বক্রবাঙ্ময়
আজও যা কিছু সক্রিয়—ওমের মতো
এই যেমন অলখে মিশে যাওয়া মধু।
একবার প্রান্তরের দিকে, একবার সযত্ন ঘাসফুল,
নিঃসঙ্গ ওম, বিদ্যুৎ ফুটছে।
যা কিছু যুগলবৈভব, কাছাকাছি সুদূর,
নকশা আঁকা দেয়ালব্যঞ্জনের পাশে
হঠাৎ ফুটে ওঠা ।
রোম ও রোহিনী
কাম ও কমল
অথই বিষফল
ঘোড়া ও প্রান্তর
দিক ও দিগ্বিদিক
ছুটে যাচ্ছে হেরেমের খেতে।
এবং প্রস্তুত হওয়ার আগেই নলিনী
বক্রবাঙ্ময়,
একবার বক্রতার দিকে, একবার সম্মুখের দিকে
জুড়ে আছে তার সযত্ন ঘাসফুল
এবং কে বিনত ব্যকুল!
অলখের পাথার বাহিয়া,
শিশিরে
ও শিষে
আর কে আছে গানের ওপরে?
নতধ্বনি
অপবোধ মান করে। আর কোনো গমন না করি।
কোনো প্রাচীন পরিধি, বিম্বিত নিখিল,
যেটুকু ফেনায়িত নীল
ধৃষ্টতা দেখিয়েছে আলোর আবহে তারা পাখিবাসনা।
আহত ফ্রেমের দিকে তাকিয়ে থাকা চোখ—নম্র সরোদ।
বিকীর্ণ সীমানার মন।
অপলাপশেষে উচ্চারিত হলো যেটুকু নতধ্বনি
দেয়ালব্যঞ্জনের পাশে
সরণি বেয়ে তার একাকি উত্তর—জীবনচরিত।
বোঝার চেষ্টা? কাকে?
এই যে ছায়াধারণা—পঙক্তি
উজ্জ্বল কাব্যের শেষে নম্র সরোদ—অকীক।
দলিত
একদিনের সম্ভাবনা নাই, ধুতুরার তৃষ্ণা গিলেছি।
মাঠে ও ময়দানে নাদান লড়াই।
বন্দি করো হে শ্রমের শাসন। মেঘের ঢংয়ের বেগে।
শ্বাসবনের কাছে তোমার কারখানার বাঁশি।
পারদের চূড়া থেকে তৃষ্ণায় মিশেছে।
দলিত হাওয়া ছুঁয়ে হাড়ের মাদুরে।
উঁচু উঁচু পথ মাড়িয়ে বেঘোর উঠি। সিঁড়ি ধরে আকাশ।
বন্দি করো হে কারখানার প্রতিপালক, অপুষ্ট আপেল
গড়িয়ে যাচ্ছে। অস্রাব। কারখানা থেকে পোড়াদহ।
ধৃষ্টতা
সোনালি সম্ভাবনা আসার আগেই বিষপাত্রে ঠোঁট
একশত ভ্রমের বেহালা—সে এক মোকামতলা।
ধৃষ্টতায় শুরু হলো অগণন বলা—চাওয়া।
দাও হে আরো কোনো বক্রতার ধারা
আরো কোনো বৃহৎ সন্ধান।
আরো ভ্রমণে নাও, সুর করো—
বেরিয়ে আসো সর্পের দল। একশত।
ব্যপ্ত করো হে শস্যের ধারক। ময়দানে নাও।
একটি পয়সা রঙিন
বরং প্রশ্ন তুলি মাছের, মাংসের পানির দাম নিয়ে। অনুগত হেঁটে গেলে
সস্তা বাজার। অনুগত হেঁটে গেলে মিটে যাবে।
জীবনের ঘানির ওপর শতেক মুদ্রা। বাজারের ফর্দ খেয়ে বাহান্ন বছর।
সাজানো অনিন্দ্রায় সূচি টানো।
একটি পয়সা রঙিন—নগ্নতা ভালো বোঝে। একটি ভূয়সী ভূখণ্ড
নগ্ন হতে ভালবাসে। বাঁশপাতার তরল বাহনে যেটুকু গমন
তার নকশা বেয়ে যেতে পারো। বহেরা মন বিষাদ পাবে না।