এক ভোজনকারীর মুখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের সাউথ ওয়েলস-এর একটি রেস্তোরাঁর পাচক কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, খাবার নিয়ে অভিযোগ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ভোজনকারীর মুখে বাংলাদেশি রাঁধুনি মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারেন তিনি। গ্রেফতারকৃত কামরুল রোনডা ভ্যালির টনিপ্যান্ডি শহরের প্রিন্স অব বেঙ্গল রেস্তোরাঁর প্রধান পাচক।
কামরুল মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আত্মরক্ষা করতেই এটা করেছি। আমাদের সিসিটিভি ফুটেজেই তা দেখা যাবে। আমি খুশি যে পুলিশ ফুটেজ দেখছে। আমি শুধু নিজেকে রক্ষা করছি।’
রেস্তোরাঁ থেকেই কামরুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জামিনে মুক্ত হন তিনি। চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত তার জামিন বহাল থাকবে।
স্থানীয়ভাবে ‘ক্যাম’ নামে পরিচিত কামরুল আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, ‘মরিচের গুঁড়া লাগলে চোখে ও শরীরে জ্বালা করে ঠিকই, কিন্তু এটা প্রাণঘাতী নয়। ১৮ বছর ধরে আমি এই রেস্তোরাঁ চালাচ্ছি। আগে কখনও এমন কিছু করিনি। এই ঘটনায় আমি ভীষণ হতাশ।’
গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) সাউথ ওয়েলস পুলিশ ঘটনাটি তদন্তের বিষয় নিশ্চিত করে। পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, সাধারণ হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই ব্যক্তি জামিনে আছেন, তদন্ত চলছে।
মরিচের গুঁড়ায় আহত ডেভিড ইভান্সকে রেস্তোরাঁ থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি স্ত্রী মিশেলকে নিয়ে রাতের খাবার খেতে ওই রেস্তোরাঁয় যান। খাবার খাওয়ার সময় এক হোটেলকর্মী তাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, খাবার ভালো হয়েছে কিনা। জবাবে ডেভিড দম্পতি বলেন, খাবার শক্ত ও রাবারের মতো। হোটেলকর্মী এ অভিযোগ প্রধান পাচক কামরুলকে জানান।
মিশেল বলেন, ‘প্রধান পাচক এক গামলা মরিচের গুঁড়া নিয়ে আমাদের কাছে এসে ডেভিডের মুখে ছুড়ে মারেন। ডেভিড ভেবেছিলো সে অন্ধ হয়ে গেছে। সে বুঝতেই পারছিলো না কেন তার মুখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারা হয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় কাঁপছিলো ডেভিড।’
মিশেল আরও বলেন, ‘মরিচের গুঁড়া লেগে ডেভিডের হাত ও বুকের চামড়া জ্বলে গেছে।’
তিনি জানান, তার স্বামী এখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
/এএ/এএআর/আপ-এপিএইচ/