X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভুটানের সংস্কৃতি ও সাহিত্যপাঠ

মিলন আশরাফ
০৬ জুন ২০১৮, ১৩:১৩আপডেট : ০৬ জুন ২০১৮, ১৩:৪৩

ভুটানের সংস্কৃতি ও সাহিত্যপাঠ

পৌরাণিক কাহিনিতে ঠাসা ভুটানের শুরুর ইতিহাস। ধারণা করা হয়, খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ বছর আগেও এর অস্থিত্ব ছিল। কেউ কেউ বলেন, কুচবিহারের রাজা সঙ্গলদ্বীপ ৭ম শতাব্দিতে রাজত্ব চালান। তবে এ ধারণাটা স্পষ্ট নয়। বিশেষ করে ৯ম শতাব্দিতে তিব্বতী বৌদ্ধ সন্ন্যাসিরা পালিয়ে আসার আগে এমনটি অস্বচ্ছ ধারণা ছিল। ভুটানে বৌদ্ধধর্মালম্বীদের একছত্র আধিপাত্য। দেশটির ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ইতিহাস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ভুটান কখনো বাইরের কোনো রাষ্ট্র দ্বারা শাসিত হয়নি। মূলত ভুটানের একাত্রীকরণ ঘটে ১৬১৬ খ্রিষ্টাব্দে। ওই সময়টাতে গায়াঙ নামগিয়াল নামক পশ্চিমা তিব্বতের একজন লামা (ঝাবধ্রুং রিনপোচে নামেও পরিচিত তিনি) বিদ্যালয়গুলোতে ধর্মীয় আইন ব্যবস্থা চালু করে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটান। তাঁর মৃত্যুর পর ঝাবধ্রুংনের সাম্রাজ্য গৃহযুদ্ধে পতিত হয়। এরপর ১৮৮৫ সালে উজিয়েন ওয়াংচুক ক্ষমতা দখল করেন। ব্রিটিশদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি। ওয়াংচুক মারা যাবার পর তার ছেলে জিগমে ওয়াংচুক সিংহাসনে বসেন। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর নতুন ভারতীয় সরকার স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে ভুটানকে স্বীকৃতি দেয় ভারত। ১৯৪৯ সালে ভারত ও ভুটান শান্তি চুক্তি করে। সেখানে উল্লেখ থাকে যে, ভারত ভুটানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না, বরং পররাষ্ট্র নীতিতে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবে। জিগমে ডোরজি ওয়াংচুক ভুটানকে বিচ্ছিন্নতা থেকে বের করে আনেন। পরিকল্পিত উন্নয়নের একটি নকশাও প্রণয়ন করেন তিনি। এই নকশার আইনে ভুটানের জাতীয় পরিষদ, রয়েল ভুটানিজ আর্মি ও রয়েল কোর্ট অব জাস্টিস প্রতিষ্ঠিত হয়। ভুটান জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে ১৯৭১ সালে।

বহির্বিশ্ব থেকে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভুটানের যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন-পালনে অন্যান্য দেশ থেকে নিজেদেরকে আলাদা রাখতেই পছন্দ করে তারা। দেশটিতে প্রথম ১৯৯৯ সালে ইন্টারনেট ও টেলিভিশন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। ১৯৭০-এর দশকে প্রথমবার বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেয় দেশটি। দিনে দিনে দেশটির রাজধানী থিম্পুতে কারাওকে ও স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়ে যায় দ্রুতহারে। সেখানকার তরুণ প্রজন্মের সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও তারা এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৯৯ সাল থেকে পলিথিন নিষিদ্ধ করে তারা। তাছাড়া ভুটানে তামাক পুরোপুরি অবৈধ। দেশটিতে বনভূমি পরিমাণ ৬০ শতাংশ।

পর্যটকদের এখনো অধিকহারে প্রবেশ ও যেদিক খুশি সেদিক যেতে দেওয়া হয় না। নিজস্ব সংস্কৃতি ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে এরকম কড়াকড়ি নিয়ম করেছে কর্তৃপক্ষ। গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস (জিএনএইচ) এর মাধ্যমে ভুটানের জীবনযাপনের মান বিচার করা হয়। সরকার প্রধান জনগণের মানসিক শান্তির কথা ভাবেন সর্বদা। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হয়, গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস সেন্টার থেকে। তবে অধিকাংশ ভুটানবাসী তাদের জীবন নিয়ে সুখী। দেশের জনগণ তাদের রাজাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। দেশটিতে ২০০৮ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে অংশ নেয় দুটি দল। রাজ পরিবার সংশ্লিষ্ট ভুটান পিস অ্যান্ড প্রোসপারিটি পার্টি (ডিপিটি) জয়লাভ করে। এরপর ২০১৩ সালে দ্বিতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে বিরোধীদল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)।

ভুটানের ভূখণ্ড ৩৮ হাজার ৩৬৪ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত লাখ। প্রধান ভাষা জঙ্ঘা। রাষ্ট্রধর্ম বৌদ্ধ। গড় আয়ু নারীর ৭০ ও পুরুষের ৬৬ বছর। তারা হাইড্রোলিক পাওয়ারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ভারতে পাঠায়। এছাড়াও কাঠ, সিমেন্ট, কৃষিপণ্য ও হস্তশিল্প রপ্তানি করে।

হিমালয়ের নির্জনে অবস্থিত ভুটানের কিছু অনন্য সংস্কৃতি ও সামাজিক পরিচিতি আছে। দীর্ঘদিন এটা তারা লালন করে আসছে। প্রাকৃতিক, ভৌগোলিক, সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের পাশাপাশি সাহিত্যেও সমান অবদান রেখে চলেছে তারা। এখানে ভুটানের সাম্প্রতিক কিছু ফিকশন, নন ফিকশন বইয়ের লেখক ও তাদের লেখার পরিচয় তুলে ধরা হলো।

দি সার্কেল অব কারমা-কুনজাং ছোদেন : ভুটানের লোককথা অনুবাদের মাধ্যমে সাহিত্য রুচি নির্মাণ করেছেন উল্লিখিত লেখিকা। ভুটানের সাংস্কৃতিক, খাদ্যের অর্থসামাজিক বিষয়ে প্রচুর ননফিকশন প্রবন্ধ আছে কুনজাং ছোদেনের। ‘দি সার্কেল অব কারমা’ দিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে প্রথম উপস্থিতি তাঁর। বইটিতে তাঁর শৈশব ও কৈশোরের ছবি বিশেষভাবে অঙ্কিত হয়েছে। এখানে ভুটান ও ভারতের কথামালা অন্তর্ভুক্ত। বইটিতে একজন ভুটানি নারী টসোমোর হয়রানির কাহিনি বর্ণিত। বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নিজ জন্মভূমিতে বেশ আধুনিকতায় বেড়ে ওঠে টসোমো। মায়ের মৃত্যুর পর টসোমো নিজ জন্মভূমি ভুটান ছেড়ে ভারতে চলে যায়। আধুনিক ভুটানে তার লৈঙ্গিক পরিচয় একটি জিজ্ঞাসা চিহ্নের মতো করে রেখে দেশ ছাড়ে টসোমো। তার এসব লজ্জার কাহিনি কাব্যিক ভাষায় বর্ণিত হয়েছে ‘দি সার্কেল অব কারমা’তে কাল্পনিক উপভাষা ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ভুটানের মানুষের একটি বিশুদ্ধ বর্ণনা দিয়েছেন লেখিকা। প্রাক ভুটানের সামাজিক, রাজনৈতিক ও যৌন জীবনের অত্যাচার নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন কুনজাং ছোদেন। পিতৃতান্ত্রিক যে নিপীড়ন, সেটাও কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। উপন্যাসটির সাহসী বর্ণনা আন্তর্জাতিক শিল্পগুণে সমৃদ্ধ ও চিত্তকর্ষক।

ইয়াক লেগপাই লহাদার গায়ো-এপি চুনি দর্জি : লোজি হচ্ছে ভুটানের ইয়াক (তিব্বতী গরু) পালনকারীদের কাছে ঐহিত্যবাহী গীতিধর্মী এক ধরনের শিল্পকলা। লোজিধর্মী কবিতায় পশুপালনকারীদের সংগ্রামের কথা বর্ণনা করা হয়। এখানে দুটি পক্ষ থাকে। একপক্ষ আরেক পক্ষকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে অতিক্রম করে যায়। কবিতাগুলোতে থাকে রুপক শ্লোক। এপি চুনি দর্জির ‘ইয়াক লেগপাই লহাদার গায়ো’ ভুটানের জনগণের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও পছন্দের গানের একটি। একজন প্রাক্তন ইয়াক পালনকারী নিজেকে কাব্যিক সুরে বেঁধেছেন এখানে। এপি চুনির লোকসংগীত বিষণ্ন সুরের মধ্যে একধরনের গা ছমছমে ভাব থাকে। গানটির কাহিনি একটি সুন্দর ইয়াককে ঘিরে। যাকে তিনি সম্বোধন করছেন ‘ইয়াক লেগপাই লহাদার গায়ো’ নামে। পরে ইয়াকটিকে জবাই করা হয়। ‘ইয়াক লেগপাই লহাদার গায়ো’ ভুটানের মানুষের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। একটি মর্মভেদি গল্প এটি। সাধারণ জনগণ, শিল্পানুরাগ মানুষ তাদের সমস্ত আবেগ মিশিয়ে উপভোগ করবে এই কৌতুকপূর্ণ গল্পটি।

বিনিথ ব্লসম্ রেইন, ডিসকভারিং ভুটান অন দি টাফেস্ট ট্রেক ইন দি ওয়ার্ল্ড—কেভিন গ্রাঞ্জ : স্নোম্যান ট্রেকের দুইশ মাইল অমসৃণ পর্বত ভূখণ্ড অভিযান জয় করবার কাহিনি এটি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ভুটান। দেশের সবচেয়ে সুন্দরতম উপাদান এই প্রাকৃতিক সম্পদ। যা এখনো লুক্কায়িত। স্নোম্যান দুঃসাহসিকভাবে এটির মুখোমুখি হন। কেভিন গ্রাঞ্জ ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জকে মাথায় রেখে বইটি সাজিয়েছেন। শেষ করেছেন ভুটানের রহস্যময় সাংস্কৃতিক ইতিহাস এবং ভুলে যাওয়া উপত্যকায় বসবাসরত গ্রামের পবিত্র অধিবাসীদের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে। বলা ভালো ভুলে যাওয়া সেইসব মানুষকে করেছেন অন্বেষণ। ভুটানের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পরিচয় নিজেই আবিষ্কারের দৃষ্টিতে বর্ণনা করেছেন বইটিতে। পাশাপাশি মৃত্তিকা খুঁড়ে খুব ঘনিষ্ঠভাবে প্রকাশ করেছেন নিজের পরিচয়। আত্ম-আবিষ্কারে বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে আধ্যাত্মিক কথোপকথনের মাধ্যমে পাঠককে পৌঁছে দেবে একটি নির্দিষ্ট ধ্যানের বিন্দুতে। বইটি যেকোনো ভুটানিকে নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত ও আলোকিত করবে।

ভুটান, হিমালিয়ান মাউন্টেন কিংডম—ফ্রাঙ্কোজ পামরেট : ভুটানের প্রাকৃতিক ভূখণ্ডের বিবর্তন ও জনগণের আধ্যাত্মিক মানসের ইতিহাস গ্রন্থ এটি। একটি সুপরিকল্পিত নৃতাত্ত্বিক গবেষণার ফসল হিমালিয়ান মাউন্টেন কিংডম। বইটি ‘জমির ভূগর্ভস্থ শান্তিপূর্ণ জলস্রোত' নামেও পরিচিত। আধুনিক বিশ্ব থেকে নির্জনে থাকা ভুটানের সুযোগ সুবিধা ও সাংস্কৃতিক সার্বভৌম কতটুকু বজায় আছে তা ভাবায় উক্ত বইটি। ধর্মপ্রাণ রাজ্য হিসেবেও ভুটান পরিচিত। ভুটান তাদের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজস্ব সহজাত দক্ষতায় গড়ে তোলে তাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল। অপূর্ব সৌন্দর্যের ভূমিতে ভুটানিরা শান্তিপুর্ণভাবে বসবাস করে। শতাব্দির পর শতাব্দি এরকম এক বিচ্ছিন্ন গ্রামে বাস করে আসছে তারা। পামরেট তাদেরকে নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। অভিভূত হয়েছেন তাদের সৌন্দর্যে। আকর্ষণীয় করে সেসবের বর্ণনা দিতে ভোলেননি লেখক। হিমালিয়ান মাউন্টেন কিংডম বইটি ভুটান সংস্কৃতির সুন্দর আখ্যান।

মেরিড টু ভুটান—লিন্ডা লিমিং : গ্রন্থটির শুরুতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া সম্পর্কে বিস্তৃত বর্ণনা। এরপর তিনি এক অপ্রত্যাশিত রোমান্টিক ঘটনার মুখোমুখি করায় পাঠককে। স্থানীয় এক আর্টিস্ট ফুরবা নামগায়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। উচ্ছল শ্যামলিমা ভূমির অসাধারণ বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন বইটিতে। ছোট্ট সুন্দর এই গ্রামের ছবি অঙ্কিত হয়েছে পাতায় পাতায়। রোমান্টিক আবহে এগিয়েছে প্রতিটি অধ্যায়। জীবনযাত্রার মানোন্নয়ে অচিহ্নিত ভূখণ্ডের বিবরণ তুলে এনেছেন উক্ত ভ্রমণকাহিনিতে। ভুটানের রাজার রাজ্য চালাতে যেন এই বিষয়গুলো আমলে নিতে পারে এরকমও একটি ইঙ্গিত দেওয়া আছে কাহিনিতে। একটি দেশের ভালোবাসা খুঁজতে গিয়ে লেখিকা সেখানকার মানুষের সংস্কৃতির অবয়বকে আবিষ্কার করেছেন। সবশেষে ‘গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস’ মতাদর্শের ব্যাখ্যাও তুলে ধরেছেন মেরিড টু ভুটানে।   

//জেডএস//
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আরও কমলো সোনার দাম  
আরও কমলো সোনার দাম  
 ১ পদে ২৩৮ জনকে চাকরি দেবে ভূমি মন্ত্রণালয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
 ১ পদে ২৩৮ জনকে চাকরি দেবে ভূমি মন্ত্রণালয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
৬ মামলায় জামিন পেলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর
৬ মামলায় জামিন পেলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
স্কুল ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি