ধাঁধা
তোমার শরীর রচনা করে রেখেছে অসংখ্য ধাঁধার খিলক্ষেত্র
উত্তর দিতে না দিতেই জন্ম হতে থাকে আরও অসংখ্য ধাঁধার।
রেখাগুলো সৃষ্টি করে রেখেছে গূঢ় ভাঁজ,
আজ একটি রাতের নদী, একটি হারানো হাওর
তোমার ভেতরে আচমকাই গেয়ে উঠবে সিন্ধুভৈরবী।
তোমার অঙ্গ এবং অঙ্কুরিত ছায়াবাজি
আমাকে বিহ্বল করে, টানে এমনই যেন
আমি ঝুমকো জবার মতো লালাভ হতে থাকি, আর
সমুদ্রের নাভিকেন্দ্রে জেগে ওঠা দ্বীপ
হাহাকারের বারতা নিয়ে নিশ্চুপ জেগে থাকে অদৃশ্য জোয়ারের আশায়।
এসো, হে দিগঙ্গনা, আকাশে স্ফুট হই মেঘরতির মতো
যেখানে তোমার ধাঁধাগুলো উড়বে
আমার উত্তরের দুরাশায়, আমার আশ্চর্যের ইশারায়!
স্বপ্নপদ্ম
স্বপ্নে দেখেছি পদ্ম, জলের উদ্ভাসে
বিভোরতা কাটে না কখনও।
এই তো তোমার দাম ছড়ায় যে রহস্যউদ্যান,
তার খুব কাছে এসে স্বপ্নভস্ম রেখে
কী করে আজকে ছুটি প্রান্তরের ঘাসে,
সূর্যাস্তের আভা তাই রেখে যায় কোনো এক
অপসৃত ব্যথা!
আমারও রয়েছে অনুরাগ, আছে সারেগামাপা,
তোমার দীপ্তি কি তুমি, নাকি দীপ্তি তোমার প্রকাশে
ফুলের বেলায়ও কি তাই
ফুলের সৌন্দর্য হাসে বাতাসখেলায়,
তোমাকে নিয়েই আজ গন্ধ আকুলায়!
দীপপুষ্প সাজিয়েছি মনদেউলেতে, মুছে যাবে সহসা হঠাৎ
এসো, পান করি দেহরস, তারপর হই স্তব্ধ, অকস্মাৎ!