একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে রাষ্ট্রপতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তারপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
ঢাকার দুই মেয়র, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ প্রধান, কূটনীতিকদের পর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের নেতাকর্মীরা।
এরপর রাত ১টা ২২ মিনিটে শহীদ মিনারে আসেন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে তারা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবারের শহীদ মিনারের সার্বিক ব্যবস্থাপনার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এরপর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশাহ, জিএস মুরসালিন নোমানীরসহ অন্যান্য নেতারা।
পরে সাম্যবাদী দল, জাসদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরাও শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা ভোর ৫টা ২৬ মিনিটে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এসময় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রধান নির্বাচন কমিশন বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনে সর্বেক্ষেত্রে নির্ভুল বাংলা ব্যবহার করি।’
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার ও শফিউরসহ নাম না-জানা শহীদ ঢাকার রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে রচনা করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি। তাদের আত্মদানের স্মৃতিকে মনে রেখে দেশে উদযাপিত হয়ে আসছে মাসজুড়ে অমর একুশে।
মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিনটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে।
/আরজে/এআরআর/এআর/এসএ/