রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রথম প্রশাসনিক ভবন বড়কুঠি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা। হস্তান্তরের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান।
মাববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রশাসনিক ভবন ছিল বড়কুঠি। এই ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি সরকারের একটি মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করা অন্যায্য ও হঠকারী সিদ্ধান্ত। কয়েকজন সদস্যের আপত্তি সত্ত্বেও কেন সিন্ডিকেট সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে বোধগম্য নয়।
তারা আরও বলেন, অনেকে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শোনেনি। শিক্ষক সমিতিও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানাই।
রাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি রাশেদ রিমন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাফিল আলম, দপ্তর সম্পাদক অন্তু বিশ্বাস বক্তব্য দেন। কর্মসূচিতে সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ে ২০-২৫ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯১ তম সিন্ডিকেটে বড়কুঠি সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে মালিকানা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।