বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব বেশিদিন আগে শিক্ষকতা শুরু না করলেও সহকর্মীদের কাছে শিক্ষিকা রাবেয়া কুলসুম পিংকী ছিলেন খুবই ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের। অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছিলেন। শান্ত-ভদ্র সহকর্মী ও প্রিয় শিক্ষিকার এভাবে চলে যাওয়ায় সবার মনে একটাই প্রশ্ন ‘কেন এমন করলেন?’
মঙ্গলবার বাড্ডায় ভাড়া বাসা থেকে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক পিংকীর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের ধারণা, আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ফারজানা আক্তার বাংলা ট্রিবিউন প্রতিবেদককে বলেন, ‘রাবেয়া ছিল আমাদের কলিগদের মধ্যে খুবই নবীণ। মাত্র দুই থেকে তিন সেমিস্টার আগে ইস্ট ওয়েস্টে জয়েন করেছে। ক্লাস আর কাজের ফাঁকে রাবেয়াকে যতটুকু দেখেছি সে খুবই ভদ্র। সব সময় তার মধ্যে হাসি খুশি অর্থাৎ লাইট ও জেন্টেল ভাব ছিল। এমনভাবে চলে যাবে এটা আমরা কেউই ভাবতে পারিনি। এভাবে চলে যাওয়া খুবই কষ্টকর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ক্লাস আর কাজের বাইরে টিচারদের মধ্যে একসঙ্গে বসে আড্ডা বা সময় কাটানোর সুযোগ কম। সেই অর্থে তাকে আমরা খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ কম পেয়েছি। যতটুকু দেখেছি ভালো বলে মনে হয়েছে।’
মৃত্যুর আগে মঙ্গলবার রাত ১২টায় পিংকী তার ফেসবুক ওয়ালে ‘সবাইকে ধন্যবাদ’ লিখে পোস্ট দেন। এরপরই শুরুতে কমেন্টে কেন ধন্যবাদ জানানো হলো তা জানতে চায় অনেকে। পরবর্তীতে মারা যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে ঘুরেফিরে সবাইকে একই প্রশ্ন করতে দেখা গেছে। ‘কেন এমন করলেন?’
পোস্টের নিচে তাবাসসুম রাইসা নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘অনেক জ্বালাইছি ম্যাম, মাফ কইরা দিয়েন। আফসোফ ক্লাস পার্টিতে যাই নাই। অনেক ডিসটার্ব করছি ক্লাসে। মাফ করে দিয়েন।’
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পিংকীর আত্মহত্যা করছে। কিন্তু কেন করেছেন এ বিষয়ে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভিসেরা রিপোর্টে আটকে যায় তদন্ত!
/আরজে/এসটি/