X
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
উপন্যাস

বিকল্প অর্থনীতি ও গ্রাম্য কায়কারবার

সাজেদুল ইসলাম
০৪ মে ২০২৪, ১৫:৫৬আপডেট : ০৪ মে ২০২৪, ১৫:৫৬

মোবারেক মোল্লার চাতালে প্রথম দফা কাজকর্ম শেষ করে দৌলতখানের কারবারি রিংকু আকন বাড়ি ফিরে গেল। প্রায় পাঁচ দিন টানা নাও বেয়ে একদল মাঝি মোবারেক মোল্লার চাতাল থেকে দৌলতখানে আকন বাড়ির পেছনের ঘাটে পৌঁছাল। সেখানে বিশ্রাম ও প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহে কিছুদিন কাটলো। এরই মাঝে বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আর বাবার কাছ থেকে যতটুকু প্রয়োজন বুদ্ধি-পরামর্শ নিয়ে নিলো রিংকু আকুন। তার লোকেরা নতুন মালামাল সংগ্রহ শেষে নাওয়ে বোজাই করলো। বাড়ির ঘাট থেকে রওনা হয়ে একই পথে ফের মোবারেক মোল্লার চালকলে সপ্তাহান্তে ফিরে এলো নয়া কারবারি রিংকু আকন। এদিকে মোবারেক মোল্লার চাতালে যারা ভেবেছিলো প্রয়োজনীয় মনোযোগের অভাবে রিংকু তার বাবার ব্যবসায়-বাণিজ্য ধরে রাখতে পারবে না তাদের অনুমান ভুল প্রমাণ করে জাহাজতুল্য নাওয়ে পোলাও চাল ও শুকনা মরিচ নিয়ে ফিরেছে সে। কলিজিরা চালের চেয়ে আকারে কিছুটা বড় ও লালচে ধরনের হলেও দৌলতখানের পোলাও চালের ঘ্রাণ ও কদর রয়েছে। রান্নার পর পাতিলের ঢাকনা আলগা করলে বেসামাল সুবাস ছড়ায় এই চালের পোলাও। টকটকে লাল ও সরু শুকনা মরিচের বাজার বর্ষাকালে ভালো হওয়ায় চালের সঙ্গে নাও বোঝাই হয়ে এসেছে এই ঝাল মরিচও। এই ডাওরে রিংকু কারবারির ব্যাবসাবাণিজ্য ভালো হবে—তা বোঝা যাচ্ছে। প্রথম দফায় প্রবীণ কারবারিদের অনেকে নিশ্চিতভাবে ধরে নিয়েছিলো—এই পোলা তার বাপের সাজানো সাম্রাজ্য বসে বসে ধ্বংস করবে। এখন রিংকু আকনের প্রস্তুতি দেখে কারবারিরা সুর পাল্টাতে শুরু করেছে। তারা আগেরবার বলেছিল, রাজার গোলা ঝিনুক মাইপা খাইলেও শেষ অয়া যায়। অথচ তারা এখন বলতে চাইছে—নয়া কারবারি অইলেও ব্যবসার সিজন বোঝে সে। রিংকু তার নিজের কারবারির সবকিছু ঠিকঠাক গুছিয়ে নাওয়ে তুলে এনেছে। ফেরার কালে চাতালের অন্য কারবারি ও চাতাল শ্রমিকদের জন্য সঙ্গে এনেছে কয়েক হাড়ি মহিষের দুধের দই ও লাল খই।

চাতাল ও নদীভিত্তিক ব্যবসায়-বাণিজ্যের ভাষা সে রপ্ত করছে। কাজ শেষে চলে গিয়ে সপ্তা দুয়েকের মধ্যে রিংকু আকনের প্রত্যাবর্তনে বিস্মিত হয়ে ভান্ডারিয়ার কারবারি মজিদ রাঁড়ি বলে, যার বাপে এতবড় কারবারি আছিল হের নিজের বড় কারবারি না অইয়া উপায় আছে নি? বাঁশের গোড়া দিয়া সবসময় বাঁশ গজায়, কুঞ্চির গোড়ায় কুঞ্চি। মজিদ রাড়ীর মুখে রিংকুর স্তুতি শুনে কলাপাড়ার কারবারি বাবরজান মোল্লা তাকে পালটা জবাব দেয়। সে বলে ওঠে, বাঁশের গোড়া দিয়া সময়-বিশ্বাসে কুঞ্চিও গজায় মজিদ ভাই। নয়তো বাঁশঝাড়ে এত কুঞ্চি আসে কই থেইক্যা। আইজ-কাইলকার পোলাপানরে এত সকালে এত ভরসা করার কিছু নাই। এইসব পোলাপানের বিষয়ে একমাত্র সময়-ই সবকিছু কইতে পারবো। ওর বাপ জয়নাল আকন খুব সাবধানি মানুষ আছিলো। এহন বয়সের ভারে কাজে নামতে না পাইরা পোলারে পাডাইছে। হেই পোলায় চাতালে আইসা মাইয়া মাইনসের চক্করে পড়ছে। তাও কি যেন-তেন মাইয়া এইডা—ডাকাইত্যা মাইয়া।

বর্ষাকালে চাতাল ছোট আকার ধারণ করে নিজেকে কেন্নো পোকার মত গুটিয়ে নেয়। যেন যে যেখানে পারে কোনোমতে যার যার কাজ চালিয়ে নেয়। এসময় চাতাল ঘিরে ও চাতালের অভ্যন্তরে টিন ও পলিথিনের অনেকগুলো শেড গড়ে ওঠে। শুষ্ক মৌসুম এলে এসব শেড তুলে ফেলা হয়। খাঁ খাঁ রোদে তখন চাতাল বিস্তীর্ণ হয়ে ওঠে। এধার থেকে ওধার। যেন বিমান চলাচলের উপযোগী আস্ত এক রানওয়ে। লোকে তখন চাতালকে খৈলান সম্বোধন করে। বিশেষত বৈশাখ মাসে খৈলানের নানা দিকে ধান মাড়াই, ধান সেদ্ধ ও ঝাড়া-মোছাসহ নানা ধরনের কাজ যুগপৎভাবে চলে। তখন নতুন ধান নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকে কৃষক ও খৈলান শ্রমিকেরা। একদিক থেকে সকাল-বিকেল ও রাতে নতুন ধান উঠে আসছে, অন্যদিকে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে মাড়াই। ধান মাড়াইয়ের প্রধান হাতিয়ার হলো হালের বলদ। গোল করে বিচালিসহ ধান চাতালের পোস্তা করা জমিনে ছড়িয়ে দেওয়া হলে সমান্তরালে একজোড়া বলদ সেই ধানের ওপর ঘুরতে থাকে। বলদের পদাঘাতে বিচালি থেকে পৃথক হয়ে নিচে জমে ওঠে রাশি রাশি সোনার ধান। এসময় বলদের পিছনে অন্তত একজন রাখাল ছড়ি ঘোরাতে থাকে যেন বলদদুটি জিরিয়ে নেওয়ার অবসরটুকু না পায়। রাখালের সঙ্গে আরেকজন জোগাল কলাপাতায় মোড়ানো বাঁশের ঝুঁড়ি ও টিনের বালতি হাতে নিয়ে বলদযুগলের পশ্চাদ্‌দেশ পানে চেয়ে থাকে। যেন অনন্ত অপেক্ষা করে। গোবর বা গোমূত্র ত্যাগের কালে সে যথাযথ পাত্রসমেত দৌড়ে গিয়ে বলদের পিছনে শক্তহাতে ধরে থাকে। এতে যেমনি গোবর ও গোমূত্র থেকে ধান-বিচালি রক্ষা হয় তেমনি সংগৃহীত গোবর থেকে তৈরি গোবরের মুঠো ধান সেদ্ধ করায় কাজে লাগে।

এই খৈলান ঘিরে বৈশাখ মাসেই পাইকারি ব্যবসায়ের পাশাপাশি ছোট ছোট ব্যবসায় জমে ওঠে। মৌসুমি ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের কেউ এসে তুষ কিনে নেয়। কেউ নিয়ে যায় চালের খুদ। তবে যে কেউ এলে ধান-চালের অবশিষ্ট এসব অংশ কিনে নিতে পারে না। এই ব্যবসায়ের ওপর জিরাকাঠি ও মীরের হাটের কয়েকজনের ব্যবসায়ীর একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে। তারা সময়মতো মোবারেক মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেদের লোক পাঠিয়ে দেয়। শেষে নাওয়ের পেট ভরাট করে এসব খুদ ও তুষ নিয়ে তারা ফিরে যায়। ডাওরে যখন অনেক বাড়িতে চালের অভাবে চুলা জ্বলে না তখন হাটে এসব খুদের চাহিদা ও দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়। বাড়িতে নিয়ে মানুষ এই খুদ পানিতে ভিজিয়ে রাখে। কিছুক্ষণ ভেজানোর পর কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ সামান্য তেলে ভেজে পানিসহ খুদ কড়াইয়ে তুলে দেয়। মিনিট বিশেকের মধ্যে তৈরি হয় খুদের ভাত। কেউ কেউ এই ভাতকে বলে—লাতা সেদ্ধ। তাদের ভাষায় এই খুদ হলো লাতা। রান্না শেষে পাতে তুলে দেওয়া হলে পেঁয়াজের বড় বড় সাদা ফালি ও মাঝখানে চেরা সবুজ মরিচ চেয়ে থেকে সুবাস ছড়িয়ে দেয়। পেটভর্তি করে লাতা সেদ্ধ খেয়ে কাজে নেমে পড়ে গেরস্ত। আর চাতাল থেকে বিক্রি হওয়া সেসব তুষের মিহি অংশ যায় গেরস্তের বাড়িতে থাকা গাভি ও বলদের পেটে। ভাতের মাড় ও সামান্য আটার সঙ্গে গুলিয়ে গরু-মহিষের আহার হিসেবে খাওয়ানো হয় এসব তুষ। তবে তুষের অপরিশোধিত বড় অংশ চুলায় রান্নাবান্না ও পরের বছরের ধান সেদ্ধ করার কাজেও ব্যবহৃত হয়।

দিলীপের বৌ বিষ্ণুর সঙ্গে মোবারেক মোল্লার চাতালে রিংকু আকনের ফের দেখা হলো। চাতালে ফিরে আসর পর প্রথম দেখা এটি। সেবার কেমন একটি গোলযোগের ভিতর দিয়ে রিংকু আকন ও বিষ্ণুর দেখাসাক্ষাৎ হলো। পরে তা একমুখ থেকে অন্যমুখে ছড়িয়ে আরো বড় গোলযোগ বাঁধিয়ে দিলো চাতালজুড়ে। আজও শেডের নিচে বিষ্ণুকে তুষ ঝাড়তে দেখে রিংকু আকন এগিয়ে গেল। তবে অন্যদিনের মত বিষ্ণু আজ অতটা ইতস্তবোধ করল না। সে কেবল হাতে থাকা কুলাটি ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে পরনের কাপড় ঠিকঠাক করে নিল। পরে যাওয়া ঘোমটাটি মাথার অর্ধেক অংশজুড়ে টেনে নিল। তাতে মাথার সামনের এলোমেলো চুল লতাগুল্মের মতো কান ও কপালের এদিক-ওদিক থেকে বেড়িয়েই রইল। রিংকু আজ শুরুতে কোনো কথা না বলে বিষ্ণুর হাতদুটি নিজের দুইহাতের মুঠোয় চেপে ধরল। বিষ্ণুর হাতের থাকা ছিপছিপে চুড়ির দাগ বসে গেলে বিষ্ণু ঊ..শব্দ করলেও রিংকু হাত ছাড়লো না। এমন সময় বিষ্ণু বলল, কি করতেছেন এসব, হাত ছাইড়া দেন। মানুষ দেখলে কতা শোনাইবো। বিষ্ণুর কথায় রিংকু যেন সুযোগ পেল, সে বলল, সমস্যা তো মানুষের, তোমার-আমার তো কোনো অসুবিধা নাই, বিষ্ণু। মানুষ নিয়াইতো সবচেয়ে বড় অসুবিদা অয়, ক্যান, আগেরবারের কতা এত তাড়াতাড়ি ভুললেন কেমনে? বিষ্ণু বলল। বিষ্ণুর এই কথা শুনে রিংকু আকন বলল, ভুইলা গেছি কইল কেডা, এইবার সেই কতা শক্ত কইরা মনে রাকছি। দেহি, কেডা কি কয় এইবার। রিংকুর আত্মবিশ্বাস দেখে বিষ্ণু বলল, আপনার কিছু অইবো কইলো কেডা, দুর্নাম-বদনাম যা অইবো—সব আমার। বিষ্ণুর ভীতি দেখে রিংকু হাসলো। সে বলল—আমিতো হুনছি তুমি সাহসী মাইয়া। তাইলে এত অল্পতে গাবরাইলা যে। রিংকুর এই কথা যেন গায়ে কাটা হয়ে বিধঁলো বিষ্ণুর। সে বলল, ও, হুনছেন তাইলে সবকিছু? দেহেন, এই কতা সত্যি—আমার ভয়-ডর কম। তয় বদনামের ভাগীদার কেডা অইতে চায় কন। খৈলানে বারো দ্যাশের তেরোজন আসে, একেকজনের মনমর্জি একেক রকম। কাউরে বেশি বিশ্বাসও করি না, কাউরে ভরসাও করি না। বিষ্ণুর এই কথা শুনে রিংকু ফের হাসলো। রিংকুর হাসি দেখে বিষ্ণু চটে গিয়ে বলল, হাসলেন যে, কী কারণ? রিংকু বুঝতে পারল, বিষ্ণুকে ক্ষেপানো ঠিক হবে না। সে বলল, তুমি বারো দ্যাশের তেরো জনের কাউরে বিশ্বাসও করো না, ভরসাও করোনা, তয় সবাইরে ডরাও। একথা শুনে বিষ্ণু নিজের মেজাজ ধরে রাখতে পারল না। সে বলল, আমি আগেই কইছি—মোটেও ডরাই না। প্রয়োজন অইলে মেলাদূর পর্যন্ত টানাহেঁচড়া করবার পারি। আশা করি, অপনে হেইডা জানেন। রিংকু বললো, জানি দেইখাই তো অবাক অইলাম। তুমিও মনের কতা না ভাইবা মাইনসের কতা ভাবো! মনের কতা আমি ভাবি না—এইকতা আপনেরে কইলো কেডা। আমি মনের কতা ভাবি আর এইডাও জানি যে, মনের কতা আমলে নিলে মেলা মূল্য দেওন লাগে। আর আমি এইডাও জানি যে—এই কতা আপনে জানেনও না, বোজেনও না।

দুজনের কথা যেন তর্কে গিয়ে ঠেকল। বিশেষত বিষ্ণুর মেজাজ হারানো দেখে রিংকু আকন ভড়কে গেলো। দুজনে কিছুক্ষণ চুপচাপ রইলো। পরিস্থিতি হালকা করার জন্য রিংকু বিষ্ণুর প্রতি সহানুভূতির ভাষায় বলল, তোমার স্বামী দিলীপ পালের মরণের কতা আমি হুনছি। বিষ্ণু রিংকুর এই কথার জবাব দিতে দেরি করল না। সে বলল, দিলীপ পাল মরে নাই। তারে লোকে অন্যায়ভাবে মাইরা ফেলছে। বিষ্ণুর কথায় ঝাঁঝালো গন্ধ আছে। রিংকু বুঝলো বিষ্ণুর ক্রোধ এখনো কমেনি। সে এবার বলল, হ, আমিও তাই হুনছি। এইডাও হুনছি যে, তোমারও মরণের দশা অইছিলো। দিলীপের বৌ বিষ্ণু এবার চুপ রইল। রিংকু ফের প্রশ্ন করলো বিষ্ণুকে। বলল, কি করছিলা তোমরা? বিষ্ণু শান্ত স্বরে বলল, কিছুই করি নাই। আমরা খালি গলা ছাইরা কইরা কইছিলাম—লাঙল যার জমিও তার। এই দোষে ওরা দিলীপের পরাণ নিয়া নিলো। দিনের পর দিন আমারে বন-জঙ্গলে লুকাইয়া থাকতে অইলো। রিংকু অবুঝের মতন চেয়ে রইলো বিষ্ণুর দিকে। অস্ফুট স্বরে বলল, কারা করলো এতসব? মহাজন?

চলবে

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মুম্বাইয়ের হারের পর হার্দিককে নিষেধাজ্ঞা
মুম্বাইয়ের হারের পর হার্দিককে নিষেধাজ্ঞা
বিকল্প অর্থনীতি ও গ্রাম্য কায়কারবার
উপন্যাসবিকল্প অর্থনীতি ও গ্রাম্য কায়কারবার
ভাসমান বন্দর হয়ে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানো শুরু
ভাসমান বন্দর হয়ে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানো শুরু
বার্সা-মেসির চুক্তির ন্যাপকিন পেপার নিলামে বিক্রি হয়েছে ১১ কোটি টাকায়
বার্সা-মেসির চুক্তির ন্যাপকিন পেপার নিলামে বিক্রি হয়েছে ১১ কোটি টাকায়
সর্বাধিক পঠিত
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
ত্বক তারুণ্যদীপ্ত দেখানোর ৮ টিপস 
ত্বক তারুণ্যদীপ্ত দেখানোর ৮ টিপস 
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
কাশ্মির সীমান্তের দুই দিকে বিপরীত দুই দৃশ্য
কাশ্মির সীমান্তের দুই দিকে বিপরীত দুই দৃশ্য
ইসরায়েলগামী অস্ত্রের জাহাজ নোঙর করতে দেয়নি স্পেন
ইসরায়েলগামী অস্ত্রের জাহাজ নোঙর করতে দেয়নি স্পেন