আশুলিয়ায় একটি বাসা বাড়িতে টানা ছয় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে নয়টার দিকে অভিযান শেষ করেছে র্যাব সদস্যরা। এসময় জেএমবির অর্থদাতা আব্দুর রহমান আয়নুলসহ (৩৫) তিনজনকে আটক করা হয়। এছাড়াও ওই বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি, নগদ ৩০ লাখ টাকা, ৫টি ছুরিসহ বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে আশুলিয়ার বসুন্ধরাটেক এলাকার আমির মৃধা শাহিনের বাড়ির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ ।
আটককৃতরা হচ্ছে, জঙ্গি আব্দুর রহমান আয়নুল (৩৫), তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুমি, ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী তারেক।
র্যাব সূত্র জানান, প্রায় দুই বছর যাবৎ আটককৃত জঙ্গিকে অনুসরণ করছিল র্যাব সদস্যরা। আব্দুর রহমান কয়েক দিন পর পর বিভিন্ন এলাকায় বাসা পরিবর্তন করায় তাকে গ্রেফতার করতে বিলম্ব হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে র্যাবের একটি দল আশুলিয়ার বসুন্ধরাটেক এলাকার আমির মৃধা শাহিনের বাড়িতে অভিযান শুরু করে।
এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বাড়ির ৫ তলার গ্রিল কেটে লাফিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তিনি। তবে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুত্বর আহত হয়ে পড়লে র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করে।
এসময় র্যাবের সদস্যরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালিয়ে বিদেশি অস্ত্র, নগদ টাকাসহ বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। র্যাব সদর দফতরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার কমান্ডার মুফতি মাহমুদ বলেন, আটককৃত জঙ্গি সদস্য অর্থ সরবরাহ করতেন।
অন্যদিকে শনিবার বিকেলে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকার রানা মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় ঢাকা কাউন্টার টেররিজিম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ইসেপেক্টর মনিরুল ইসলামের একটি দল ও আশুলিয়া থানা পুলিশের যৌথ একটি দল।
এসময় ওই বাড়ির ৫তলা থেকে সোহাগ নামের এক জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাশের অপর একটি বাড়ি থেকে জুয়েলকে আটক করে পুলিশ।তার কাছ থেকে চাপাতি, বিদেশি অস্ত্র ও ছয় রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই ও বিপুল টাকা উদ্ধার করা হয়। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
/এইচকে/