X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০
জার্মান থেকে বাংলায়

হাইনরিশ হাইনের কবিতা

অনুবাদ : হেমায়েত মাতুব্বর
০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:০০আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:০০

হাইনরিশ হাইনে ১৭৯৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর জার্মানীর ডুসেলডর্ফ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। হাইনেকে বলা হয় উনিশ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং রোমান্টিক ধারার সর্বশেষ কবি। লিখেছেন অসংখ্য কবিতা, গান এবং গল্প। ১৮৫৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্যারিসে এই জগদ্বিখ্যাত লেখক পরপারে পাড়ি জমান। 

স্যামুয়েল দিয়াজের পোট্রেট অবলম্বনে

ভাগ্য এক রূপজীবী

ভাগ্য এক রূপজীবী

সে কখনো থাকে না স্থির;    

কপালে চুলের স্পর্শ দিয়ে

পালায় সহসা চুমু খেয়ে।  

 

দুর্ভাগ্য চলে বিপরীতে

ভালোবেসে কাছে টেনে বলে,

তার কোনো তাড়া নেই

বিছানায় বসে থাকে

তোমার পাশে।

 

আহ! আবার সেই চোখগুলো

আহ! আবার সেই চোখগুলো,

যা আমায় ভালোবেসে ডাকতো।

এবং ফের সুমধুর করত

আমার জীবন।

 

সেই কণ্ঠস্বরও এসেছে আবার,

যা আমি ভালোবেসে শুনতাম।

শুধু আমি সেই আমি নই,

রূপান্তরিত হয়ে ফিরেছি ঘরে।

 

দুধসাদা সেই বাহুডোর

আমাকে করতো দৃঢ় আলিঙ্গন,

এখনো আমি আছি তার হৃদয়ের মাঝে,

আছি অনুভূতিতে, ভগ্নহৃদয়, নিষ্প্রাণ। 

 

পুরানো গোলাপ

একটা গোলাপকুঁড়ি ছিল

যার জন্য উদ্ভাসিত এ হৃদয়;

বেড়ে ওঠে সে অপরূপ পুষ্প।

 

সে ছিলো আশ্চর্য গোলাপ,

আর আমি চেয়েছি তাকে ছিন্ন করতে।

সে জানত, আমার আদরের বিনিময়ে

কাঁটা বিঁধিয়ে দিতে। 

এখন সে যেখানে ক্ষত করে, ছিন্নভিন্ন করে 

বৃষ্টি আর বাতাসে ভেসে আঘাত করে—

প্রিয়তম হাইনরিশ এখন,

প্রণয়ভরে সে আসে আমার মুখোমুখি।

 

হাইনরিশ সামনে, হাইনরিশ পেছনে

শুনতে যেন সুমধুর শোনায়।

এই গায়ে বিঁধেছে তোমার কাঁটা,

এটা কী তোমার ধারালো চিবুক!

 

উপরের লোমগুলো বেজায় শক্ত,

যা তোমার থুতনিকে করে অলংকৃত-

আশ্রমে যাও, ওহে প্রিয় শিশু

অথবা মুণ্ডন করবে তোমায়। 

 

আমি যখন তোমার দিকে তাকাই

আমি যখন তোমার চোখের দিকে তাকাই

বিলীন হয়ে যায় আমার যত দুঃখ-কষ্ট;

আমি যখন তোমার মুখে চুমু খাই,

আমি তখন হয়ে উঠি পুরোপুরি সুস্থ।

 

আমি যখন তোমার বুকে চেঁপে থাকি

স্বর্গীয় লিপ্সা নামে আমার উপর;

যখন তুমি বল : আমি তোমায় ভালোবাসি

মর্মভেদী কান্না আসে আমার।

 

শীতল হৃদয়ের বিমর্ষ অনুভূতি

শীতল হৃদয়ের বিমর্ষ অনুভূতি

বিষণ্নতায় অসাড় পৃথিবীকে দেখি,

হেমন্তের শেষেও, একবিন্দু শিশির

মৃত এই অঞ্চলকে রাখে ঢেকে।

 

বাতাস শিষ দেয়, এদিক ওদিক ছোটে

লাল পাতা, যা ঝরে পড়ে দীর্ঘশ্বাসের মতো,

বাষ্পায়িত কেশহীন ভূমি,

এখন আসবে অতি অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি।

//জেডএস//
সম্পর্কিত
প্রিয় দশ
ইচ্ছা
প্রিয় দশ
সর্বশেষ খবর
বিপজ্জনক অবস্থা থেকে ফিরেছেন খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল
বিপজ্জনক অবস্থা থেকে ফিরেছেন খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল
কোল্ড চেইনের উন্নয়নে সমন্বিত নীতির বাস্তবায়ন চান উদ্যোক্তারা
কোল্ড চেইনের উন্নয়নে সমন্বিত নীতির বাস্তবায়ন চান উদ্যোক্তারা
নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত, যা জানা গেলো
নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত, যা জানা গেলো
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৩৩ সদস্য আটক
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৩৩ সদস্য আটক
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি