প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য মন্দির স্থাপনের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গ মন্দির নির্মাণের জন্য প্রশাসনের কাছে বারবার দাবি জানালেও এখন তা কার্যকর হয়নি। সর্বশেষ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পূর্ণাঙ্গ মন্দির নির্মাণে জায়গা বরাদ্দ চেয়ে উপাচার্যের কাছে আবেদন জানানো হয়।
রুয়েট সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, রুয়েট বর্তমানে সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রায় সাড়ে ৫’শ শিক্ষার্থী এবং প্রায় ৩০ জন শিক্ষক রয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অব্যাহত দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মর্তুজা আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ৪০৪ নম্বার কক্ষটি মন্দির হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বরাদ্দ দেন। তখন থেকে ওই কক্ষেই চলছে মন্দিরের কার্যক্রম।
রুয়েট সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর সাহা বলেন, রুয়েটে পূর্ণাঙ্গ মন্দির নির্মাণের জন্য অনেক আগে থেকে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে জিয়াউর রহমান হলের ভেতরে একটি কক্ষ মন্দিরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্ত এতো ছোট একটি কক্ষে পূজা পরিচালনা করা কষ্টকর। মন্দিরের অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায়ও সমস্যা হয়। তাছাড়া আবাসিক হলের ভেতরে মন্দিরের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সমস্যা হয়।
তিনি জানান, সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রুয়েট সার্বজনীন পূজা উদ্যাপন পরিষদ মন্দির নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগের কাছে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আবেদনপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ২ হাজার বর্গফুটের একটি জায়গা বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। মন্দির নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি স্থানের কথাও এতে সুপারিশ করা হয়।
রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ বলেন,‘মন্দির নির্মাণের ব্যাপারে তারা আমাকে জানিয়েছে। জায়গা বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনার জন্য পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’