X
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
৩১ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ নেই, তাই রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১১:৩৯আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১১:৩৯

রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান (ফাইল ছবি) পুলিশ না পাওয়ায় আবারও থমকে গেছে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেছেন, পুলিশ না পেলে বড় ধরনের উচ্ছেদ কর্মসূচি পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

জানা গেছে, এবার উচ্ছেদের জন্য ৫ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযান কর্মসূচি ঠিক করেছে রাজউক। এই কর্মসূচিতে সহায়তার জন্য রাজউকের পরিচালক (যুগ্মসচিব) দুলাল কৃষ্ণ সাহার স্বাক্ষরে ৩০ আগস্ট ঢাকা মহানগর পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে অভিযান কর্মসূচি যুক্ত করে প্রতিটি অভিযানের জন্য এক প্লাটুন করে পুলিশ চাওয়া হয়। পাশাপাশি কিছুসংখ্যক নারী পুলিশও চাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ না পাওয়ায় অভিযান আর শুরু করা যায়নি।

রাজউকের পরিচালক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা পুলিশের অপেক্ষায় আছি। পুলিশ পেলেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। পুলিশ না পাওয়া গেলে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

সংস্থাটির অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ৩ অক্টোবর থেকে অভিযান শুরুর পরিকল্পনা করেছে রাজউক। এ জন্য আবারও পুলিশ চাওয়া হয়েছে।

রাজউকের উচ্ছেদ কার্যক্রমে পুলিশের সহায়তা কেন পাওয়া যায়নি সে সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে রাজউকের প্রয়োজনে পুলিশ দেওয়া হবে। তবে সেজন্য পুলিশ বিভাগকে সময় দিতে হবে।

জানা গেছে, গুলশান হামলার পর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীর আবাসিক এলাকা থেকে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক। এ জন্য একযোগে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনার কর্মসূচি তৈরি করা হয়। প্রথমে ২৩ জুলাই ছিল উচ্ছেদের নির্ধারিত দিন। কিন্তু পুলিশ না পাওয়ায় সে অভিযান স্থগিত করা হয়। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। ফলে ২৫ জুলাই শুরু হয় অভিযান। চলে আগস্ট মাসজুড়ে। অভিযানের মাধ্যমে বেশ কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় রাজউক।

জানা গেছে, প্রাথমিক তালিকায় এক হাজার ৬২৫টি অবৈধ স্থাপনার মধ্যে গুলশান-বারিধারা জোনে রয়েছে ৫৫২টি, উত্তরা জোনে ২১৫টি, মিরপুর জোনে ৫৮০টি, ধানমণ্ডি-লালবাগ জোনে ১৭৩টি এবং মতিঝিল-খিলগাঁও জোনে ১০৫টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে স্কুল, কলেজ, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, গেস্ট হাউস, বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার, ফিটনেস সেন্টার, স্পা, বিউটি পার্লার, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, ক্লিনিক, কোচিং সেন্টার, বুটিকের দোকান প্রভৃতি।

আরও পড়ুন- 

‘আমাদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় নেই’
‘জীবিত পাই নাই, লাশটাও ফেরত পাইলাম না’

/ওএফ/টিএন/আপ-এফএস/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইউনিয়ন ব্যাংক ও মেডর‌্যাবিটস হেলথকেয়ারের চুক্তি স্বাক্ষর
ইউনিয়ন ব্যাংক ও মেডর‌্যাবিটস হেলথকেয়ারের চুক্তি স্বাক্ষর
নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতাকে শোকজ
নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতাকে শোকজ
শিক্ষার্থীকে মারধর করে শিক্ষক বললেন, ‘শাসন করেছি’
শিক্ষার্থীকে মারধর করে শিক্ষক বললেন, ‘শাসন করেছি’
বিমানবন্দর ও টঙ্গী থেকে ৭ ছিনতাইকারী গ্রেফতার
বিমানবন্দর ও টঙ্গী থেকে ৭ ছিনতাইকারী গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
ফুটপাত থেকে দোকান ছড়িয়েছে প্রধান সড়কে, আসছে নতুন পরিকল্পনা 
ফুটপাত থেকে দোকান ছড়িয়েছে প্রধান সড়কে, আসছে নতুন পরিকল্পনা 
আমরা সুন্দর একটি সম্পর্ক মেন্টেইন করি: জয়া আহসান
বাংলা ট্রিবিউনের দশম বর্ষপূর্তিআমরা সুন্দর একটি সম্পর্ক মেন্টেইন করি: জয়া আহসান
জাতীয় দলে খেলতে গেলে সাপোর্ট লাগে: ইমরুল  
জাতীয় দলে খেলতে গেলে সাপোর্ট লাগে: ইমরুল  
যেভাবে বরণ করা হবে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে
যেভাবে বরণ করা হবে এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিককে
ইয়াহিয়া সিনওয়ার: যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন, শেষও কি তার হাতে?
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনইয়াহিয়া সিনওয়ার: যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন, শেষও কি তার হাতে?