X
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : নুরদ্দিন গলি || ভূমিকা ও তর্জমা : বিধান রিবেরু

বুর্জোয়াদের হটানো অনিবার্য : উসমান সেমবেন || পর্ব- শেষ

০২ জানুয়ারি ২০১৬, ১৫:০২আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০১৬, ১৫:০২

উসমান সেমবেন (১৯২৩-২০০৭) [পর্ব প্রকাশের পর]
কর্তনের কারণ আমি জিজ্ঞেস করিনি, আমি আত্মপক্ষ সমর্থনও করতে যাইনি। আমি জানি, যারা আমার মুখোমুখি রয়েছেন তারা কর্তনের হাতিয়ার ব্যবহার করবেন আমার মুখ বন্ধ করার জন্য। ওরা ওই দৃশ্যটাও কেটে দিয়েছে যেখানে ভিক্ষুকরা আলহাজের স্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনে বলছে, কারাগারে বন্দীরা শ্রমিক ও কৃষকদের চেয়ে সুখি কারণ তারা খাবার পায়, যেমনই হোক— মাথার উপর ছাদ আছে, এমনকি প্রয়োজনে চিকিৎসাও পায়।
দশ জায়গায় কর্তনের পরও ছবিটি সেনেগালে চলেছে এবং মানুষ সেটা দেখতে গিয়েছে, বাদ দেয়া জায়গাগুলো নিজেরাই পূরণ করে নিয়েছে। আমি ফ্লাইয়ার ছাপিয়ে বিলিয়ে ছিলাম। সেখানে বাদ পড়া দৃশ্যগুলো সম্পর্কে ইঙ্গিত ছিল, কাজেই মানুষ কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পেরেছেন বাদ যাওয়া দৃশ্যগুলো সম্পর্কে।

গলি : ইউজিসি (ফ্রান্সের সিনেমা অপারেটর ইয়ুনিয়োঁ জেনেখাল সিনেমাতোগ্রাফিক) তো সেনেগালে চলচ্চিত্র পাওয়ার জন্য চুক্তি করেছে। হালার অবস্থান কি এর থেকে বিপরীত নয়?

সেমবেন : পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত করেই ইউজিসির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, গত দুই বছর আগে আমরা পাঁচটি কাহিনিচিত্র নির্মাণ করেছি, যেগুলো পরিবেশনের দায়িত্ব ছিল ইউজিসির।
ইউজিসি হালাকে দেখেছে একটি পরীক্ষামূলক ঘটনা হিসেবে। যদি ছবি ভাল করে তাহলে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। আর ছবি না চললে, এটি স্বল্প পরিসরে শুধু সেনেগলি ছবি পরিবেশন করে যাবে। সম্প্রতি আমরা ইউজিসির সঙ্গে চুক্তি পরিবর্তনের চেষ্টা করছি জোরালো ভাবে, সেনেগলি চলচ্চিত্র দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করতে যাচ্ছে। কমবেশি যাই হোক, আমরা সহযোগিতামূলক তহবিল পেয়েছি আর এখানে অর্থ আসবে— সেনেগালে ছবি পরিবেশনের জন্য ইউজিসি যে কর দেবে সেখান থেকে। এখন শুধু আইন পাশ হওয়ার জন্য অপেক্ষা। সেটাও দ্রুত হয়ে যাবে বা করে ফেলা যায়। কিন্তু আবার ওই একই ব্যাপার, ইউজিসির সঙ্গে সমস্যা।

গলি : কিন্তু এই সহযোগিতামূলক তহবিল কি সেনেগলি সিনেমার সব সমস্যা দূর করতে পারবে কিংবা আংশিক সমস্যা?
সেমবেন : আমাদের কোন মোহ নেই। সেনেগলি সিনেমার সমস্যা এখানকার সাংস্কৃতিক নীতির কারণেই, আর এটা সেনেগাল এখনো বিষয়টা ধরতে পারে নাই। আমরা এটাও জানি, এদেশে সামাজিক জীবনের নানা ক্ষেত্রে অজ্ঞতা নিয়ে চলচ্চিত্রের সমস্যা সমাধান করা যাবে না। এর পাশাপাশি ইউজিসির সঙ্গে সম্পর্কের সীমাবদ্ধতাও আমাদের অজানা নয়।
দশ বছর ধরেই সেনেগালের অবস্থা চলচ্চিত্র নির্মাতা থেকে শুরু করে আমাদের জনগণকে বুঝাচ্ছি। দুই বছর আগে, সেনেগাল সরকার সব প্রেক্ষাগৃহ কিনে নিল, এরপর গঠন করল মিশ্র পুঁজির কোম্পানি। এতে ইউজিসিকে ভাগ দেয়া হয় কুড়ি শতাংশ। এই কুড়ি ভাগ পাওয়ার পরও ইউজিসি পেটুকের মত সমস্ত গ্রাস করতে চাইল, পুরো সিনেমাকেই সে গিলে ফেলতে চায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলচ্চিত্র নির্মাতারা সরকারী কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছেন, সরকার তো প্রেক্ষাগৃহের সব বেচা-বিক্রি ইউজিসির হাতে তুলে দিয়েছে। এখন এটা নিয়েই আমরা একটা আলোচনা করছি।

হালা যে এক ধরনের নিশ্চয়তা তৈরি করেছে এ ব্যাপারে আমরা ওয়াকিবহাল আছি, কিন্তু তাই বলে ইউজিসিকে বাতিল করতে পারি না। এখন ইউজিসি কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে সেটা দেখার বিষয়। যৌথভাবেই এটা পর্যবেক্ষণ হচ্ছে। অবশ্য এই দেখার কাজটা আমাদের কাছে যে খুব স্পষ্ট বা সততার সঙ্গে হচ্ছে, তা নয়, তারপরও পরস্পরের সুবিধা দেখার চেষ্টাটা আছে। নয় তো সকল প্রেক্ষাগৃহ হাতছাড়া হওয়ার ভেতর দিয়ে আমাদের সিনেমার সমস্যা সমাধান হবে। আফ্রিকার অন্য দেশগুলোও হয় তো একদিন একই পথে হাঁটবে। আমরা আলজেরিয়ার মত করতে চাই, আমরা আমাদের প্রযোজনা নিয়ন্ত্রণ করব, পরিবেশনা আমাদের হাতে থাকবে, এবং ব্যবস্থাপনাও, মোদ্দা কথা পুরো সিনেমা, শুরু থেকে শেষ— সবটাই নিয়ন্ত্রণ করতে চাই আমরা। এখনো পর্যন্ত, যদিও পুঁজির উপর কুড়ি শতাংশ ইউজিসির, তারপরও তারা নিজেদের নতুন কার্যক্রম চাপিয়ে দিচ্ছে। এখন আমরা নিজেরা ঠিক করতে চাই, কোন ছবি প্রদর্শিত হবে আমাদের দেশে।

গলি : হালাতে আলহাজের দুই স্ত্রী। এরা দু’জন দুই মেরুর বাসিন্দা: প্রথমজন ঐতিহ্যবাহী, অন্যজন ইউরোপ ঘেষা।
সেমবেন : আলহাজ কিছু হয়ে ওঠার আগে প্রথমজনকে বিয়ে করেছেন। অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি আলহাজ দ্বিতীয় বিয়ে করেন, এটাকে বলতে পারেন ইতিহাসের দ্বিতীয় পর্যায়। আর তৃতীয় স্ত্রী, যার বয়স আলহাজের মেয়ের সমান, তার সাথে আলহাজের মনের কোন লেনাদেনা নেই, আছে শুধু ভোগ। এই তৃতীয় স্ত্রী বেশ বাধ্য, আলহাজের মেয়ের বিপরীত, এবং পুরো ছবিতে দুই একবার তাকে দেখা যায়। এই স্ত্রী হচ্ছে অনেকটা ‘সুন্দরী সেজে থাকো আর মুখ বন্ধ রাখো’ ধরনের।
বহুগামিতায়, বিশেষ করে বুর্জোয়া অথবা শহুরে মানসিকতায়, স্ত্রী হল কেবল মাংসপিণ্ড, তাকে মূল্যায়িত করা হয় পণ্যের মত। এই বুর্জোয়া ও তার স্ত্রীদের বুদ্ধিতেই কিন্তু আন্তর্জাতিক নারী বার্ষিকীর জন্য দরজা খোলা হয়। কর্মজীবী নারী নয়, এখানে সুযোগ পান সমাজের সুবিধা প্রাপ্ত নারীরা, খ্রিস্টধর্ম তাদের কোন তৃপ্তি দিতে পারেনি, এই নারীদেরকেই আমরা কথা বলতে দেখি নারী ও পুরুষের সমান অধিকার নিয়ে। কিন্তু এখানে সন্দেহাতীতভাবে একটি অনস্বীকার্য সমস্যা আছে: বহুগামিতা, যেটার বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি। এখানে সমস্যা আছে, সমস্যাটা দৃশ্যমান, দেখাই যাচ্ছে নারীদের অধস্তন অবস্থা। এই সমস্যার সমাধান আমরা ইউরোপে যে পরিবারের ধারণা সেখানে খুঁজে পাইনি। ইউরোপের সমাজ কাঠামো মানবসত্ত্বাকে ক্ষয়িষ্ণু করে তোলে। বাস্তবে এই সমস্যার সমাধান লিঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতে খুঁজলে চলবে না, খুঁজতে হবে শ্রেণি প্রশ্নে।

গলি : একাধারে আপনি লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা, সেনেগালি সিনেমার বাইরে কোন পরিচয়টি আপনাকে স্বাচ্ছন্দ দেয়? বিষয়ভিত্তিক কাজ বা নিজস্ব ঢং তৈরিতে কি আপনার লেখালেখি আপনাকে সাহায্য করেছে?
সেমবেন : এটা আসলে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। আমার মতে সিনেমার শুরু সাহিত্য দিয়ে। কিন্তু যখন আমি লিখি, তখন এর শেষ পরিণতি চলচ্চিত্র হবে বলেই আশা রাখি। আমি এমন শব্দ খুঁজি যা প্রতিচ্ছায়া হতে পারে, এমন প্রতিচ্ছায়া খুঁজি যেন তা শব্দে রূপ নিতে পারে, এমনটা করি যেন যে কেউ চলচ্চিত্র পাঠ করতে পারে আর দেখতে পারে বই। কিন্তু আমি সিনেমার প্রতি আগ্রহী হয়েছি কারণ সিনেমা বইকে অতিক্রম করতে পারে, এমনকি কবিতা কিংবা মঞ্চনাটককেও। যখন হালা মুক্তি পেল তখন প্রত্যেক সন্ধ্যায় কমপক্ষে তিনশ মানুষ ছবিটি দেখতে এসেছেন, তাদের সঙ্গে ছোট ছোট দলে আমি তর্কে মেতে উঠতাম।
চলচ্চিত্র আমাদের সামনে ক্যানভাসের মতই হাজির হয়, এতে প্রতিফলিত হই আমরা পরস্পর। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সিনেমা হয়ে গিয়েছে চোখ, আয়না এবং সচেতনতা। চলচ্চিত্র নির্মাতা এমন একজন যে তার নিজের জনগণের দিকে তাকায়, পর্যবেক্ষণ করে, এরপর তাদের ভেতর থেকে বেগ ও আবেগ বের করে এনে নিজের ভেতর জারিত করে ফিরিয়ে দেয় বা পরিবেশন করে ওই জনগণের সামনেই। শ্রমিক বা কৃষকের নিজেদের জীবনের সূক্ষ্ম দিকগুলোতে তাকানোর ফুরসত নেই, তারা তাদের মত জীবনযাপন করে কিন্তু সেই জীবনকে পেড়ে মুঠোবন্দী করে দেখার মত সময় নেই তাদের। তবে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা কিন্তু সূক্ষ্ম বিষয়গুলো একের পর এক গেঁথে গল্প তৈরি করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী গল্পকথক আর নেই আজকাল, আমার মনে হয় তাদের জায়গা পূরণ করতে পারে চলচ্চিত্র নির্মাতারা।
লেখায় কিন্তু আমাকে পটভূমির ভেতর থাকতে হয়, ধারণাকে সমৃদ্ধ করার জন্য, যেন আমরা আরো সামনে এগুতে পারি। আমি বিষয়ের উপর আলোকপাত করি, জনগণের অবস্থাকে তাদের সামনেই আবার ফিরিয়ে আনতে চাই, যেন তারা আমার ফিরিয়ে আনা অবস্থায় নিজেদের আবিষ্কার করতে পারে, প্রশ্ন করতে পারে। জনগণকে তাক লাগিয়ে দেয়া তৃতীয় বিশ্বের চলচ্চিত্রকারের কর্ম নয়, কারণ প্রযুক্তির পরাক্রম দেখানো সহজই বৈকি। আর যাই হোক, যখন আপনি সিনেমাকে জানবেন তখন এটা খুবই সহজ বিষয়। প্রশ্নটা হল আপনি আপনার জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজের ইতিহাসে প্রবেশ করাতে পারছেন কি না, ইতিহাসে তারা নিজেদের চিহ্নিত করতে পারছে কি না, সেটাই হল প্রশ্ন। মানুষকে অবশ্যই চলচ্চিত্রে যা আছে সেটা আমলে নিতে হবে, এবং তা নিয়ে কথা বলতে হবে। আর এই জায়গাতেই ভাষা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: এই কারণেই আমি জাতীয় ভাষা উলোফ ব্যবহার করেছি, এ ভাষা আমার মানুষের ভাষা।

গলি : কিছু দৃশ্য গভীরভাবে প্রতীকী, ছবিটি দেখলে এমন ধারণাই হয়। ছবির শেষে আলহাজ যখন বাধ্য হলেন জামা-কাপড় খুলতে, তখন মনে হয় তার কৃত কুকর্ম উন্মোচিত হল এবং বিবস্ত্র করা হল...।
সেমবেন : একই কথা, আপনাকে বুঝতে হবে, এই দৃশ্য বিপ্লবের আহ্বান। যদি ওইসব লোকদের হাতে তখন আগ্নেয়াস্ত্র থাকত তো আলহাজকে তারা তখন মেরেই ফেলত। উপনিবেশবাদ একমাত্র টিকে থাকে এসব বুর্জোয়াদের দালালির কারণে।

উদাহরণ স্বরূপ বলছি, আমরা তো জানি অ্যাঙ্গোলার যুদ্ধে সাভিমবি ও হোল্ডেনকে (জোনাস সাভিমবি ও হোলডেন রোবের্তো দু’জনই অ্যাঙ্গোলার রাজনীতিবিদ) সমর্থন দিয়েছিলেন আফ্রিকার কয়েকজন ভাল রাষ্ট্রপ্রধান। তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় আটক ছিলেন। আমরা দেখেছি যে, রাষ্ট্রপ্রধানরা অ্যাঙ্গোলার ইউনাতাকে (ন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য টোটাল ইন্ডেপেন্ডেন্স অব অ্যাঙ্গোলা) সমর্থন করেছিলেন, ওই দেশের জনগণ বা শ্রমিকরা নিজেদের বুর্জোয়াদের গায়ে থুথু দেয়ার জন্য বা গুলি করার জন্য মরিয়া হয়েছিল।

গলি : এই ছবিতে অনেকগুলো গান ব্যবহৃত হয়েছে। সেগুলো অনুবাদ বা সাবটাইটেল করে দেয়া হয়নি। গানে কি কথা ছিল?
সেমবেন : উলোফ ভাষায় আমার লেখা একটা গান ছিল, একটু জনপ্রিয় ধাচের। একটি দৃশ্যে এই গান ব্যবহার করা হয়, সেখানে বিপ্লবের আহ্বান আছে, অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলেছি, ক্ষমতার বিরুদ্ধে, আজকালের যে নেতা তাদের বিরুদ্ধে, নয় তো এরাই একদিন গাছপাথর হয়ে জেঁকে বসবে, এদেরকে ছেটে ফেলতে হবে। গানগুলো পরিস্থিতি মোতাবেক রচনা করেছি। রূপকথা থেকে নয়। প্রথমে আমি অনুবাদ করে দেয়ার কথাই ভেবেছিলাম। পরে এই চিন্তা বাদ দিয়েছি, কারণ ইউরোপের দর্শকের জন্য ওটার দরকার নাই।
একটি গানের মধ্যে টিকটিকির রূপক এসেছে, টিকটিকির মধ্যে ভাল নেতার কোন গুণ নাই। যখন এটি সামনে হাঁটে, আর ধরুন আপনি পেছনে, তখন সে আপনাকে কতল করবে এটা বলে যে, আপনি তাকে খুন করতে চান। যখন আপনি পাশাপাশি হাঁটবেন, তখন এটি আপনাকে বলবে, আপনি ওটার সমান বড় হতে চান। তখনও সে আপনাকে খুন করবে। আবার যখন আপনি ওটার সামনে হাঁটবেন, তাও আপনি খুন হবেন, সেসময় অভিযোগ হবে: “তুমি আমার সৌভাগ্যে ভাগ বসাতে চাও।” এই গানে বলা হয়েছে এধরনের নেতৃত্ব নিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবার সময় এসেছে। যেসব নেতার এই টিকটিকির গুণাবলী আছে তাদের হাত থেকে মুক্ত হতে হবে। গানটি শেষ হয় এমন কিছু কথা দিয়ে: “জয় জনতার, জয় জনতার শাসনের, জয় জনতার সরকারের, এক ব্যক্তি এই সরকারকে পরিচালিত করবে না!” মানি অর্ডার চলচ্চিত্রেও কিন্তু আমার লেখা গান ছিল।
গলি : মানুষের জীবনকে তো অনেকভাবেই দেখা যায়, এই ছবিতে আমরা ভিক্ষুকদের জীবন দেখেছি, ছবির শেষে তারা সম্মিলিত জনতা হিসেবে আক্রমণে সমর্থ হয়...।
সেমবেন : হ্যাঁ, তাদেরকে প্রথমে নির্বাসিত করা হলেও পরে তারা ফিরে আসে। এই সম্প্রদায়ই একদিন ফিরে আসবে বুর্জোয়াদের শহর পরিষ্কার করতে। ভিক্ষুকরা হয় তো শহরে মানানসই না, তারপরও তাদের নাগরিকত্ব তো অস্বীকার করা যায় না। সাহারার দক্ষিণে অনেক রাষ্ট্রে শ্রমিকরা ভাল নেই। কারণ শ্রমিক এসব দেশে বেঁচে থাকে না, কোন রকম টিকে থাকে। শ্রমিকদের চেয়ে কৃষকরা আরো হতভাগা। আমি এখনো বিশ্বাস করি, জনগণ, হোক অসুস্থ কি পঙ্গু, একদিন এই বুর্জোয়াদের হটাবেই, কারণ এটা করা একদিকে যেমন জরুরি, তেমনি অনিবার্য।

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা সাকিবকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন: হাফিজ উদ্দীন
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা সাকিবকে আমার বাসায় নিয়ে আসেন: হাফিজ উদ্দীন
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৩
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৩
কুমিল্লায় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা, শেখ ইনানকে হত্যার হুমকি
কুমিল্লায় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা, শেখ ইনানকে হত্যার হুমকি
হলমার্কের এমডি তানভীর ও তার স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হলমার্কের এমডি তানভীর ও তার স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সর্বাধিক পঠিত
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
পদ্মার গ্রাহকরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন
একীভূত হলো দুই ব্যাংকপদ্মার গ্রাহকরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই
‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই