X
সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
৩০ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ লুৎফর রহমান গবেষণা কেন্দ্রের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:২২আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৫

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৈত্রিক নিবাস গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত ‘শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র’র নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

পরিদর্শনকালে তিনি জনগুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট মেয়াদে সম্পন্নের জন্য প্রকল্প পরিচালক, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী, ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

এসময় প্রকল্প পরিচালক মোছা. সুস্মিতা ইসলাম, গোপালগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আজহারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী পরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রতিমন্ত্রী এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন। শেখ লুৎফর রহমান গবেষণা কেন্দ্রের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রতিমন্ত্রী এর আগে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের প্রশাসনিক ভবনে যান এবং সেখানে বিশ্রামাগারে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে তার মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।

উল্লেখ্য, গণগ্রন্থাগার অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন 'শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪.২৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের সংশোধিত মেয়াদ ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দু'দিনের গোপালগঞ্জ সফরের শেষ দিনে টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে 'শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র'র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এরপর গত ১৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাবার স্মৃতি সংরক্ষণার্থে গোপালগঞ্জস্থ পারিবারিক জমির উপর একটি আধুনিক গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-কর্ম, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাভিত্তিক বই সংগ্রহের মাধ্যমে পাঠক, গবেষক, তথ্য আহরণকারী ব্যক্তিরাসহ সর্বসাধারণের জন্য একটি আধুনিক বিশেষ গ্রন্থাগার ব্যবস্থা চালু করা। বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব, কৈশোর, পারিবারিক স্মৃতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন-কর্ম, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা জানার সুযোগ সৃষ্টি করা।

/এসআই/এমএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরি: মামলার প্রতিবেদন ফের পেছালো
৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরি: মামলার প্রতিবেদন ফের পেছালো
যেভাবে বরণ করা হবে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে
যেভাবে বরণ করা হবে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে
তীব্র গরমে চলছে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোট
তীব্র গরমে চলছে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোট
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ভাতিজার সঙ্গে ‘সম্পর্ক ছিন্ন’ করলেন সালাম মুর্শেদী
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ভাতিজার সঙ্গে ‘সম্পর্ক ছিন্ন’ করলেন সালাম মুর্শেদী
সর্বাধিক পঠিত
পাস করা ছাত্রছাত্রীদের ডিপ্লোমায় ভর্তির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
পাস করা ছাত্রছাত্রীদের ডিপ্লোমায় ভর্তির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশ আর কার্যকর নেই: শিক্ষামন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশ আর কার্যকর নেই: শিক্ষামন্ত্রী
বোন রেহানাকে নিয়ে নিক্সন চৌধুরীর বাসায় শেখ হাসিনা
বোন রেহানাকে নিয়ে নিক্সন চৌধুরীর বাসায় শেখ হাসিনা
রাজধানীতে ব্যবসায়ী দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাজধানীতে ব্যবসায়ী দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ঈদের পর শনিবার স্কুল খোলা থাকছে না
ঈদের পর শনিবার স্কুল খোলা থাকছে না