X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরিপ্রার্থীদের চাপে শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাচ্ছে না জবির পাঠাগারে!

জবি প্রতিনিধি
১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:২৮আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৩৫
image

ভেতরে চলছে ক্লাস, বাইরে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন। দেখে ঈদের আগে বাস বা ট্রেনের টিকিট সংগ্রহের দীর্ঘ লাইন মনে হলেও এ দৃশ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত পাঠাগারের।

চাকরিপ্রার্থীদের চাপে শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাচ্ছে না জবির পাঠাগারে!

লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এ চিত্র নিত্যদিনের। মূলত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বই নিয়ে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় চাপ বাড়ছে জবির উন্মুক্ত পাঠাগারে।
শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একটি রুমে গত এপ্রিলে উন্মুক্ত পাঠাগার উদ্বোধন করেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। মাত্র ৪৯ বেঞ্চের পাঠাগারটি খোলা থাকে দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে বিভাগীয় পরীক্ষার দিন বিকাল ৪টায় খোলা হয়।
নেই বই, ব্যাগ রাখার ব্যবস্থা। বৈদ্যুতিক পাখাগুলো অনেক উঁচুতে, দীর্ঘদিনেও মেরামত হয় না নষ্ট পাখা। নেই খাবার পানি, ওয়াশরুম, বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। সাধারণত মসজিদের ওয়াশরুম ব্যবহার করলেও মাগরিবের নামাজের পর বন্ধ হয়ে যায় মেয়েদের ওয়াশরুম। বর্ষায় বৃষ্টির পানি আসে ভেতরে, অন্য সময় তীব্র রোদে বসা কষ্ট হয়ে যায় পশ্চিম পাশের বেঞ্চগুলোতে। পর্দা দেওয়া হলেও সস্তা ও নিম্নমানের হওয়ায় তা উপকারে আসে না। প্রতিটি বেঞ্চে ৩ জন করে বসার পরও ফিরে যায় দ্বিগুণ শিক্ষার্থী। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগীয় পরীক্ষার পূর্বে নোটিশ দেওয়ার কথা থাকলে কোথাও নোটিশ পাওয়া যায় না। বারবার সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ করেও এর কোনও সুরাহা হয়নি।

চাকরিপ্রার্থীদের চাপে শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাচ্ছে না জবির পাঠাগারে!

পাঠাগারে আসা মার্কেটিং বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: রায়হান জানান, ‘অধিকাংশ শিক্ষার্থীর লক্ষ্য বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির বাজার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বই নেওয়ার সুযোগ না থাকায় চাপ বেড়েছে উন্মুক্ত পাঠাগারে।’

অপর শিক্ষার্থী দর্শন বিভাগের ১০ম ব্যাচের জুয়েল রানা বলেন, ‘দিনের অর্ধেক সময়ই বন্ধ থাকে পাঠাগার। ফলে সকালের মূল্যবান সময়ে আমরা পড়তে পারি না। দুইজন বসার বেঞ্চে তিনজন বসি তাও বই ব্যাগ নিয়ে।’ 

চাকরিপ্রার্থী ছাত্রদের চাপের কারণে অ্যাকাডেমিক পড়াশুনা করতে আসা শিক্ষার্থীরা সুযোগ পান না পাঠাগারে। পাঠাগার খোলার ১ ঘণ্টা আগে থেকেই সারি বেধে দাঁড়িয়ে থাকেন চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা। এমনকি ব্যাগ দিয়েও লাইনে জায়গা রাখতে দেখা যায় তাদের।

পাঠাগারের নাজুক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আতিয়ার রহমান বলেন, ‘পাঠাগারের রুমটি আমার বিভাগের অধীনে হলেও পাঠাগারের দায়িত্ব আমার না। আমরা পরীক্ষার আগে সবসময় নোটিশ দিই, কিন্তু শিক্ষার্থীরাই ছিড়ে ফেলে। প্রশাসন টাকা দিলে রুমটিতে পানির ব্যবস্থা করবো। বাথরুম ও অন্যান্য সমস্যার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কথা বললে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

পাঠাগারের পরিসর বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা আছে কি জানতে চাইলে, উপচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘উন্মুক্ত পাঠাগারে যারা পড়তে আসে তাদের ছাত্রত্ব নেই। নতুন ভবনের উপরের কাজ খুব দ্রুতই শেষ হবে। তখন কিছু রুম খালি হবে। ঐ রুমগুলোতে উন্মুক্ত পাঠাগার স্থাপন করা হবে।’

 

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা