X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে আসুন কবি

অহ নওরোজ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৪আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৮

ফিরে আসুন কবি গতকাল খবর পেলাম কবি আল মাহমুদ গুরুতর অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুকের মধ্যে হু হু করে উঠলো। ঠিক কোথায় ভর্তি করা হয়েছে সে খবর নেওয়ার চেষ্টা করলাম। আমার জানামতে কবি-লেখকদের মধ্যে আল মাহমুদের সবচেয়ে বেশি খোঁজ রাখেন আবিদ আজম। তাকে ফোন করে সঙ্গে সঙ্গে পেলাম না। কবির বড় ছেলে মীর শরিফ মাহমুদ, যাকে চিনি অনেকদিন, তার সাথেও যোগাযোগ করতে পারলাম না। আমার খারাপ লাগা বাড়তে থাকে। বইমেলা থেকে বেরিয়ে বাসার রাস্তায় পা বাড়াই।

বাসায় পৌঁছার কিছুক্ষণ পর জানতে পারি আল মাহমুদ ধানমন্ডির ইবনে সিনায় ভর্তি। এখনই যাবো কিনা ভাবছি। মনে নানান চিন্তার উদয় হয়, শেষে ঠিক করি  রবিবার সকালেই যাবো।

অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে আমার মাথায় প্রথমেই আসে আল মাহমুদের নাম। কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যবস্ততা সেরে রওনা হতে হতে দুপুর ১২ টা। রাস্তায় আগুন ঝরছে। মাথা ঘামছে, শরীরও। আমি হাঁটছি আর ভাবছি একটা রিকশা নিলে ভালো হতো। রাস্তাটা যেন ঘোরলাগা। শরীর ক্রমেই ভিজে উঠছে। আমি হাঁটতে হাঁটতে আবিদ আজমকে আবারো ফোন করি। তিনি আমাকে বলেন, ‘গিয়ে দেখে আসো, আর আল্লাহর কাছে দোয়া করো। মাহমুদ ভাই যেন সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।’

কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছাই। তথ্যকেন্দ্র থেকে জানি আইসিইউ দ্বিতীয় ফ্লোরে। এলিভেটরের জন্য অপেক্ষা করার সময় নেই, সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠি। একেকটা সিঁড়িকে আমার সোনালী কাবিন বলে মনে হতে থাকে। আমাকে ভেতরে যেতে দেওয়া হলো না। জানলাম, মাহমুদ ভাই নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। দেখা করার সুযোগ নেই। পরিবারের কাউকেই দেখলাম না। রিসিপশন থেকে জানানো হলো পরিবারের সদস্যরা চতুর্থ তলার ৪১৩ নম্বর রুমে আছেন। সেখানে গেলাম। দরজা খুলতেই কবির বড় ছেলে মীর শরিফ মাহমুদের চোখে চোখ পড়লো। তিনি ভেতরে আসতে বললেন। বসতে বললেন, আমি বসলাম না। আমি বললাম, মাহমুদ ভাইয়ের অবস্থা কী এখন। বললেন, ‘আব্বা ভালই ছিলেন। কিন্তু গত দুদিন ধরে খাবার খেতে পারছিলেন না। আমরা ভেবেছি ঠান্ডা লেগেছে এজন্য হয়তো খেতে পারছেন না। এ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানা গেলো তাঁর নিউমোনিয়া হয়েছে, হার্টের একটু সমস্যা ধরা পড়েছে। এছাড়া বার্ধক্যজনিত সমস্যা তো আছেই।’

কবির সন্তান ও স্বজনেরা

হাসপাতালে ভর্তির পর আজ শনিবার ভোর সাড়ে চারটায় আইসিইউতে স্থানানন্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিউরোলোজিস্ট প্রফেসর আব্দুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তিনি আজ সকালে বলেছেন, অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আমরা সেই আশায় অপেক্ষা করছি। ফিরে আসুন কবি। 

//জেডএস//
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী