জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের এমএসসি ল্যাবরেটরি থেকে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার কেমিক্যাল গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কেমিক্যাল (রাসায়নিক দ্রব্য) গায়েব হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় প্রধান বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুকান্ত সাহা।
এবিষয়ে সুকান্ত সাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২টি প্রজেক্টের টাকায় আমরা এমএসসি ল্যাবরেটরিতে বেশ কিছু রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয় করি। এই প্রজেক্ট ২টির মধ্যে একটি আমার ও আরেকটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাসনা হেনা বেগম ম্যামের। প্রজেক্টের কাজ শেষে ১৯টি রাসায়নিক দ্রব্য অবশিষ্ট থেকে যায়। যা পরবর্তীকালে অন্য শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করার কথা। কিন্তু হঠাৎ করেই ল্যাব থেকে ১০টি রাসায়নিক দ্রব গায়েব হয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকার বেশি। এজন্য সেদিনই আমি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন দেই।
এদিকে আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৮ এপ্রিল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাকি দুজন হলো সহকারী অধ্যাপক এ. এম. এম গোলম আদম ও ড. মোহাম্মাদ আলী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার বলেন, গত ১৮ এপ্রিল ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি হঠন করা হয়। কিন্তু গত ৩০ তারিখ আমি এই তদন্ত কমিটিতে কাজ করব না বলে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি।
এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে নতুন করে বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেনকে তদন্ত কমিটিতে রাখা হয়েছে। আবার তিনি বিভাগে রাসায়নিক দ্রব্য নিরাপত্তা কমিটিরও প্রধান।
রাসায়নিক দ্রব্য গায়েব হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে সামনা সামনি কথা বলব।
তদন্ত কমিটির আরেক সদস্য সহকারী অধ্যাপক এ. এম. এম গোলম আদম বলেন, বিভাগের এমন একটি ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। তবে এটা স্থানান্তরও হতে পারে। আমরা বিভাগের স্বার্থেই নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখব। যেহেতু আমাদের পূর্বের কমিটির একজন সদস্য নেই। সেখানে নতুন সদস্য এসেছে। তাই তদন্ত একটু বেশি সময় লাগবে। আমরা দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে ফলাফল জানাব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক হাসনা হেনা বেগম বলেন, এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে এটা চুরি নাকি রাসায়নিক দ্রব্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তর এটা বলা যাচ্ছে না। তাই আমরা তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এই কমিটিকে আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এখনো সময় শেষ না হওয়ায় তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাইনি। তদন্ত রির্পোট হাতে পেলেই স্পষ্ট করে বলা যাবে। গত ৩০ এপ্রিল তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার পদত্যাগ করায় আমার নতুন করে অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেনকে দ্বায়িত্ব দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ট্রেজারার অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি।