X
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

যে দুই কারণে কানাডার আদালতে খারিজ পদ্মা সেতু মামলা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:৩২আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:৪৮

 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘ কানাডার আদালত পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে দুটি কারণে। একটি হলো, অন মেরিট আর অন্যটি হলো অন টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। আদালত অন মেরিট যেটা বলেছে, এই মামলায় যা বক্তব্য সেগুলো হচ্ছে গুজব নির্ভর এবং এটার কোনও প্রমাণ নেই। দ্বিতীয় কারণটি হলো টেকনিক্যাল, ওয়্যার ট্যাপিং এর মাধ্যমেও কোনও তথ্য আসেনি, যেটা একটা মামলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো হতে পারে।’

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপকালে  এ কথা বলেন।
পদ্মা সেতুর তথাকথিত দুর্নীতি বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়াগুলো কীভাবে সম্পন্ন হয়েছে সেবিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।কানাডার সুপিরিয়র কোর্টের একটি আদেশের কারণে যে তথ্যাদি এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল, সেই মামলাটি খারিজ হওয়ার পর মুখ খুললেন আইনমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে পদ্মা সেতু দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের মামলায় তিনি তখন প্রধান আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
পত্রিকায় আসা খবরের মাধ্যমে কিভাবে ২০১২ সালে দুর্নীতির মামলাটি হলো উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অনুসন্ধান করা যখন শুরু করলো তখন বিশ্বব্যাংক বললো, আমাদের কাছেও তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। আমরা সেই তথ্য দেবো। এই নিয়ে তোমাদেরকে (দুদক)একটি মামলা করতে হবে। বলা হলো, এই দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত তারা হচ্ছেন- তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন, যোগাযোগ সচিব, অন্য যারা এই মন্ত্রণালয়ে আছেন তারা এবং যারা এই কন্ট্রাক্ট নেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।’

তারা নানা শর্ত দেওয়ায় দুদকের পক্ষ থেকে মামলা না করার সিদ্ধান্ত নিলে বিশ্বব্যাঙ্ক জানায়, এটা যদি না হয় তবে আমরা (বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষ) ঋণ দেবো না। দুদকের চেয়ারম্যান, দুদকের পরবর্তী চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান ও কমিশনার সাহাবুদ্দিন আহমেদ চুপ্পুর উপস্থিতিতে সেই মিটিং এ তখন আমি বললাম, বাংলাদেশ হলো একটি স্বাধীন দেশ। বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ। আমরা আমাদের স্বাধীনতা কারও হাতে তুলে দিতে রাজি না।

কিভাবে আবুল হোসেনকে জড়ানো হলো সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের চিফ প্রসিকিউটর ওকামপো, হংকং এর অ্যান্টি করাপশন কমিশনের একজন মেম্বার এবং স্কার্ডিয়ানের একজন তদন্তকারী ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এসেই বলেছেন, আবুল হোসেনকে আসামি করতে হবে। আমরা বললাম, তথ্য-উপাত্ত যদি না পাই তাহলে আমরা কিভাবে একজনকে আসামি করবো? তখন তারা মামলার এফআইআর-এ আবুল হোসেনের নাম দিতে বললেন। তাদের একজন এমনও বললেন, এফআইআর- এ তার নাম দিয়ে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলেই সব বেরিয়ে যাবে।

এতদিন কথাগুলো সামনে না আনার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দুদকের কাছে সেই প্রিলিমিনারি হেয়ারিং এ যারা যারা সাক্ষী দিয়েছেন, তার সাক্ষ্য-তথ্য রয়েছে। সেই সাক্ষীর সাক্ষ্য আমি পড়েছি। এমনকি যিনি রাজ সাক্ষী হয়েছিলেন, তিনি এই যাদের নাম বললাম (যাদের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল) তাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি। এমনকি এখানে যে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে,সেটিও প্রমাণ করতে পারেননি। এরপরেই নতুন করে কিছু আসামি যুক্ত করার চেষ্টা চলেছে। আমরা কোন কথা বলতে পারিনি। কারণ কানাডার সুপিরিয়র কোর্ট বিষয়টি পাবলিসিটি ব্যান্ডের আদেশ দিয়েছিল। পত্র-পত্রিকায় এ বিষয়ে খবর প্রকাশ প্রচার করা যাবে না বলায়, আমরা সেই সময় তদন্তের স্বার্থে চুপ ছিলাম।

/এমটি/ইউআই/এপিএইচ/

আরও পড়ুন: ‘বিশ্বব্যাংকের অভিযোগে দু’জন নিরীহ ব্যক্তিকে শাস্তি পেতে হয়েছে’

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঢাকায় শুরু তিন দিনের কোল্ড চেইন ও অবকাঠামো প্রদর্শনী
ঢাকায় শুরু তিন দিনের কোল্ড চেইন ও অবকাঠামো প্রদর্শনী
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে সাধারণ মানুষের জীবন বদলে গেছে: সাদ্দাম
শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে সাধারণ মানুষের জীবন বদলে গেছে: সাদ্দাম
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের বিরুদ্ধে আসতে পারে আইনি ব্যবস্থা
একসময় চট্টগ্রাম বন্দর যেকোনও দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করবে: খালিদ
একসময় চট্টগ্রাম বন্দর যেকোনও দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করবে: খালিদ
সর্বাধিক পঠিত
ফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু, কেজি ৪০ টাকা
রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু, কেজি ৪০ টাকা
৬১৭ কোটি টাকার প্রকল্প, সাড়ে তিন বছরে হলো ১৩ শতাংশ কাজ
৬১৭ কোটি টাকার প্রকল্প, সাড়ে তিন বছরে হলো ১৩ শতাংশ কাজ
রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন
রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন