নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে নতুন ইসি গঠন নিয়ে আলোচনা শেষে দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির কাছে নিজেদের তুলে ধরা প্রস্তাব প্রসঙ্গে আবদুর রব বলেন, ‘নির্বাচনের পূর্বে উচ্চকক্ষ (প্রস্তাবিত) নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পর সে সরকারের পরামর্শ মোতাবেকই নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান করতে হবে। একইভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন কাঠামো ও ক্ষমতাও নির্ধারিত হবে।’
জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘যেহেতু সংবিধানে সুনির্দিষ্ট আইনের কথা বলা হয়েছে, সেক্ষেত্রে আইন ছাড়াই রাষ্ট্রপতি ইসি গঠন করে ফেললে আদালতে রিট করলে তা বাতিল করা হবে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির মতো একজন অভিবাবক বিতর্কিত হয়ে পড়বেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি আমাদের কথা অত্যন্ত মনোযোগ ও গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি সরাসরি কোনও বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেননি।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় জেএসডি নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে গুরুত্ব দিয়েছে। এ সময় রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া প্রস্তাবে তিনটি ধারায় মোট ১০টি সুপারিশ করেছে জেএসডি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে পার্লামেন্টে উচ্চকক্ষ গঠন করে সেখান থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা এবং চলতি সংসদের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের (১) ধারা মোতাবেক ক্ষমতা প্রদান করে ইসি গঠন।
এর আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নতুন ইসি গঠন নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলে অন্য সদস্যরা হলেন— দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ গোফরান, সহ-সভাপতি তানিয়া ফেরদৌসী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম ফারুক, মো. সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, দবির উদ্দিন জোয়ার্দার, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান মাস্টার ও এস এম আনছার উদ্দিন।
/এসটিএস/এমডিপি/টিআর/