X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘অভিন্ন নীতিমালা’ প্রত্যাখ্যান করে সিকৃবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

সিকৃবি প্রতিনিধি
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৩৫আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৯
image

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষকরা। আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সিকৃবি শিক্ষক সমিতি এ নীতিমালা প্রত্যাখান করে মানববন্ধনের আয়োজন করে।

‘অভিন্ন নীতিমালা’ প্রত্যাখ্যান করে সিকৃবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে বৈশাখী চত্বর পর্যন্ত এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিঞা, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. জীতেন্দ্রনাথ অধিকারী, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মিঠু চৌধুরী, প্রফেসর ড. আব্দুল বাসেত, প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড, প্রফেসর ড. এ এফ এম সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতাবৃন্দ।
শিক্ষক নেতারা অভিন্ন নীতিমালার নামে ভিন্ন ভিন্ন ভাগে বিভক্ত নীতিমালাকে একপেশে, বিদ্বেষমূলক, বিভ্রান্তিকর, ও অসংগতিপূর্ণ বলে আখ্যা দেন। তারা আরও দাবি করেন, ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোনও শিক্ষক প্রতিনিধি না রেখেই এ নীতিমালা করে।
নীতিমালায় বর্ণিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মঘণ্টা হিসেব করে মর্যাদা প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো ও গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি না করে পদোন্নতির জন্য উচ্চ ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর সমন্বিত জার্নালে প্রকাশনা চাওয়া অযৌক্তিক, অসম্মানজনক ও হাস্যকর বলে অভিমত দেন তারা।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জীতেন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অযৌক্তিক শর্তে বেড়াজালে বহুধা বিভক্তি নীতিমালাকে অভিন্ন নীতিমালা বলে চালিয়ে দিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নকে গলা টিপে হত্যা করার পরিকল্পনা বলে আমাদের সমিতি মনে করে। অভিন্ন নীতিমালার নামে কালো নীতিমালা অবিলম্বে বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ ও সর্বজন গ্রাহ্য শিক্ষকমন্ডলীর মধ্য থেকে একটি কমিটির মাধ্যমে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও ত্রুটিহীন নীতিমালা তৈরি পূর্বক বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন মিঞা তার বক্তব্যে বলেন, ‘ইউজিসির অভিন্ন নীতিমালার নামে বিভাজনমূলক নীতিমালা এবং বিশেষ করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আইন প্রণয়ন কোনওভাবেই কাম্য নয়।’

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
লাগাতার তাপদাহে যশোরে জনজীবন দুর্ভোগে
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ