X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘের রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করতে চায় সরকার

শেখ শাহরিয়ার জামান
২৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৯আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৯

২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা ঢল শুরু হয়। এরপর থেকেই তাদের নিয়ে সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তা, সামাজিক, পরিবেশগত ও আরও বিভিন্ন ধরনের সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ। বেপরোয়া রোহিঙ্গারা বিভিন্ন উপায়ে এখন বাংলাদেশি পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করছে, যা দেশের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকি।

এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে রোহিঙ্গারা যাতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা জন্মনিবন্ধন করতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছে রক্ষিত রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করতে চাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে সহায়তা করার জন্য ইতোমধ্যে জাতিসংঘের ওই সংস্থা প্রাথমিক সম্মতিও দিয়েছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প (ফাইল ছবি)

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কাছে রোহিঙ্গাদের যে ডাটাবেজ আছে সেটি ব্যবহার করতে চায় সরকার এবং এর মাধ্যমে রোহিঙ্গারা যাতে কোনও ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে চায়।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজ রয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছে এবং তাদের ওই তথ্য ব্যবহার করা সম্ভব হলে রোহিঙ্গাদের পক্ষে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না।’ তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে কয়েক মাসের ভেতরেই ডাটাবেজ ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

কী আছে ডাটাবেজে

২০১৭ সালের আগস্ট মাসের রোহিঙ্গারা যখন আসা শুরু করে তখন বাংলাদেশের ডিপার্টমেন্ট অব ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট এবং জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা যৌথভাবে রোহিঙ্গা ডাটাবেজ তৈরির একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রায় সাত লাখের মতো রোহিঙ্গার ডাটাবেজ তৈরি করার পরে সেটি জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন থেকেই ওই সংস্থা এই ডাটাবেজ আপডেট করার কাজ করছে। বর্তমানে প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গার দশ হাতের আঙুলের ছাপ এবং চোখের রেটিনার স্ক্যান করা আছে জাতিসংঘ সংস্থাটির কাছে।

কী কাজে ডাটাবেজটি ব্যবহার করা হবে

বর্তমানে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এটি প্রতিরোধ করতে চাই এবং এর জন্য আমাদের প্রয়োজন রোহিঙ্গা ডাটাবেজ। যেহেতু জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছে ওই ডাটাবেজটি আছে এবং তারা প্রতিদিন এটি আপডেট করে। আমরা এটি ব্যবহার করার জন্য ইতোমধ্যে তাদের অনুরোধ জানিয়েছি। তারা আমাদের সহায়তা করতে রাজি আছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প (ফাইল ছবি)

ওই ডাটাবেজটি জেনেভায় একটি সার্ভারে রক্ষিত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এখন খুঁজে বের করতে হবে ওই ডাটাবেজটিকে বাংলাদেশের যে সিস্টেম রয়েছে, সেটির সঙ্গে কীভাবে কাজ করানো সম্ভব।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। তাদের কোনোভাবেই বাংলাদেশে কোনও ধরনের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে দেওয়ার কোনও সুযোগ তৈরি হোক, এটি সরকার চায় না। সে কারণে আমরা প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের সব দরজা বন্ধ করে দিতে চাই।

/এফএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি, মিয়ানমারে ফেরত যাবেন ২৮৮ জন
সর্বশেষ খবর
একসঙ্গে এই অভিনেতারা...
একসঙ্গে এই অভিনেতারা...
প্যারিস অলিম্পিকে ফিলিস্তিনি অ্যাথটলেটদের আমন্ত্রণ জানাবে আইওসি
প্যারিস অলিম্পিকে ফিলিস্তিনি অ্যাথটলেটদের আমন্ত্রণ জানাবে আইওসি
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
ঘামে ভেজা চুলের যত্নে কী করবেন
ঘামে ভেজা চুলের যত্নে কী করবেন
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই