X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

আলাপনে বেলাল চৌধুরী

.
২৪ এপ্রিল ২০১৮, ১৪:০৮আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ১৪:১৫

আলাপনে বেলাল চৌধুরী কবি বেলাল চৌধুরীর জন্ম ১২ নভেম্বর ১৯৩৮। কবিতা-গদ্য-অনুবাদ ইত্যাদি সাহিত্য মাধ্যমে সচ্ছন্দবিহারী এবং একই সঙ্গে বোহেমিয়ান জীবনের জন্য ঢাকা ও কলকাতার সাহিত্যভুবনে তিনি সমান কিংবদন্তিতুল্য। তিনি আজ দুপুর ১২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। অক্টোবর, ২০০৭ সালে তাঁর জীবন ও সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন পিয়াস মজিদ।

পিয়াস মজিদ : বেলাল ভাই, দীর্ঘদিন যাবৎ কবিতা লিখলেও আপনার বইপত্র আমাদের হাতে খুব কমই আসে। আমরা আপনার কবিতার বইগুলো সম্পর্কে জানতে চাইবো।

বেলাল চৌধুরী : আমার বই এবং বউভাগ্য দুটোই খারাপ। বই কম বেরোয়নি তবে তেমনভাবে প্রচার পায়নি। প্রথম বই ‘নিষাদ প্রদেশে’ কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। তারপর কলকাতা, ঢাকা, চট্টগ্রাম ইত্যাদি নানা জায়গা থেকে বেরিয়েছে বেশ কয়েকটি বই যেমন : বেলাল চৌধুরীর কবিতা, আত্মপ্রতিকৃতি, স্থিরজীবন ও নিসর্গ, স্বপ্নবন্দী, জলবিষুবের পূর্ণিমা, সেলাই করা ছায়া, কবিতার কমলবনে, যাবজ্জীবন পরম উল্লাসে, বত্রিশ নম্বর ইত্যাদি।

 

পিয়াস মজিদ : বই কেনার ক্ষেত্রে কোন ধরনের বইয়ের প্রতি আপনার পক্ষপাত বেশি?

বেলাল চৌধুরী : ঠিক নেই, এ ক্ষেত্রে আমি সর্বভুক। এ নিয়ে কাগজে-কলমে নামে আমার একটি গদ্য আছে।

 

পিয়াস মজিদ : অর্থনৈতিক টানাপোড়েন আমাদের দেশের মধ্যবিত্তের বই ক্রয়ের ওপর প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন কি?

বেলাল চৌধুরী : অবশ্যই, তবে মধ্যবিত্তের বই ক্রয়ের চেয়ে মুখ্য হচ্ছে বই পাঠ। আমি মনে করি, পাঠের আগ্রহ থাকলে না কিনেও বই পড়া যায়। আমার নিজের একটি ঘটনাই বলি। প্রায় তিরিশ বছর পর আমার পরিচিত এক লোকের সঙ্গে দেখা হলো এক দিন। তার হাতে ছিল পাবলো নেরুদার মেমোয়ার্স বইটি। সে লোক এতটা ঘনিষ্ঠ ছিল না যে, বইটা ধার চাইতে পারি। আরেকটি বিষয় ছিল, তার সঙ্গে দেখা হওয়ার এক দিন পর তার বিদেশ চলে যাওয়ার কথা। তখন অনেক বলে-কয়ে এক রাতের জন্য বইটি নিলাম এবং সত্যি সত্যি সারা রাত জেগে বিশাল বইটি পড়া শেষ করলাম। যখন মেমোয়ার্স পড়া সমাপ্ত হলো তখন ঢাকার আকাশে আজানের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি। অদ্ভুত সে অনুভূতি নিয়ে আমার একটি কবিতাও আছে, নাম ‘আজানময় প্রহর’। সুতরাং বলতে পারি বই পড়ার আগ্রহটিই অনেক কিছু।

 

পিয়াস মজিদ : পল্টন, নীলক্ষেত ইত্যাকার ভাসমান বইবাজার থেকে বই কেনেন? এ নিয়ে কোনো স্মৃতিময় অভিজ্ঞতা থাকলে বলুন।

বেলাল চৌধুরী : প্রচুর। গুরুত্বপূর্ণ কত বই যে এসব জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছি তার ইয়ত্তা নেই। অনেক লেখকের নিজ স্বাক্ষর করা বই এসব দোকান থেকে সংগ্রহ করে আমি আবার তাদের উপহার দিতে পছন্দ করি। এ নিয়ে কলকাতার একটি ঘটনা বলতে পারি। কফি হাউসে বসে আছি। নিসারুল বলে আমাদের এক পরিচিতজন এসে বলল, কোনো পুরনো বইয়ের দোকানে রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষর করা একটি বই পাওয়া গেছে। নিজের সে বই কবি তার এক বউদিকে উপহার দিয়েছিলেন। তারপর চারদিকে হই-চই পড়ে গেল। ছবি তোলা, পত্রিকায় খবর বেরুল ইত্যাদি কত কী! আমি পল্টন থেকে প্রেমেন্দ্র মিত্র সম্পাদিত একটি প্রেমের কবিতার সংকলন কিনি, যেটি সুফিয়া খালা বলে কাউকে (হয়তো কবি সুফিয়া কামাল) দেয়া হয়েছিল। ওই কবিতা সংকলনটির কিছু ঐতিহাসিক গুরুত্ব ছিল, যা নিয়ে বন্ধু কবি আবদুল মান্নান সৈয়দ একটি লেখাও লিখে ফেলেছিলেন। মান্নান বইটির খোঁজ পাওয়ার পরই আমার কাছ থেকে কপি করে নিয়েছিলেন।

 

পিয়াস মজিদ : বেলাল ভাই, আপনার এত বই! এর মধ্যে উপহার পাওয়া বেশি না নিজের টাকায় কেনা বেশি?

বেলাল চৌধুরী : উভয়ই। উপহার হিসেবে যেমন অজস্র বই পাই, তেমনি কিনিও কম না। বস্তুত বই ও আমি সমার্থক প্রায়। মরুভূমিতে বসিয়ে দিলেও মনে হয় আমি বই পড়ব। কারণ ছোটবেলা থেকে বইয়ের সঙ্গে বেড়ে উঠেছি। তবে দুঃখের বিষয়, আমার জীবনের নানা পর্বের অনেক দুর্লভ সংগ্রহ-ই হারিয়েছি বিভিন্নভাবে। বাসা বদল, স্থান বদলে যেমন বহু বই নষ্ট হয়েছে, তেমনি অনেকে বই নিয়ে আর ফেরত দেয়নি। কলকাতা জীবনের পুরো বইয়ের সংগ্রহও আর আমার কাছে নেই।

 

পিয়াস মজিদ : বই নিয়ে আপনার কোনো মজার স্মৃতি...

বেলাল চৌধুরী : একবার আমেরিকাতে মেয়ের জন্য রবীন্দ্ররচনাবলির পুরো সেট নিয়ে যাচ্ছিলাম। একজনের পরামর্শে সেটা মুড়িয়ে সঙ্গে নিলাম। জানতাম, আটলান্টায় চেকিং হয়। যদি আটকায় তবে বইগুলো চিরতরে খোয়া যাবে। লাগেজের মধ্যে বইয়ের সেটটা দিলাম। চেকিংয়ের এক কর্মকর্তা (যমদূতের মতো বিশালদেহী নিগ্রো) এসে আমাকে জিজ্ঞেস কলল, আপনি কি ব্যবসায়ী? আমি বললাম, ‘আমি একজন লেখক।’ সে জানতে চাইল, এগুলো সব আমার বই কি না? আমি ঝামেলা এড়াতে বললাম, ‘হ্যাঁ।’ বিস্মিত হয়ে সে তার সহকর্মী এক মেয়েকে ডেকে এনে বলতে লাগল, ‘এই যে একজন লেখক। এই সব বই তার লেখা!’

 

পিয়াস মজিদ : বইয়ের সঙ্গে এই যে আপনার বেড়ে ওঠা-এর প্রস্তুতিপর্বটা কেমন ছিল?

বেলাল চৌধুরী : প্রকৃতপক্ষে কুমিল্লায় বইয়ের ব্যাপারে আমার চক্ষু উন্মীলন ঘটে। কুমিল্লা শহরে তখন বেশ কয়েকটি পাঠাগার ছিল। যেমন : বসন্ত স্মৃতি পাঠাগার, অমূল্য স্মৃতি পাঠাগার, জাগরণী সংঘ, জামতলার পড়ার ঘর। মনে আছে, ছোটবেলায় আমার কাজ ছিল বৃষ্টি মাথায় করে কুমিল্লার প্রত্যেক পাঠাগার থেকে একেকটি বই নিয়ে সন্ধ্যায় জ্যামিতি বইয়ের নিচে লুকিয়ে এসব পড়া। নীহাররঞ্জনের কীরিটি সিরিজের মতো এমন কত বই যে এভাবে শেষ হয়েছে তার লেখাজোখা নেই।

 

পিয়াস মজিদ : সবসময় হাতের কাছে রাখেন, প্রায় প্রতিদিন উল্টেপাল্টে দেখেন এমন বইয়ের তালিকায় আছে কোনগুলো?

বেলাল চৌধুরী : অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের নানা বই। তা ছাড়াও আরও অনেক বই-ই তালিকায় যুক্ত হবে।

 

পিয়াস মজিদ : বেলাল ভাই, কী কী লেখার পরিকল্পনা আছে আপনার?

বেলাল চৌধুরী : আমি লেখায় ঠিক মনোযোগ দিতে পারছি না। অলিখিত লেখার পরিকল্পনা মাথায় ঘোরে। কিন্তু নানা কাজে-অকাজে সেসব লেখা হয়ে ওঠে না। এই তো পাবলো নেরুদার একটি জীবনীমূলক বই হন্যে হয়ে খুঁজেছি। এখনো পাইনি। ইচ্ছে আছে, হাতে পেলে সে বইটি অনুবাদ করব। তেমনি কাফকা, লোরকার মতো আমার প্রিয় লেখকদের আমেরিকার জীবন নিয়ে কিছু অন্য ধাঁচের লেখা তৈরি করব।

 

পিয়াস মজিদ : কবিতার পাশাপাশি আপনার উপন্যাস স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল-এর সঙ্গে আমরা পরিচিত। কবিদের রচিত কথাসাহিত্যের মধ্যে আপনার দৃষ্টিতে তাৎপর্যপূর্ণ কী কী?

বেলাল চৌধুরী : শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘কুয়োতলা’ অসাধারণ। তা ছাড়া সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তো আছেনই।

 

পিয়াস মজিদ : আমাদের এখানে সৃজনশীল গদ্যের যে নিদারুণ অভাব তার মূল কারণ কী?

বেলাল চৌধুরী : পড়াশোনা ও চর্চার অভাব, পরিশ্রমের ঘাটতি অবশ্যই এর একটি প্রধান কারণ।

 

পিয়াস মজিদ : কবিতা, গদ্যচর্চা ছাড়াও আপনার অনুবাদ চর্চা সম্পর্কেও আমরা অবহিত নই। গার্সিয়া মার্কেসের মৃত্যুর কড়ানড়া, জলের মধ্যে চাঁদ ও অন্যান্য জাপানি গল্প ইত্যাদির অনুবাদক হিসেবেই আমাদের অনুবাদ সাহিত্য সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ শুনতে আগ্রহী?

বেলাল চৌধুরী : আমাদের অনুবাদ সাহিত্যের মান খুবই খারপ। দু’একটি কাজ ছাড়া অধিকাংশ অনুবাদের মান খুবই হতাশাজনক। নামকরা লেখকদের অনুবাদও আশাব্যঞ্জক নয়। অনুবাদ তো কোনো আক্ষরিক অনুসৃতির ব্যাপার নয়। লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি, জায়গাজমি এবং আনুষঙ্গিক অনেক জরুরি বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে আমরা ভালো অনুবাদ প্রত্যাশা করতে পারি না।

 

পিয়াস মজিদ : তরুণদের লেখালেখি নিয়ে কি আপনি আশাবাদী?

বেলাল চৌধুরী : তরুদের নিয়ে আমি সবসময় আশাবাদী। দেশের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিস্থিতির কারণে কিছু সংকট থাকলেও সারা দেশের তরুণরা এখন লেখালেখিতে সক্রিয়। তবে পড়াশোনার অভাব, বইয়ের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি কিছুটা প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে। তরুণদের জন্য উপযুক্ত সাহিত্যিক পরিবেশ তৈরি করা একটি জরুরি বিষয়।

 

পিয়াস মজিদ : কলকাতায় যে সাহিত্যচর্চা কৃত্তিবাস, শতভিষা-কে ঘিরে গড়ে উঠেছিল আপনি তার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। সে সময়ের অভিজ্ঞতা যদি কিছু বলেন...

বেলাল চৌধুরী : কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আমার প্রথম আলাপ-পরিচয় হয়। শক্তিদা ও আমার সম্পর্ক ছিল হরিহর আত্মার মতো। ক্রমে ক্রমে উৎপলকুমার বসু, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, কমলকুমার মজুমদার প্রমুখের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। কমলকুমার মজুমদারের সঙ্গে সখ্য আমার জীবন ও সাহিত্যিক গতিপথটাই পাল্টে দিয়েছিল।

 

পিয়াস মজিদ : কলকাতাসহ ভারতে আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের অনেকে আছেন। তাদের সঙ্গে আড্ডাগুলো এখনো কি মিস করেন? যোগাযোগ আছে তাদের সঙ্গে?

বেলাল চৌধুরী : সেই বন্ধুদের অর্ধেকই এখন আর বেঁচে নেই। তবে যারা আছে তারা যেমন আমাকে মিস করে আমিও তাদের ভীষণ মিস করি। অনেকের সঙ্গেই নিয়মিত-অনিয়মিত যোগাযোগ হয়।

 

পিয়াস মজিদ : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আপনার পরিচয় কখন?

বেলাল চৌধুরী : কলকাতাতে জীবনের ঠিক প্রথমেই নয়। সুনীলদা আমেরিকা থেকে আসার পর তার সঙ্গে পরিচয়-ঘনিষ্ঠতা হয়। গড়ে ওঠে নিবিড় সম্পর্ক।

 

পিয়াস মজিদ : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার অর্ধেক জীবন বইয়ে জাপান গিয়ে আপনার কুমির ব্যবসার যে গল্প করেছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগ্রহ আমাদের।

বেলাল চৌধুরী : সত্যি ঘটনা, জাপান গিয়ে যখন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাই তখন এক জাপানি আমাকে কুমির ব্যবসার প্রস্তাব দেয়, যদিও তা ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে গল্পও লিখেছেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা ভালো, আমি জীবনে অনেক ব্যবসার উদ্যোগ নিয়েই ব্যর্থ হয়েছি। চট্টগ্রাম গিয়ে পেরেকের ব্যবসা, কুমিল্লায় বইয়ের ব্যবসায় নেমেছিলাম। মনে আছে, রাশিয়ান বইয়ের বিশাল সংগ্রহ জোগাড় করে ফেলেছিলাম।

 

পিয়াস মজিদ : বেলাল ভাই, আপনার বিশেষ বন্ধু, আমাদের প্রিয় কবি বিনয় মজুমদারের বইপত্র ও তার সম্পর্কে জানতে চেয়ে সাক্ষাৎকারটি শেষ করব।

বেলাল চৌধুরী  : সে দীর্ঘ কাহিনি। আমি কলকাতা যাওয়ার পর দেখি বিনয় প্রায় মিথ। তখন সে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আছে। কফি হাউসের সূত্রে আমার সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে থাকত কলকাতার মেসবাড়িতে, মাঝেমধ্যে যেত ঠাকুরনগরে। ওর বাবা চাকরি করত রেঙ্গুনে। একদিন দেখি বেতের লাঠি নিয়ে বিনয় কফি হাউসে। আনমনে কী যেন বিড়বিড় করেছে। চলে গেলেন কিছুক্ষণ থেকে আবার ফিরেও এলেন উদ্ভ্রান্তের মতো চেহারা নিয়ে। শুনলাম, মেসের ঠাকুর তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় বেতের লাঠি নিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন বিনয় মজুমদার। সবসময়ই অন্যরকম দেখতাম তাকে। এই স্বাভাবিক এই অস্বাভাবিক, মাঝে-মধ্যে সুন্দর সুন্দর কথা বলত আবার কখনো গান গেয়ে উঠত। বিনয়ের কলেজবন্ধু নির্মল মৈত্রর কাছে শুনেছি, শিবপুর কলেজের এক উদ্ভিন্নযৌবনা অধ্যাপক কন্যার ন্তনস্পর্শে বিনয়ের সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়। সেই থেকে ফুল্লরা, ঈশ্বরী, গায়ত্রী-এ রকম কত মেয়েকে নিয়ে যে তার অদ্ভুত সব পাগলামি! ফুল্লরাকে আমি চিনতাম আর গায়ত্রী চক্রবর্তীর একটি ছবি বেরিয়েছিল ১৯৬৭-তে নিউজউইকে। প্রেসিডেন্সির মেধাবী ছাত্রী, পায়ে ঘুঙুর পরত। গায়ত্রী তার লেখালেখিতে দারুণভাবে, গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। বিনয়ের অনেক ডায়রির কথা মনে পড়ে। কবিতার লাইন, গান, কত কী লেখা থাকত তাতে। বিনয় ভালো অনুবাদকও ছিল; রাশিয়ান বইয়ের অনুবাদও করেছে সে। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য অঙ্কে হিসাব করত। নিজে পেলে কী করবে তা ঠিক করত। কত স্মৃতি! সব কি মনে পড়ে?


 

আরো পড়ুন-

কারাবাসে না গেলে জীবনের পাঠ থাকত অসম্পূর্ণ

ফিরে আসুন, বেলাল ভাই

বেলাল চৌধুরীর কবিতা 

 

//জেড-এস//
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দলের সিদ্ধান্ত না মেনে ভোটে আছেন মন্ত্রী-এমপির যেসব স্বজন
উপজেলা নির্বাচনদলের সিদ্ধান্ত না মেনে ভোটে আছেন মন্ত্রী-এমপির যেসব স্বজন
টিভিতে আজকের খেলা (২৪ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৪ এপ্রিল, ২০২৪)
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক