আওয়ামী লীগের দু’দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন রবিবার (২৩ অক্টোবর) কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরদের বাইরে আর কারও এতে অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকায় রাজপথ অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পাশের কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
রমনা কালি মন্দির গেটে দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক পুলিশের এসআই কামরুজ্জামান বলেন, ‘আজ সম্মেলনের লোকজন এমনিই কম। এ কারণে দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসির পর্যন্ত রাস্তার একাংশ ছেড়ে দিয়েছি। স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করছে সেখানে।’
মূল অনুষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হওয়ার কারণে শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত রাস্তার একাংশ বন্ধ রয়েছে। কাউন্সিলে যোগদানকারীরা সেই অংশ দিয়ে চলছে। অন্য পাশ দিয়ে সাধারণ যানবাহন চলাচল করছে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট সামসুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সম্মেলনে যারা আসছে তাদের গাড়িগুলোকে আমরা সুশৃঙ্খলভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যানজট যাতে না হয় সেজন্য কোনও বাস-মিনিবাস মৎস ভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত চলতে দেওয়া হচ্ছে না।’
এর আগে শনিবার (২১ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সকালের দিকে সম্মেলন সংলগ্ন এলাকায় ছিল ভিন্ন ভোগান্তির চিত্র। সকাল ৯টার দিকে গুলিস্তান মোড়ের যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য যানবাহনকে ট্রাফিক পুলিশ দোয়েল চত্বর হয়ে নিউমার্কেটের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশ অনুযায়ী দোয়েল চত্বরে গিয়ে সব গাড়ি আটকে যায়। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মিছিল করে সম্মেলনস্থলে যাওয়ার কারণেও শাহবাগ, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, হাতিরপুল এসব এলাকা সকালবেলা যান চলাচলে সমস্যা হয়, ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
তবে এ দিন রাজপথে গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকায় রাজধানীর বাকি অংশ প্রায় ফাঁকা ছিল। ট্রাফিক পুলিশ পূর্ব ঘোষণা দিয়ে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ডাইভারশন করায় যানজটের আশঙ্কায় ঘর থেকে বের হননি অনেকে। ফলে রাস্তায় প্রাইভেট কারের সংখ্যা ছিল বেশ কম। তবে যাত্রীবাহী বাসও নির্ধারিত গন্তব্যে না চলায় সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আরও পড়ুন-
সম্মেলনে আজ যা যা হবে
জয়কে আ.লীগের নেতৃত্বে চায় তৃণমূল
/ওএফ/এফএস/