বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যালিপ্যাডে এক বর্ণাঢ্য র্যালি উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনের শুরু করা হয়।
এতে অংশ নেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানসহ সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী , রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যরা।
র্যালিটি হ্যালিপ্যাড চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদে মাৎস্য খামারের সহযোগিতায় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে জার্মপ্লাজম সেন্টারের সহযোগিতায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বনজ ও ফলজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়। দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদ ও উপাসনালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস বাস্তবায়ন উপ-কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান।
এসময় উপাচার্য বলেন, ‘বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করার যে চ্যালেঞ্জ আমরা হাতে নিয়েছিলাম তাতে আমরা জয়লাভ করেছি। বর্তমানে আমরা দেশ থেকে খাদ্য রফতানি করতে সক্ষম হচ্ছি। এটা সম্ভব হয়েছে বাকৃবির ৪৭ হাজার গ্রাজুয়েটদের সমন্বয়ে। তবে বর্তমানে দেশে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা যেমন দেশে ক্ষুধা-মঙ্গার অবসান ঘটিয়েছি তেমনি আমরাই একদিন পারব মানুষের মাঝে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে।’