X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে বিশেষ উদ্যোগ সরকারের

এস এম আব্বাস
০২ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:৩৪আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:৩৭

বাংলাদেশ সরকার দেশে খাদ্য ঘাটতি না থাকলেও ঠিকমতো তার সুফল পায় না কৃষক। সরকারের দেওয়া কৃষি প্রণোদনাও ঠিকমতো পৌঁছে না তাদের হাতে। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয় কৃষককেই। এ কারণে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে পারছেন না কৃষক। ফলে পুষ্টিমানসমৃদ্ধ খাদ্যশস্য চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় চাষিদের হাতে সরাসরি প্রণোদনা পৌঁছে দেওয়াসহ কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বাংলা টিবিউনকে বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনা কৃষকের হাতে ঠিকমতো পৌঁছানোসহ উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কৃষকের প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পুরো ব্যবস্থা মনিটরিং করবে মাঠ প্রশাসন।’
গত ২৩ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদের দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারের ধারাবাহিক বিশেষ উদ্যোগ ও কর্মসূচির ফলে ইতোমধ্যেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
এছাড়া পুষ্টিমানসমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদন, পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ উদ্যোগ, অনাবাদি জমি আবাদ করার ক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। এ জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেওয়া ১৪টি নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে:

  • উৎপাদন বাড়াতে অনাবাদি ও পতিত জমি চাষের ব্যবস্থা করা। 
  • অকৃষিকাজে কৃষি জমির ব্যবহার রোধ কার্যকর করা।
  • সরকারের দেওয়া বিভিন্ন প্রণোদনা কৃষদের হাতে সঠিকভাবে পৌঁছানো নিশ্চিত করা।
  • কৃষকের উৎপাদিত শস্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার জন্য বাজার ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার পাইকারি ও খুরচা বাজার, অ্যাসেম্বল সেন্টার, প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র ও বিশেষায়িত হিমাগার মনিটরিং করা।
  • বরেন্দ্র এলাকায় সেচকাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে পাতকুয়া স্থপান করা।
  • মৌ-চাষের জন্য মৌ-চাষিদের বাক্স নির্বেঘ্নে পরিবহন সহায়তা দেওয়া।
  • উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততাসহিষ্ণু ধান ও জলমগ্ন এলাকার জন্য নতুন ধানের জাত এবং খরাপীড়িত এলাকায় খরা-সহিষ্ণু ধান, গম, সরিষা, আলু তিলসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ সম্প্রসারণে কৃষককে উৎসাহিত করা।
  • উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় নারিকেল উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে ভিয়েতনাম ও কেরালা থেকে খাটো জাতের নারিকেল চাষের জন্য উপকূলীয় এলাকাকে প্রাধান্য দেওয়া।
  • সমন্বিত রোগবালাই ব্যবস্থপনার বিষয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করা।
  • দেশের বাজারে ফুলের বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।
  • দেশের হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলের নিম্নভূমিতে ভাসমান সবজি ও মসলা উৎপাদনে প্রযুক্তি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া।
  • কৃষি কাজে যান্ত্রিকীকরণে সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া।
  • জনগণের খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সচল রাখা।  

 /এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা