গেলেও স্বাদের ধারেকাছেও ঘেঁষা যায় না।

 

আচ্ছা, কবিতায় ছন্দের যে বিষয়টা বলা হয়, অনুবাদে কি সেটা মার খেয়ে যায় না? তবু আমাদের সেসব কবিতার রস আস্বাদনে সামান্য সমস্যা হয় না। তাহলে ছন্দের ব্যাপারটা আসলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

আগের কথাটাই বলি, গদ্যের মতো কবিতা অতটা সরল নয়। ফলে ছন্দেরও আগে বক্তব্য নিয়ে গোলযোগ দেখা দেয়। ছন্দ তো একটা স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাপার। অনুবাদের ক্ষেত্রে ছন্দের প্রয়োগ করতে গেলে যথেষ্ট জোর খাটিয়ে ছাঁচে ফেলে অবয়ব দাঁড় করাতে হবে। এতে করে মূল কবিতার মেসেজ অনেকটাই টলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে ছন্দ কবিতাকে শুধু বাহ্যিক একটা রূপই দিতে পারে। আর মৌলিক কবিতার বিষয়ে যদি বলি, ছন্দ হচ্ছে পালকের সেই চাকচিক্যময় রঙ যা পাখিটাকে দর্শনধারী করে, কিন্তু রঙের প্রাচুর্য ছাড়াও সে দিব্যি উড়তে পারত।

 

কবিতায় গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় বা অনুষঙ্গ?

আমি মনে করি কবিতায় এক বা একাধিক মেসেজ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ যা বলছি তা পাঠককে বিশেষভাবে নাড়া দেবে, ভাবতে বাধ্য করবে এবং সর্বোপরি কবিতাটি পাঠের পরপরই আমেজটা ভ্যানিশ হয়ে যাবে না। কিছু কবিতা এমনও হয়, যা পাঠমুহূর্তে বিশেষ দোলার সৃষ্টি করে, বিশেষ করে ছন্দে এমনটা হয়, কিন্তু পাঠ শেষে অনুসন্ধানের ইচ্ছা জাগে না। এরকম কবিতার সময় আমরা পেরিয়ে এসেছি। অর্থাৎ আমি বলব প্রথমত দর্শন, এরপর ভাষাশৈলী যা পড়তে আগ্রহী করবে।

 

কবিতায় শ্লীলতা-অশ্লীলতার একটা তর্ক শোনা যায় মাঝে মাঝে। এই শ্লীলতা-অশ্লীলতার বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন?

আমি মনে করি, কবিতা হল ‘কবিতা’। যা কবিতা তা অশ্লীল নয়।

 

সমাজে এমন একটা ধারণা চালু আছে যে কবিকে হতে হবে মহামানব ধরনের? এই ধারণা ভিত্তি কী? আপনি কি একমত?

মহামানবের ভিত্তি কী? মহামানব তো তিনিই, যিনি সর্বজন-গ্রহণীয়। কবিদের ক্ষেত্রে এমন কোনো উদাহরণ কি দেখানো সম্ভব? সমাজ সাহেবের কাজই হল কাউকে গণ্ডিবদ্ধ করা; তুমি এমন হবে, সে তেমন হবে- এইসব নির্দিষ্ট করে দেয়া। কিন্তু তা কেন? যে যার মতো হবে। প্রত্যেকটা কবিই আলাদা, প্রত্যেকটা কবিই হবে তার মতো।

 

আপনার ‘আমিও ঈশ্বরের মতো একা’টাই শুধু আমার পড়া। অন্য বইটা পড়া না হলেও বিভিন্নভাবে আপনার কবিতা পড়া। আপনার কবিতার ভালো পাঠক আছে, আমি জানি। কিন্তু এই ভালো পাঠক মানেও বড়জোর হাজার। বই বিক্রি হয় বড়জোর ৩০০। পাঠক কমে যাওয়ার এই কারণটা কী?

কবিতার পাঠক কমে গেছে বলা যাবে তখন, যখন প্রমাণিত হবে কবিতার পাঠক কোনোকালে বেশি ছিল। ছিল কি? আমি একজন বিখ্যাত জ্যেষ্ঠ কবিকে জানি- যাঁর প্রথম বইটা তাঁর সমগ্র কবি জীবনের জন্যই একটা মাইলফলক ধরা হয়, অথচ প্রথম প্রকাশের পর বইমেলায় সেই বই মাত্র দশ কপি বিক্রি হয়েছিল। এখন তো কবিতা না বোঝা 'রোজেনা'ও যদি বই প্রকাশ করে, তবু কমপক্ষে পঞ্চাশ কপি বিক্রি হয়। তাহলে তো বিক্রি বেড়েছেই। কিন্তু আপনার প্রশ্নটা সম্ভবত আমি বুঝতে পেরেছি। হ্যাঁ, সমস্যাটা এখানেই। এমনিতেই বই পড়ার সংস্কৃতি আমাদের দেশে এখনো প্রবলভাবে গড়ে ওঠেনি। তার উপর অতি অল্প সংখ্যক পাঠক কবিতা পড়ে। কিন্তু অন্যান্য যে-কোনো সময় এবং বিষয়ের তুলনায় এখন কাব্যগ্রন্থ বেশি প্রকাশিত হচ্ছে। খেয়াল করে দেখবেন, এর শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি শখের বসে লেখা, অতি নিম্নমানের অকবিতা। এবার ভাবেন, একজন সাধারণ পাঠক কবিতার বই কিনতেই মেলায় গেলেন, বইমেলা ঘুরে ঘুরে সেইসব অখাদ্য গিললেন, তিনি তো সাহস করে আর কবিতার বই ধরতে চাইবেন না। সামাজিক যোগাযোগের বদৌলতে ওই শখের কবিভাবধারীরা কিন্তু তার বন্ধু বলয়ে পঞ্চাশোর্ধ বই ঠিকই বিকিয়ে নিলেন। ক্রেতার বাজেট কমে গেল এবং একই সাথে তিনি ওই অখাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে সমসাময়িক কবিতার প্রতি একটা ভুল ধারণাও পেয়ে গেলেন। এখন আমরা দায়ী করবো কাকে? ওই বইয়ের লেখককে? না। মূল কালপ্রিট হলো প্রকাশক। সে টাকা খেয়ে বই প্রকাশের নীতি না মেনে, পাণ্ডুলিপি না পড়ে শুধুমাত্র সামান্য কিছু অর্থের আশায় এই বইগুলো প্রকাশ করে সর্বোপরি সাহিত্যের ক্ষতি করছে। সঠিক প্রক্রিয়ায় তারা বই করুক,  কবিতার বই ১০ ভাগের ৯ ভাগ কমে যাবে। ক্রেতা পাঠক বেড়ে যাবে।

 

এবার কবিতার বই কী আসছে আপনার?

কিছুটা দোলাচলে আছি। প্রথম বইটা হুট করেই প্রকাশ করে ফেলেছিলাম। দ্বিতীয় বইটা একপ্রকার প্রকাশকের চাওয়াতে করা। ফলে পেছনে ফিরে যে সন্তুষ্টি পাওয়ার ব্যাপার, তা পুরোটা পাই না। এবার যখন মন থেকে পূর্ণ সমর্থন পাব, তখনই করব। এই বছরের মতো সম্ভবত আগামী বছরও নতুন কাব্যগ্রন্থ থাকছে না।

 

যদি বলি, কবিতা লিখতে এসে আপনার আলাদা কোনো প্রাপ্তির কথা, সেটা কী?

একটা কবিতা লেখা শেষ হতেই যে অলৌকিক আনন্দ পাই তার সাথে অন্য কোনো প্রাপ্তির তুলনা হয় না। এমনও হয়েছে, একটা লেখা প্রত্যাশামতো লিখে ফেলেছি, লেখা শেষ করেই কাঁপুনি শুরু হয়ে গেছে। যতবার পড়ি, ততবার কাঁপি। এই উত্তেজনা অন্য কিছুই আমাকে দিতে পারবে না। একসময় পাঠকের প্রশংসা, ভালবাসা- এইসব প্রাপ্তি বলে মনে হত, এখন মনে হয় এটা বড় ভুল। বিশেষ করে এই সোশাল মিডিয়ার জমানায় সব মেকি লাগে। তবে কারও ঈর্ষা উপভোগ করি। আলাদা কোনো প্রাপ্তির কথা বললে বলব, পর্যাপ্ত ঈর্ষা পেয়েছি।

 

যদি কোনো অপূর্ণতার কথা বলতে বলি, সেটা?

তেমন কোনো অপূর্ণতা নেই। আর যেহেতু এখনো জীবিত, চাওয়া যা কিছু আছে তা পূরণের সুযোগ তো থাকছেই। মৃত্যুর পর বলতে পারা গেলে তখন জানাতাম।

 

কবিদের জন্য অনেকেই অনেক পরামর্শ দেয়। বরং পাঠকের জন্য কোনো পরামর্শ দিন আপনি...

অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, বন্ধুত্বের খাতিরে, লক্ষুলজ্জায় পড়ে কিংবা নাম দেখে বই কিনবেন না, পড়বেন না। বই আপনার মনন গঠনে সহায়ক। সুতরাং বই কেনার বা পড়ার আগে ভিতরের কিছু অংশ পড়ে নিজের ভালোলাগাকে মূল্যায়ন করে তারপরই বইটি কিনবেন বা পড়বেন।

 

ধন্যবাদ, কল্লোল।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

//জেডএস//
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হাজারীবাগে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
হাজারীবাগে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ব্রাজিলিয়ান মিগেলের গোলে কষ্টে জিতলো কিংস
ব্রাজিলিয়ান মিগেলের গোলে কষ্টে জিতলো কিংস
তীব্র গরমে সুপার লিগে দুই দিন করে বিরতি
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগতীব্র গরমে সুপার লিগে দুই দিন করে বিরতি
ড্রিমলাইনারের কারিগরি বিষয়ে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলতে বিমানকে মন্ত্রীর নির্দেশ
ড্রিমলাইনারের কারিগরি বিষয়ে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলতে বিমানকে মন্ত্রীর নির্দেশ
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া