বিবিধ ❑ ২
মন,
শৈশবে
ভর দুপুরে
মায়ের হাতের
পিঠ-চাপড়ের ভয়ে
সিঁটিয়ে থাকতে থাকতে
সত্যি সত্যি ঘুমিয়ে পড়া মেয়ে!
বিবিধ ❑ ৩
আর কোনো ডাকাডাকি না হওয়াই ভালো
নতুন-পুরনো, আর কোনো ছোট স্বরে খারিজ-গল্প
তারপরও অঘ্রাণে পিঠাপুলি-অভ্যাস ভেঙে
নাকে সর্দি, চোখে জল, মুখে হাসি দেখে
ভেবে নাও কাকে তুমি চাও শেষমেশ—
স্বজন, পিতা নাকি অমৃত সন্তান
ক্ষণিকের মেঘডুবি হিমশিম-দিনে
চতুর-মধুর সেই সকাতর প্রেম?
বিবিধ ❑ ৪
এই জবাই হতে হতে
হেগে-মুতে-নেচে চলা
একনিষ্ঠ মুরগি-জীবন
পোষা পাখি, কী করি তবে আর
করি তো করি কর্তায় নমস্কার
নিজের লহুতে
আছাড় খেতে খেতে
দেখি নিশ্চিত আঁধার
আমার দুচোখ আধখোলা
বাসনা, তোমাকে দেখার!
বিবিধ ❑ ৭
আমাকে ফেরাতে গিয়ে
দুহাতে ঠেলেছ মেঘ
মেঘ কি সরেছে
আমি কি ফিরেছি
এখানে বৃষ্টি নেমে এলো
খানিক শুনতে পাই
খানিক আড়ালে
দুটো ঠোকাঠুকি
সবার যা থাকে
সবার যা যায়
ব্যর্থ সম্বোধন
মূলত সময় অনুলিপি
তথাপি প্রেম ভালো লাগে
দুর্জন প্রেমিক ভালো লাগে!
নিম্নগামী
মৃতের সংখ্যা কত?
ছ’টা পাঁচে রাগ ভৈরবী শোনা টুটাফুটা ঘুম
ছেলের মাখন-রুটি-চিনির টপাটপ হুড়োহুড়ি
ঘর-বার করা হোঁচট সামলে অটো ধরা ছুট
ইয়া নফস জপে সকাল মনে মনে হাঁপ ছাড়ে
ভাগ্যিস, ওখানে কেউ ছিল না আমার!
মৃতের সংখ্যা বেড়ে কত?
খবরে বলছে উনিশ, ঊনআশি—কাছাকাছি
রাতে উদ্ধারকাজ বন্ধ, রাতে বাতাস ভারী সুশীল গন্ধ
কষা মাংস, ছেলে ঘুরঘুর রান্নাঘর, কীসের গন্ধ, মা?
বর-বউ চোখাচোখি, হাতা নেড়ে বলা, মাংস পোড়ার
ভাগ্যিস বেরুনো বাদ ছিল, ভাগ্যিস যাই নাই আর!
মৃতের সংখ্যা এখন কত?
গা-মাথা ঢাকা ব্যস্ত মানুষ জলের চেয়ে উদাম
গুলতি খাওয়া পাখির পতনে মিল ভাসে তার
ভস্মে গুনাহ্ মাফের কথা গুঞ্জরিত মুখে
জীবন ক্ষুদ্র হিসাব-কেতার ঊর্ধ্বে গেল না আর
ভাগ্যিস, নাই ওইখানে, কেউ থাকে না আমার!