অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে সাম্মি ইসলাম নীলার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ধীরে এসো বসন্ত’, বইটি প্রকাশ করেছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড, প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ, মুদ্রিত মূল্য ১২০ টাকা। গ্রন্থমেলায় পাঞ্জেরীর ১৯ নম্বর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
প্রথম বই প্রকাশের অনুভূতি এবং সাহিত্য-ভাবনা নিয়ে সাম্মি ইসলাম নীলা কথা বলেছেন বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে।
প্রথম বইয়ের জন্য পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন। আপনার অনুভূতি জানতে চাই
আমি মনে করি, জীবনে প্রথম বা শেষ বলতে কিছু নেই। আমাদের প্রত্যেক কাজ এগিয়ে যায় নিজস্ব একটা গতিকে অবলম্বন করে। সাহিত্য বা লেখালেখিটা করি ভালোলাগার জায়গা থেকে। এখানে কলমের আঁচড়ে নিজেকে একটু আলাদাভাবে প্রকাশ করা যায়। তবে হ্যাঁ, এইটা একটা ভালো শুরু...। যেকোনো ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত হলে সেখানে আলাদা একটা আগ্রহ তৈরি হয়। এবং উৎসাহ বলা যেতে পারে।
'ধীরে এসো বসন্ত' কাব্যগ্রন্থটি এবার ‘পাঞ্জেরী-সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার’-এর জন্য মনোনীতে হয়েছে। এটা অবশ্যই ভালোলাগার মতো বিষয়।
পুরস্কারটি সম্পর্কে বিস্তারিত বলুন।
পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি. ও চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার প্রবর্তিত হয়। এ পুরস্কারের জন্যে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছড়া ও প্রবন্ধ শাখায় পাণ্ডুলিপি আহ্বান করা হয়েছিল। তারই সূত্রে আমিও পাণ্ডুলিপি জমা দেই। তারপর চূড়ান্তভাবে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হই।
বইয়ের নাম ‘ধীরে এসো বসন্ত’। শুনলেই মনে হয় বাংলার চিরায়ত রঙ-রূপের বর্ণনায় মোড়া।
আপনি ঠিক ধরতে পেরেছেন। আমি জন্মেছি বাংলায়। বাংলার রূপ, রঙয়ের গন্ধ গায়ে মেখেই বেড়ে উঠেছি। এবং আমরা বেঁচে আছি এই হাজার বছরের বাংলার অস্তিত্বকে ধারণ করে। আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে, ‘ধীরে এসো বসন্ত’ কবিতাগ্রন্থে মোট ৩১টি কবিতা রয়েছে, এই সবগুলো কবিতার মাঝে বাংলার রূপের সঙ্গে আরও উঠে এসেছে প্রেম, প্রকৃতি, কল্পনা, বাস্তবতা এবং চলমান সময়ে ঘটে থাকা নানা অন্যায় ও অনিয়ম।
বইয়ের জন্য পাণ্ডুলিপি গোছানোর সিদ্ধান্তে আসলেন কীভাবে?
লিখছিতো ছোটোবেলা থেকেই। শুরুটা ছিল দু'হাজার সাতের দিকে। দেশের বিভিন্ন ম্যগাজিন, অনলাইন পোর্টাল এবং জাতীয় দৈনিকেও লিখেছি। তো ভাবলাম লেখাগুলো একত্র করে একটা পাণ্ডুলিপি গোছানো দরকার। এই ভাবনা দিয়ে মূলত শুরুটা হয়েছে। এর মাঝে হঠাৎ জানতে পারলাম, 'পাঞ্জেরী-সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার'র জন্য পাণ্ডুলিপি আহবান করা হয়েছে। সেখানে পাণ্ডুলিপি জমা দিই। এবং সেটি পুরস্কারের জন্য মনোনীতও হয়ে যায়। সে সূত্রে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সই পাণ্ডুলিপিটি ২০২০-এর বই মেলায় বই আকারে প্রকাশ করে।
আপনার জন্মস্থান চাঁদপুর অথচ দীর্ঘসময় ঢাকাতেই বসবাস। কবিতায় চাঁদপুর নাকি ঢাকার জনজীবন গুরুত্ব পেয়েছে?
ঢাকা বা চাঁদপুর, বিষয়টি এমন নয়। একজন কবি যখন কবিতা লেখেন, তখন শুধুমাত্র ঢাকা, চাঁদপুর, ইউরোপ বা আমেরিকাকে চিন্তা করেই লেখেন না। বরং সমগ্র পৃথিবীর যাবতীয় জীবনধারা, চিন্তাচেতনা ও নানা চিত্রকল্প উঠে আসে তার কলমে।
কবিতায় শিল্পমান অথবা পাঠকমান বিতর্কে কাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন?
এক কথায় শিল্পমান। কারণ, শিল্প যখন মানসম্মত হবে তখন নিজে থেকেই পাঠক তৈরি হবে। মানসম্মত শিল্পের প্রতি পাঠকের একধরনের আকৃষ্টতা থাকে।