আমি, আমরা
ঈষৎ উপেক্ষা, কাঁটাঝোঁপ, আঁধারের ঝাঁপ...
যেমন আমরা, তলানির শেষ ঢাক
নিতান্ত নতুন বলতে লাভার গতিমুখে কাঁঠালিচাঁপার তাপ
পরিধেয় গালগল্প আর সোনাঝরা রাত; নিঝুম, অবাক
পাথুরে সন্ন্যাস ভেঙে জীবন ডেকেছে আজ
যাবে নাকি? চলো, দু’চোখে ছড়াবো দহনকালের ঝাঁঝ।
‘গুবরে পোকায় ভরে গেছে পথঘাট
নিলামে নীলিম উৎসবের ঝাঁক’—বললে তুমি।
আমি, এগিয়েছি দু’পা, ফিরে যাবো?
ছেড়ে দেবো? উদাস আলোয় ঢাকা
চেতনার যৌথ উৎস ভূমি।
আকাশ আর আমি
উপুড় করেছি আকাশ, ফাঁপা—ভেতরে কিচ্ছু নেই—
গোধূলি বিষণ্নতায় একা একা হেঁটে যাই—
পিছু নেয় পদচিহ্নগুলো, পিছু নেয় স্তব্ধ দুপুর
রাস্তার দু’ধারে ঢোলকলমির ছায়া
মাঝখানে আমারই পদচিহ্ন
যেন তারা বিষপিঁপড়ের সারি, উড়ন্তবিলাসী
আকাঙ্ক্ষার রাঙা চরণের নিচে যেখানে অন্ধকার অসুখ
যেখানে নিঃশব্দ-উর্ধ্বমুখী কান্নার মড়ক
সেখানে নিয়ন আলোর সূত্র ধরে তারা হেঁটে যায়
শব্দহীন বীভৎসতায় হেসে ওঠে।
এক টুকরো সলতে জ্বলা আগুনের দোল একদিন নিভে গেলে
কাঁপা কাঁপা মিহি মিহি চূর্ণ বেদনার ঘোরে শূন্য আকাশ আর আমি
পাশাপাশি লুপ্ত হই।