জামায়াত প্রভাবিত প্রশাসনের কারণে সংখ্যালঘুরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নাসিরনগর ও গোবিন্দগঞ্জের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীজনিত নিরাপত্তা সংকট’ সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
তিনি দাবি করেন, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জামায়াতের উপস্থিতি ও প্রচলিত আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিচার হচ্ছে না। ন্যায়বিচার পাচ্ছে না নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা।
শাহরিয়ার কবির বলেন, আমরা ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নসহ জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং আলাদা সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে আইনমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু কোনও অগ্রগতি হয়নি।
জামায়াত প্রভাবিত প্রশাসনের কারণে ২০১২ সালে রামুতে সংঘঠিত সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি বলেও সমালোচনা করেন তিনি।
নাসিরনগর ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নাসিরনগরে মাদ্রাসা থেকে মৌলীবাদীরা ও হেফাজতিরা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়েছে। ব্যবহার করেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে। কিন্তু, তার তদন্ত ও বিচার নিয়ে টালবাহানা চলছে।
রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াত ও পাকিস্তান মিলে রোহিঙ্গাদের ব্যবহারের চেষ্টা করছে। জামায়াত রোহিঙ্গাদের তালিকা করে জিহাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে।
ইসলামী ব্যাংক এই জিহাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে উল্লেখ করে তিনি অবিলম্বে সরকারকে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানান। ব্যাংকটিকে জামায়াতের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার দাবিও জানান তিনি। পাশাপাশি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানান তিনি।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য আরমা দত্ত, কলামিস্ট মাহবুবুর রশিদ, লেখক আলী আকবর প্রমুখ।
/আরএআর/টিএন/