নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৩১ (ক) ধারা অনুযায়ী মামলা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান আছে। যদি ওই বিধান প্রতিপালন করা না হয়, তাহলে কেন ওই সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি হলো না, তার জবাবদিহিতার বিধান রয়েছে। কিন্তু বিচারক, পিপি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৬ বছরেও এ ধরনের কোনও ব্যাখ্যা সুপ্রিম কোর্ট ও সরকারের কাছে দাখিল করেনি।
বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও আইন মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে পিপি ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দেবেন, তা প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে মিলাদ হোসেন নামের ব্যক্তিকে জামিন না দিয়ে, তার মামলাটি ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। যিনি গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকেই কারাগারে আছেন। ওই বছরের শেষের দিকে মামলাটি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারের জন্য যায়। চলতি বছরের ২১ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
অভিযোগ গঠনের পর সাত মাসেও কোনও সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আইনানুযায়ী মামলাটি ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হওয়ায়, আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী কুমার দেবলু দে।
গত ১ নভেম্বর ওই জামিন আবেদনের শুনানিকালে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে, আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে, দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান প্রতিপালন করা হয়েছে কিনা, তা প্রতিবেদন আকারে অবহিত করতে সরকারকে নির্দেশ দেন।
/ইউআই /এপিএইচ/