X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১
মৃত্যুর পরেও আগুন থেকে যায়

গৌরাঙ্গ মোহান্তের কবিতা

.
০৯ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:৫১আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:০৭

গৌরাঙ্গ মোহান্তের কবিতা

বেঁচে থাকার অন্ধকার

সাগরজলের আলো অপস্রিত হবার পর মনে হলো বেঁচে থাকবার জন্য ব্রহ্মাণ্ড অন্ধকারকে জিইয়ে রাখে। অন্ধকার আছে বলে কিছু দার্শনিক দারুচিনি পাতায় জীবাণুমানবের গতিচক্র আঁকে। আমিও এক খণ্ড অন্ধকারের পাশে লেকসজল অরণ্যভূমি গড়ে তুলি। এ অন্ধকারে আলো দিকভ্রান্ত হয়ে শুধু শীর্ষপত্রে মধু ঢেলে দেয়। লেকের মধ্যভাগে আমি বৃষ্টিপতন নিশ্চিত করি—পাখিদের বৃষ্টিখেলা শেষে লেকতীর বিরামপুরের অমলতায় ভরে ওঠে।


তোমার কাছে যেতে

তোমার কাছে যেতে উড়তে হয় অনেক দূর। ওড়ার জন্য কর্তৃপক্ষের আদেশ নিতে হয়, শরীর খুলে দেখাতে হয় বিশুদ্ধ পরিকল্পনা। আকাশকে স্বাধীন মনে হয় না। আকাশ হয়ে ওঠে খণ্ডিত রাজতন্ত্র। আমি খণ্ড খণ্ড আকাশের সীমানা পেরিয়ে যাই; বাতাসের শীতলতা আমার শ্বাসপ্রবাহে প্রভাব ফেলে। আমি আকাশে হাঁটতে থাকি; যাত্রাপথ এক সেন্টিমিটারও কমে না। কখনো কখনো পরিভ্রমণের জন্য পায়ের কোনো ভূমিকা থাকে না। বাধ্য হয়ে পা গুটিয়ে রাখি, আবার উড়তে থাকি। সময় জোন ভাঙতে ভাঙতে ক্লান্ত হয়ে তোমার কাছে ফিরে আসি। তোমার কাছে আসতে আমার সবচে বেশি সময় লাগে।


জোনস বিচ ও নিশ্বাসরেখা

জোনস বিচের পথে ঝরে পড়বার আগে পাতাগুলো আগুনের স্বপ্ন নিয়ে ভাবছে। মৃত্যুর পরেও আগুন থেকে যায়—এ বোধ নিয়ে আমরা আটলান্টিকের অস্থিরতা দেখি। জলের নিচের পথগুলো তুমি দেখে ফেলো। যে পথে তোমার নিশ্বাস ছড়ানো সে পথ আমাকে চিনিয়ে দাও। আমরা ডুব দিয়ে তোমার নিশ্বাসরেখা অনুসরণ করি। মাছের সংলাপ-কৌশল শিখে আমরা ফিরে আসবো ঝিনুকের গুঁড়ো মেশানো সৈকতে। বাতাসে তোমার চুল উড়তে থাকবে নিশ্বাসের গতি নিয়ে।


নৈঃশব্দ্যের শূন্যতা

শব্দের ভেতর দিয়ে নৈঃশব্দ্যের শূন্যতায় হাঁটি। তোমার পা-চেতনা থেকে বৃষ্টির ছবি ঝরে পড়ে। সিঁড়ির বাতাসে দীর্ঘতর হয় নাইটকুইন। দূর থেকে ছুঁয়ে দেখি ঘাসের জাগরণ। মাঠবাড়ির ধুলো নারকেলপাতায় চুমু খেয়ে আমার বুকের ভেতর শুয়ে থাকে। আমি ধুলোর গন্ধ ছড়িয়ে রাখি মেঘে। তিস্তা কিংবা আন্দামানের জলে জেগে থাকে সুবাসের স্বীকৃতি। ফুকেট শহরে বৃষ্টি হলে অভিনয়-শিল্পীর আঙুল গন্ধঢেউয়ের পরিচালক হয়ে ওঠে। আমি হেঁটে ভ্রমণের সূত্র শিখে ফেলি; হেঁটে বাড়ির দূর-বাসনায় ফিরে আসি।            


তেত্রিশগুচ্ছ পালক

মেঘের অস্থিরতায় পালক গজাতে থাকে। পালকের সাথে উড়ে চলে আকাশ। মেঘ তোমাকে জেনে গেছে; তেত্রিশগুচ্ছ পালক নিয়ে তুমি উড়েছো আকাশে। আকাশের পথগুলো কৃষ্ণচূড়া জন্মাতে পারে না বলে তোমাকে পাইনি খুঁজে। তোমার পালকে মিশিয়ে রেখো গুলমোহরের রং; আকাশকে নিয়ে আমরা উড়ে যাবো আটলান্টিক  অথবা আন্দামানের তীরে। জলের স্বপ্নের ভেতর খুঁজে পাবে গাঙচিলের ক্লান্তিহীনতা।

 

//জেডএস//
সম্পর্কিত
দোআঁশে স্বভাব জানি
প্রিয় দশ
প্রিয় দশ
সর্বশেষ খবর
প্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
লোকসভা নির্বাচনপ্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
ইসরায়েলি বিমান কীভাবে এল বাংলাদেশে, প্রশ্ন নুরের
ইসরায়েলি বিমান কীভাবে এল বাংলাদেশে, প্রশ্ন নুরের
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা   
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা