জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম সমাবর্তনে অংশগ্রহণের রেজিস্ট্রেশনের সময় আজ মঙ্গলবার (৩০এপ্রিল) থেকে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আরও কিছুদিন সময় পাচ্ছে সমাবর্তনে অংশগ্রহণে আগ্রহীরা।
মঙ্গলবার ট্রেজারার অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রেজিস্ট্রেশনের সময় কতদিন পর্যন্ত বাড়ানো হবে তা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় তিনি বলেন, আমরা প্রথমবারের মত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সমাবর্তনে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ আজ থেকে শেষ হবার কথা থাকলেও আমরা তা বন্ধ করছি না। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত যোগ্য শিক্ষার্থীরা তাদের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। শেষ তারিখ কবে নাগাদ হবে আমরা তা ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সমাবর্তনটা প্রথমবার হচ্ছে। কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তবে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজারের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী সমাবর্তনের আবেদন করেছেন।
আবেদন করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী ভোগান্তিতে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠার ব্যাপারে সেলিম ভূঁইয়া বলেন, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হয়েছে। কীভাবে পেমেন্ট করতে হবে তা স্পষ্ট করে জানানোই হয়েছে। এটা কোনো সমস্যাই না, এটিকে সমস্যা বানানো হয়েছে।
ট্রেজারারের বক্তব্যের সাথে যুক্ত করে রেজিস্ট্রার ওহিদুজ্জামান বলেন, বিকাশে প্যামেন্ট মেসেজ আসেনা বা কনফার্ম হচ্ছেনা এটা বিকাশের সমস্যা, আমাদের না। পেমেন্ট দিলে তা কনফার্ম হয়েছে। তবে এরপরও কেউ সমস্যা মনে করলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, সমাবর্তনে জন্য প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডি ও সান্ধ্যকালীন ডিগ্রিধারী সকল শিক্ষার্থীরা যারা অন্তত একটি ডিগ্রি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন তারাই সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। স্নাতক/বিবিএ’র জন্য ৩ হাজার টাকা, সঙ্গে মূল সদন ফি ৪০০ টাকা। স্নাতকোত্তর/ এমবিএ’র জন্য ৪ হাজার টাকা, সঙ্গে মূল সনদ ফি ৪০০ টাকা। এমফিল ও পিএইচডির জন্য ৪ হাজার ৫০০ টাকা, সঙ্গে ৪০০ টাকা মূল সনদ ফি। আর সন্ধ্যাকালীন সব প্রোগ্রামের সনদের জন্য ৬ হাজার টাকা, সঙ্গে মূল সনদ ফি ৮০০ টাকা। এর সঙ্গে সবাইকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন ফি ও মূল সনদ ফির ১ শতাংশ হারে টাকা দিতে হবে। এই আবেদনের সময় নির্ধারন করা হয়েছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।