তুলির জন্য কয়েক পংক্তি-২০
সমস্ত গগন জুড়ে তুমি আছো
ডালে এসে বসেছে সকাল
ধুলোতে বাড়ির আয়োজন সেরে
পাখিদল ধারণা পাঠায়
আর... ঠিক তখনি কুয়াশা ভেঙে
জ্বর আসে, বিশ্বাসের মতো
খাতার ভেতরে!
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি-১৫
আমার দরোজা তুমি খোলো রোজ
হাসি দিয়ে, আলো দিয়ে, মায়া দিয়ে
দেখা হওয়া এত মূল্যবান!
নির্বাসিত থেকেছে অক্ষর এতকাল
শরীর ভেঙেছে তার কিছুটাও!
আজ তুমি তাকে তুলে নিয়ে
বুকের আদর দিলে, স্তন্য করালে পান
প্রেমিকা ও মাতা...সমান! সমান!
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি-৩০
তোমার ভেতরে যাবো, স্বপ্ন ছিলো
স্বপ্ন ছিলো ফুলের বাগান
লাউয়ের মাচায় ফড়িং ধরবো আমরা দুজন
হঠাৎ তখন, আঁচল তোমার পড়বে খসে
ঘাসের ওপর !
তোমার কাছেই রাখতে আসা ধুলোর জীবন
ধরবেনা ঐ করপুটে...?
ডাকো ডাকো, জন্ম যদি আর্তনাদে, কান্না
আমার মুছিয়ে দিও, স্পর্শ দিয়ে
এ জীবনে চাইনি অধিক
এটুকুতেই লাফাতে পারি
দিব্যি হাওয়া লাগবে গায়ে
বলো, বলো ডাকবে কবে?
পাঠ-প্রতিক্রিয়া
পাঠ-প্রতিক্রিয়া যখন লিখছি তখন কবির নাম জানি না, ব্যাপারটি অন্যরকম। তিনটি কবিতা পড়ালাম। সম্ভবত ‘তুলির জন্য কয়েক পংক্তি’ শিরোনামে কবি একটি সিরিজ লিখছেন। কবিতার নাম এবং ধারাবাহিকভাবে তিনটি কবিতা পড়ে সে কথাই মনে হলো। নির্মাণ নিয়ে ততটা সন্তুষ্ট হতে না পারলেও, কবিতাগুলো ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে, কবি অল্প কথার ভেতরে যে অনেক কথা বলতে চেয়েছেন, তাতে তিনি সফল। কবিকে শুভেচ্ছা।
[আমরা গল্প ও কবিতার সঙ্গে পাঠ-প্রতিক্রিয়া জুড়ে দেবার সীদ্ধান্ত নিয়েছি। যিনি পাঠ-প্রতিক্রিয়া লিখবেন তাকে শুরুতে জানতে দেয়া হয় না লেখকের নাম। আবার লেখক কখনোই জানতে পারবেন না পাঠ-প্রতিক্রিয়া কে লিখেছেন।–বি.স.]