X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাতে ঢাবির ফুটপাতে মাদকসেবীদের আনাগোনা, দেখার কেউ নেই

রাফসান জানি
২১ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:৩৩আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:১২

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফুটপাতে মাদকসেবীরা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাতে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করা হলেও থেমে নেই মাদকের কারবার। আগে সন্ধ্যার পর উদ্যানের ভেতরে মাদকের আসর বসলেও এখন ফুটপাতেই বসছে আসর বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে ঘুরে এ অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সন্ধ্যা হলেই চারুকলা থেকে টিএসসির মোড় হয়ে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত উদ্যান ঘেঁষা ফুটপাতে মাদকসেবীদের আনাগোনা শুরু হয়। রাত বাড়তে থাকলে জমতে থাকে আসর। তবে এ নিয়ে খুব একটা মাথাব্যাথা নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের।

সন্ধ্যার পর গাঁজার গন্ধে ফুটপাত দিয়ে চলা দায় হয়ে যায়। চোখে পড়বে পাঁচ থেকে সাতটি ছোট ছোট জটলা। এসব জটলায় বসে প্রকাশ্যেই মাদক সেবন করতে দেখা যায় অনেককে। উদ্যানের ভেতর থেকে ক্রেতাদের কাছে মাদক বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। তবে একটু স্বস্তিতে ও নীরবে মাদক সেবনের জন্য রাতে উদ্যানের নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যদের টাকা দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর যান অনেকে।

ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নিয়াজ মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সন্ধ্যার পর গাঁজার গন্ধে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা যায় না। শিক্ষার্থীদের জন্য এটা খুবই বিব্রতকর।’

রাতে ঢাবির ফুটপাতে মাদকসেবীদের আনাগোনা, দেখার কেউ নেই

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোতাকাব্বির খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর ফুটপাতে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা ও সেবনের  বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে শাহবাগ থানা পুলিশকে বিষয়টি একাধিকবার জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে।’

সম্প্রতি রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাতে কেউ উদ্যানের ভেতর প্রবেশ করতে পারে না। তবে দুই একজন  বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিলে তাদের আটকানো যায় না।’

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এ এম আমজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মাদকের আসর বন্ধ করতে ক্যাম্পাসে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে মাদকসেবীদের আটক করি। কিন্তু সুযোগ পেলে তারা আবারও বসে। কারণ মাদকের সহজলভ্যতা। তাই আগে মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।’

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর মাদকের আসর বন্ধ করতে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। তবে ব্যস্থতার কারণে অভিযান বন্ধ থাকলে ওইদিন আবারও আসর বসে। তবে আমরা এ বিষয়েও সতর্ক আছি।’

আরও পড়ুন: ১১ দিন পর ফিরেছেন সাদুল্যাপুরে নিখোঁজ আ.লীগ নেতা প্রিন্স ও যুবদল নেতা শাপলা

/এসএনএইচ/এসটি/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা